Dhaka 3:08 pm, Monday, 15 December 2025

পাষান্ড স্বামী উজ্জল ছেলে মেয়ের সামনে যৌতুকের জন্য স্ত্রী তানিয়া কে উলঙ্গ করে পিটিয়ে হত্যা

Reporter Name
  • Update Time : 05:56:11 am, Monday, 7 April 2025
  • / 108 Time View
৩১

ওমর সিনিয়র বিভাগীয় ব্যুরো চীফ সিলেট: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা কালীকচ্ছ ইউনিয়নের, কালীকচ্ছ (মনির বাগ) গ্রামের অলি মৈশান এর ছেলে উজ্জ্বল মৈশান (৪৮), পশ্চিম ভিটি পূর্বমুখী বসত ঘরে, ২৮শে জানুয়ারি ২০২৫ ইং রাত অনুমান ৩.০০ ঘটিকা সময় ৩ ছেলে ২ মেয়ের সামনে প্রকাশ্যে যৌতুকের জন্য স্ত্রী তানিয়া কে উলঙ্গ করে,শিকল দিয়ে হাত পা বেঁধে গোপনাঙ্গে কাঠ ও লাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।

তিন ছেলে দুই মেয়ের কান্না তানিয়ার কাকতী মিনতি শেষবারের মতো স্বামীর হাতের পানি খেতে চেয়েছিল,অনুরোধ করেছিল স্বামী উজ্জ্বল কে,উলঙ্গ করে, শিকল দিয়ে হাত পা বেঁধে গোপনাঙ্গে কাঠ ও লাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে পিটিয়ে যেন না মারে,পাষান্ড উজ্জেলের কাছে চেয়ে ছিল কাপড় দিয়ে ঢেকে মারার জন্য। বাচ্চারা দেখছিল নিদয় নিষ্ঠুর বাবা উজ্জল বাচ্চাদের সামনে এভাবে তাদের মা কে উলঙ্গ করে পিটিয়ে হত্যা করল । উজ্জলের ভয়ে,বাচ্চাদের কান্নায় কেউ এগিয়ে আসেনি তানিয়া কে বাঁচাতে । উজ্জ্বল ভয়ংকর এক দানব। ছেলে মেয়ে অসহায় হয়ে চেয়ে চেয়ে দেখলো বাবা,মা কে কি ভাবে পিটিয়ে হত্যা করল । কান্না আর ভয়ংকর ভয় পাওয়া ছাড়া কিছুই করার ছিল না। ছেলেমেয়েরা ছিল ভয়ংকর অসহায় ।

সূত্রে জানা যায়,অধুনা মৃত শেখ তানিয়া আক্তার (৩৫) পিতা-মৃত শেখ ইনু মিয়া, সাং নোয়াগাও শেখ বাড়ি, থানা-সরাইল, জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর নাবালিকা বড় মেয়ে (নামের আদি অক্ষর) “জ” । অপরদিকে উজ্জল “জ” বাবা হয়। “জ” রা ৩ ভাই ২ বোন (অধুনা মৃত তানিয়ার ২ মেয়ে ৩ ছেলে)। উজ্জল দীর্ঘদিন যাবৎ তানিয়া ‘র উপর যৌতুকের দাবীতে শরীরিক মানসিক নির্যাতন করতো ।

২৮শে জানুয়ারি ২০২৫ ইং রাত অনুমান ৩:০০ ঘটিকায় হঠাৎ “জ” মায়ের চিৎকারে “জ” ও “জ” এর ভাই বোনের ঘুম ভাঙ্গিয়া গেলে তাহারা ঘুম হইতে উঠিয়া উজ্জলের (বাবার) শয়ন কক্ষে যাইয়া দেখে যে, ২ লক্ষ টাকা তানিয়া’র বাবার বাড়ী থেকে যৌতুক আনার জন্য উজ্জল,তানিয়ার চুলের মুঠি ধরিয়া তাহাকে কিল ঘুষি ও চর থাপ্পর মারতেছে। তথাপিও তানিয়া বাপের বাড়ী হইতে কোন টাকা আনতে পারিবে না মর্মে জনাইলে,উজ্জল দৌড়ে গিয়ে রান্না ঘর হইতে একটি মোটা কাঁঠের চেলি আনিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে শেখ তানিয়া আক্তার এর মাথায় সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যপুরি আঘাত করিতে থাকে।

