Dhaka 7:56 pm, Sunday, 7 December 2025

ভারতের গোয়ায় নাইটক্লাব অগ্নিকাণ্ড: ২৩ জনের মৃত্যু

Daily agnishikha
  • Update Time : 01:41:59 pm, Sunday, 7 December 2025
  • / 24 Time View
৩০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের গোয়ায় একটি জনপ্রিয় নাইটক্লাবে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ভোরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত।

শনিবার রাত মধ্যরাতের দিকে উত্তর গোয়ার আরপোরা এলাকার একটি ক্লাবে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) তথ্য অনুযায়ী, হতাহতদের মধ্যে কয়েকজন বিদেশি পর্যটকও রয়েছেন।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘আজ গোয়ার জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটি দিন। আরপোরায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরও জানান, মৃতদের মধ্যে তিন জন মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন ও অন্যান্যরা শ্বাসরোধে প্রাণ হারিয়েছেন।

সাওয়ান্ত সাংবাদিকদের বলেন, নিহতদের মধ্যে তিন থেকে চারজন পর্যটক ছিলেন।

গোয়া সমুদ্র সৈকত, প্রাণবন্ত নাইটলাইফ ও পর্যটনের জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক পর্যটক আকর্ষণ করে।

তবে দুর্বল নির্মাণব্যবস্থা, অতিরিক্ত ভিড় ও নিরাপত্তাবিধি না মানার কারণে, ভারতে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড প্রায়ই ঘটে থাকে।

স্থানীয় গণমাধ্যম ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ক্লাবটিতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে, তবে সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে।

স্থানীয় বিধায়ক মাইকেল লোবো পিটিআইকে বলেন, রাতভর দমকল ও পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছেন।

অনুরূপ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে শিগগিরই অগ্নিনিরাপত্তা অডিট করা হবে বলে জানান তিনি।

সম্প্রতি ভারতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো বাড়ছে। গত মে মাসে হায়দরাবাদের একটি তিনতলা ভবনে আগুন লেগে ১৭ জন প্রাণ হারান। তার আগের মাসে কলকাতার একটি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৫ জন মারা যান।

এছাড়াও গত বছর গুজরাটের একটি বিনোদন কেন্দ্রে ভয়াবহ আগুনে ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন, যেখানে অনিয়মিত নিরাপত্তাব্যবস্থা ও জরুরি বহির্গমনপথ না থাকাকে বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল।

 

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ভারতের গোয়ায় নাইটক্লাব অগ্নিকাণ্ড: ২৩ জনের মৃত্যু

Update Time : 01:41:59 pm, Sunday, 7 December 2025
৩০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের গোয়ায় একটি জনপ্রিয় নাইটক্লাবে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ভোরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত।

শনিবার রাত মধ্যরাতের দিকে উত্তর গোয়ার আরপোরা এলাকার একটি ক্লাবে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) তথ্য অনুযায়ী, হতাহতদের মধ্যে কয়েকজন বিদেশি পর্যটকও রয়েছেন।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘আজ গোয়ার জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটি দিন। আরপোরায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরও জানান, মৃতদের মধ্যে তিন জন মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন ও অন্যান্যরা শ্বাসরোধে প্রাণ হারিয়েছেন।

সাওয়ান্ত সাংবাদিকদের বলেন, নিহতদের মধ্যে তিন থেকে চারজন পর্যটক ছিলেন।

গোয়া সমুদ্র সৈকত, প্রাণবন্ত নাইটলাইফ ও পর্যটনের জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক পর্যটক আকর্ষণ করে।

তবে দুর্বল নির্মাণব্যবস্থা, অতিরিক্ত ভিড় ও নিরাপত্তাবিধি না মানার কারণে, ভারতে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড প্রায়ই ঘটে থাকে।

স্থানীয় গণমাধ্যম ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ক্লাবটিতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে, তবে সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে।

স্থানীয় বিধায়ক মাইকেল লোবো পিটিআইকে বলেন, রাতভর দমকল ও পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছেন।

অনুরূপ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে শিগগিরই অগ্নিনিরাপত্তা অডিট করা হবে বলে জানান তিনি।

সম্প্রতি ভারতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো বাড়ছে। গত মে মাসে হায়দরাবাদের একটি তিনতলা ভবনে আগুন লেগে ১৭ জন প্রাণ হারান। তার আগের মাসে কলকাতার একটি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৫ জন মারা যান।

এছাড়াও গত বছর গুজরাটের একটি বিনোদন কেন্দ্রে ভয়াবহ আগুনে ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন, যেখানে অনিয়মিত নিরাপত্তাব্যবস্থা ও জরুরি বহির্গমনপথ না থাকাকে বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল।