Dhaka 2:53 am, Friday, 5 December 2025

ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে মিছিল-স্লোগানে উত্তাল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়

Reporter Name
  • Update Time : 07:38:54 am, Monday, 7 April 2025
  • / 99 Time View
১২

এস.এম নয়ন: গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে মিছিল-স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। এসময় নানান প্ল্যাকার্ডে ইসরায়েলি বর্বরতার বিপক্ষে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, অনতিবিলম্বে এই হত্যা বন্ধ করতে হবে। এসময় ইসরাইলকে বিশ্বের মানচিত্র থেকে গণহত্যার দায়ে মুছে ফেলার আহ্বান জানান তারা।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে বাড্ডা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় গেটের সামনে এই বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে, প্যালেস্টাইন প্যালেস্টাইন’, ‘ট্রাম্পের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’, ‘নেতানিয়াহুর দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’, ‘ইসরায়েলের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’—ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমেরিকার মতো যেসব দেশ এমন গণহত্যা দেখে নিশ্চুপ, তাদেরও বয়কট করতে হবে। পাশাপাশি মুসলিম দেশগুলো কাপুরুষতার পরিচয় দিচ্ছে, যার জন্যই সুযোগ পাচ্ছে ইসরায়েল। অনতিবিলম্বে মুসলিম দেশগুলোকে এককাতারে এসে এই গণহত্যার প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা। এসময় বাংলাদেশ সরকারকে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রায়হান কবির বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর এমন বর্বরতার পরও আমরা আর নিরব থাকতে পারি না। এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিটি বিবেকবান মানুষের উচিত প্রতিবাদে শামিল হওয়া। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই।

তিনি বলেন, মুসলিম দেশগুলো কাপুরুষতার পরিচয় দিচ্ছে, যার জন্যই সুযোগ পাচ্ছে ইসরায়েল। অনতিবিলম্বে মুসলিম দেশগুলোকে এককাতারে এসে এই গণহত্যার প্রতিবাদ জানাতে হবে। গাজায় যা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ যুদ্ধাপরাধ। এর প্রতিবাদে আজ কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়া হবে না।

আরেক শিক্ষার্থী তাসনিম ফারহা বলেন, গাজার শিশুরা যখন প্রতিদিন বোমার শব্দে ঘুম ভাঙছে, তখন আমাদের নীরবতা মানে হচ্ছে সেই অন্যায়ের অংশীদার হওয়া। আমরা আওয়াজ তুলে বলছি—গণহত্যা বন্ধ করো।

তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফরোজা জামান বলেন, এই আয়োজন শুধু একটি প্রতিবাদ নয়, এটি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের ছোট্ট সহায়তা হয়তো কারও জন্য একফোঁটা বাঁচার আলো হতে পারে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে মিছিল-স্লোগানে উত্তাল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়

Update Time : 07:38:54 am, Monday, 7 April 2025
১২

এস.এম নয়ন: গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে মিছিল-স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। এসময় নানান প্ল্যাকার্ডে ইসরায়েলি বর্বরতার বিপক্ষে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, অনতিবিলম্বে এই হত্যা বন্ধ করতে হবে। এসময় ইসরাইলকে বিশ্বের মানচিত্র থেকে গণহত্যার দায়ে মুছে ফেলার আহ্বান জানান তারা।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে বাড্ডা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় গেটের সামনে এই বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে, প্যালেস্টাইন প্যালেস্টাইন’, ‘ট্রাম্পের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’, ‘নেতানিয়াহুর দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’, ‘ইসরায়েলের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’—ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমেরিকার মতো যেসব দেশ এমন গণহত্যা দেখে নিশ্চুপ, তাদেরও বয়কট করতে হবে। পাশাপাশি মুসলিম দেশগুলো কাপুরুষতার পরিচয় দিচ্ছে, যার জন্যই সুযোগ পাচ্ছে ইসরায়েল। অনতিবিলম্বে মুসলিম দেশগুলোকে এককাতারে এসে এই গণহত্যার প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা। এসময় বাংলাদেশ সরকারকে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রায়হান কবির বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর এমন বর্বরতার পরও আমরা আর নিরব থাকতে পারি না। এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিটি বিবেকবান মানুষের উচিত প্রতিবাদে শামিল হওয়া। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই।

তিনি বলেন, মুসলিম দেশগুলো কাপুরুষতার পরিচয় দিচ্ছে, যার জন্যই সুযোগ পাচ্ছে ইসরায়েল। অনতিবিলম্বে মুসলিম দেশগুলোকে এককাতারে এসে এই গণহত্যার প্রতিবাদ জানাতে হবে। গাজায় যা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ যুদ্ধাপরাধ। এর প্রতিবাদে আজ কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়া হবে না।

আরেক শিক্ষার্থী তাসনিম ফারহা বলেন, গাজার শিশুরা যখন প্রতিদিন বোমার শব্দে ঘুম ভাঙছে, তখন আমাদের নীরবতা মানে হচ্ছে সেই অন্যায়ের অংশীদার হওয়া। আমরা আওয়াজ তুলে বলছি—গণহত্যা বন্ধ করো।

তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফরোজা জামান বলেন, এই আয়োজন শুধু একটি প্রতিবাদ নয়, এটি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের ছোট্ট সহায়তা হয়তো কারও জন্য একফোঁটা বাঁচার আলো হতে পারে।