ইহাতে শেখ তানিয়া আক্তার এর মাথায়, দুই চোখের উপর, হাতে, পায়ে, কোমড়ে ও পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালা, নীলা, ফুলা ও রক্ত জমাট হয়। এই সময় তানিয়ার ছেলে-মেয়ে সহ তানিয়া উজ্জ্বল কে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করিলে উজ্জল তানিয়ার ছেলেমেয়েদের কে চর থাপ্পর মারিয়া ঘরের একটি কক্ষের মধ্যে ঢুকাইয়া বাহির থেকে তালা লাগাইয়া দেয়।

ছেলে-মেয়েদের কে আটক রাখিয়া ঘাতক উজ্জ্বল তাহার শয়ন কক্ষের খাটের সাথে একটি লোহার শিকল দ্বারা শেখ তানিয়া আক্তার এর হাত পা বাঁধিয়া তানিয়া কে উলঙ্গ করে পৈশাচিক কায়দায় গোপনাঙ্গে ও তানিয়ার শরীরের নিম্নাংশে কাঁঠের চেলি দ্বারা অমানবিক ভাবে আঘাত করিতে থাকে। তৎসময়ে শেখ তানিয়া আক্তার মাগো, বাবা গো বলিয়া চিৎকার করিয়া রক্ত বমি শুরু করিলেও জালেম উজ্জ্বল ক্ষান্ত হয় নাই। যাহা ছেলে-মেয়েরা কক্ষের দরজার ফাঁক দিয়া দেখতে থাকে,চোখের সামনে বাবা কিভাবে নির্মম পিটিয়ে হত্যা করছে তাদের মা তানিয়া কে।

তানিয়ার উপর উজ্জলের এহেন অত্যাচারের দৃশ্য দেখিয়া,ছেলে-মেয়েরা ভীত ও আতঙ্কগ্রস্থ হইয়া পড়ে। এহেন পৈশাচিক নির্যাতনের ফলে তানিয়া অচেতন হইয়া পড়িলে,উজ্জল ঘরের বাহিরে আসিয়া একটি ধারালো দা হাতে নিয়া পায়চারী করিতে থাকে। ঐ দিন বিকাল পর্যন্ত উজ্জল ছেলে-মেয়েদেরকে ঘরে আটক রাখিয়া গালমন্দ সহ বিভিন্ন হুমকী ধমকী দিতে থাকে।

একপর্যায়ে “জ” জানালা ভাঙ্গিয়া কৌশলে ঘরের বাহিরে আসিয়া বিষয়টি জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে থানা পুলিশকে অবহিত করিলে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনার তারিখে সন্ধ্যা অনুমান ৬:০০ ঘটিকায় বাড়ীতে আসিয়া তানিয়া কে অচেতন অবস্থায় ঘর হইতে উদ্ধার করে। এরমধ্যে পাষাণ স্বামী হত্যাকারী উজ্জ্বল পুলিশ আসার পূর্বেই পালিয়ে যায়।

অতঃপর পুলিশের সহায়তায় শেখ তানিয়া আক্তার কে চিকিৎসার জন্য সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া আসিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তানিয়ার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাহাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ তানিয়া আক্তার কে একই তারিখে রাত অনুমান ১০.০০ ঘটিকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে।

“জ” দের মা কে তাদের চোখের সামনে বাবা পাষান্ড নির্দয় উজ্জল কি ভাবে পিটিয়ে মারে ছেলে মেয়েরা তাহা স্ব-চোখে সরাসসি দেখে । “জ” বাদী হয়ে সরাইল থানায় ১১ (ক) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ অপরাধের শিরোনাম হত্যা মামলা দায়ের করে । মামলা নং ২, তারিখ ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং। সরাইল থানা পুলিশ “জ” এর মা তানিয়ার হত্যাকারী বাবা উজ্জল কে গ্রেফতার করে ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পাষান্ড স্বামী উজ্জল ছেলে মেয়ের সামনে যৌতুকের জন্য স্ত্রী তানিয়া কে উলঙ্গ করে পিটিয়ে হত্যা

Update Time : 05:56:11 am, Monday, 7 April 2025
৩১

ওমর সিনিয়র বিভাগীয় ব্যুরো চীফ সিলেট: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা কালীকচ্ছ ইউনিয়নের, কালীকচ্ছ (মনির বাগ) গ্রামের অলি মৈশান এর ছেলে উজ্জ্বল মৈশান (৪৮), পশ্চিম ভিটি পূর্বমুখী বসত ঘরে, ২৮শে জানুয়ারি ২০২৫ ইং রাত অনুমান ৩.০০ ঘটিকা সময় ৩ ছেলে ২ মেয়ের সামনে প্রকাশ্যে যৌতুকের জন্য স্ত্রী তানিয়া কে উলঙ্গ করে,শিকল দিয়ে হাত পা বেঁধে গোপনাঙ্গে কাঠ ও লাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।

তিন ছেলে দুই মেয়ের কান্না তানিয়ার কাকতী মিনতি শেষবারের মতো স্বামীর হাতের পানি খেতে চেয়েছিল,অনুরোধ করেছিল স্বামী উজ্জ্বল কে,উলঙ্গ করে, শিকল দিয়ে হাত পা বেঁধে গোপনাঙ্গে কাঠ ও লাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে পিটিয়ে যেন না মারে,পাষান্ড উজ্জেলের কাছে চেয়ে ছিল কাপড় দিয়ে ঢেকে মারার জন্য। বাচ্চারা দেখছিল নিদয় নিষ্ঠুর বাবা উজ্জল বাচ্চাদের সামনে এভাবে তাদের মা কে উলঙ্গ করে পিটিয়ে হত্যা করল । উজ্জলের ভয়ে,বাচ্চাদের কান্নায় কেউ এগিয়ে আসেনি তানিয়া কে বাঁচাতে । উজ্জ্বল ভয়ংকর এক দানব। ছেলে মেয়ে অসহায় হয়ে চেয়ে চেয়ে দেখলো বাবা,মা কে কি ভাবে পিটিয়ে হত্যা করল । কান্না আর ভয়ংকর ভয় পাওয়া ছাড়া কিছুই করার ছিল না। ছেলেমেয়েরা ছিল ভয়ংকর অসহায় ।

সূত্রে জানা যায়,অধুনা মৃত শেখ তানিয়া আক্তার (৩৫) পিতা-মৃত শেখ ইনু মিয়া, সাং নোয়াগাও শেখ বাড়ি, থানা-সরাইল, জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর নাবালিকা বড় মেয়ে (নামের আদি অক্ষর) “জ” । অপরদিকে উজ্জল “জ” বাবা হয়। “জ” রা ৩ ভাই ২ বোন (অধুনা মৃত তানিয়ার ২ মেয়ে ৩ ছেলে)। উজ্জল দীর্ঘদিন যাবৎ তানিয়া ‘র উপর যৌতুকের দাবীতে শরীরিক মানসিক নির্যাতন করতো ।

২৮শে জানুয়ারি ২০২৫ ইং রাত অনুমান ৩:০০ ঘটিকায় হঠাৎ “জ” মায়ের চিৎকারে “জ” ও “জ” এর ভাই বোনের ঘুম ভাঙ্গিয়া গেলে তাহারা ঘুম হইতে উঠিয়া উজ্জলের (বাবার) শয়ন কক্ষে যাইয়া দেখে যে, ২ লক্ষ টাকা তানিয়া’র বাবার বাড়ী থেকে যৌতুক আনার জন্য উজ্জল,তানিয়ার চুলের মুঠি ধরিয়া তাহাকে কিল ঘুষি ও চর থাপ্পর মারতেছে। তথাপিও তানিয়া বাপের বাড়ী হইতে কোন টাকা আনতে পারিবে না মর্মে জনাইলে,উজ্জল দৌড়ে গিয়ে রান্না ঘর হইতে একটি মোটা কাঁঠের চেলি আনিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে শেখ তানিয়া আক্তার এর মাথায় সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যপুরি আঘাত করিতে থাকে।

ইহাতে শেখ তানিয়া আক্তার এর মাথায়, দুই চোখের উপর, হাতে, পায়ে, কোমড়ে ও পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালা, নীলা, ফুলা ও রক্ত জমাট হয়। এই সময় তানিয়ার ছেলে-মেয়ে সহ তানিয়া উজ্জ্বল কে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করিলে উজ্জল তানিয়ার ছেলেমেয়েদের কে চর থাপ্পর মারিয়া ঘরের একটি কক্ষের মধ্যে ঢুকাইয়া বাহির থেকে তালা লাগাইয়া দেয়।

ছেলে-মেয়েদের কে আটক রাখিয়া ঘাতক উজ্জ্বল তাহার শয়ন কক্ষের খাটের সাথে একটি লোহার শিকল দ্বারা শেখ তানিয়া আক্তার এর হাত পা বাঁধিয়া তানিয়া কে উলঙ্গ করে পৈশাচিক কায়দায় গোপনাঙ্গে ও তানিয়ার শরীরের নিম্নাংশে কাঁঠের চেলি দ্বারা অমানবিক ভাবে আঘাত করিতে থাকে। তৎসময়ে শেখ তানিয়া আক্তার মাগো, বাবা গো বলিয়া চিৎকার করিয়া রক্ত বমি শুরু করিলেও জালেম উজ্জ্বল ক্ষান্ত হয় নাই। যাহা ছেলে-মেয়েরা কক্ষের দরজার ফাঁক দিয়া দেখতে থাকে,চোখের সামনে বাবা কিভাবে নির্মম পিটিয়ে হত্যা করছে তাদের মা তানিয়া কে।

তানিয়ার উপর উজ্জলের এহেন অত্যাচারের দৃশ্য দেখিয়া,ছেলে-মেয়েরা ভীত ও আতঙ্কগ্রস্থ হইয়া পড়ে। এহেন পৈশাচিক নির্যাতনের ফলে তানিয়া অচেতন হইয়া পড়িলে,উজ্জল ঘরের বাহিরে আসিয়া একটি ধারালো দা হাতে নিয়া পায়চারী করিতে থাকে। ঐ দিন বিকাল পর্যন্ত উজ্জল ছেলে-মেয়েদেরকে ঘরে আটক রাখিয়া গালমন্দ সহ বিভিন্ন হুমকী ধমকী দিতে থাকে।

একপর্যায়ে “জ” জানালা ভাঙ্গিয়া কৌশলে ঘরের বাহিরে আসিয়া বিষয়টি জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে থানা পুলিশকে অবহিত করিলে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনার তারিখে সন্ধ্যা অনুমান ৬:০০ ঘটিকায় বাড়ীতে আসিয়া তানিয়া কে অচেতন অবস্থায় ঘর হইতে উদ্ধার করে। এরমধ্যে পাষাণ স্বামী হত্যাকারী উজ্জ্বল পুলিশ আসার পূর্বেই পালিয়ে যায়।

অতঃপর পুলিশের সহায়তায় শেখ তানিয়া আক্তার কে চিকিৎসার জন্য সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া আসিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তানিয়ার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাহাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ তানিয়া আক্তার কে একই তারিখে রাত অনুমান ১০.০০ ঘটিকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে।

“জ” দের মা কে তাদের চোখের সামনে বাবা পাষান্ড নির্দয় উজ্জল কি ভাবে পিটিয়ে মারে ছেলে মেয়েরা তাহা স্ব-চোখে সরাসসি দেখে । “জ” বাদী হয়ে সরাইল থানায় ১১ (ক) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ অপরাধের শিরোনাম হত্যা মামলা দায়ের করে । মামলা নং ২, তারিখ ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং। সরাইল থানা পুলিশ “জ” এর মা তানিয়ার হত্যাকারী বাবা উজ্জল কে গ্রেফতার করে ।