Dhaka 7:30 pm, Thursday, 27 November 2025

গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনে সাবেক সেনাপ্রধানকে সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ

Reporter Name
  • Update Time : 07:05:39 am, Thursday, 20 March 2025
  • / 99 Time View

অগ্নিশিখা প্রতিবেদক: গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের আহ্বানে তাদের গুলশান কার্যালয়ে গিয়েছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভূঁইয়া। সেখানে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টায় গুমসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে কমিশনের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১৯ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নিজেই এ তথ্য তুলে ধরেছেন অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তা।

স্ট্যাটাসে ইকবাল করিম ভূঁইয়া বলেন, আমার কর্ম অভিজ্ঞতা থেকে কিছু লেখা সম্প্রতি সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই লেখাগুলো রাষ্ট্র, সমাজ ও সংস্থার বিভিন্ন অংশের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেই পটভূমিতে অনেক ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এর বিভিন্ন দিক ও বিষয়ে জানার আগ্রহ জন্মেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন ফর ইনকোয়ারি’ আজ বেলা ১১টায় গুলশানে অবস্থিত তাদের কার্যালয়ে আমাকে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল।

অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত কমিশনের ডাকে সাড়া দিয়ে আমি যথাসময়ে সেখানে যাই এবং কমিশন বিভিন্ন বিষয়ে আমার কাছে বিস্তারিত জানতে চায়। আমার স্মৃতিতে থাকা বিষয়গুলো তাদের জানাই। কমিশনের নানান জিজ্ঞাসা ও প্রশ্নের জবাব দেই। জাতীয় প্রয়োজনে গঠিত গুরুত্বপূর্ণ এই কমিশনের কার্যক্রম অধিকতর ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে আমার সঙ্গে তাদের আলোচনা ৩ ঘণ্টা ২৩ মিনিট স্থায়ী হয়। দুপুর ২টা ২৩ মিনিটে আলোচনা শেষ হয়।

ইকবাল করিম ভূঁইয়া লেখেন, বিগত বছরগুলোতে জ্ঞাত বা অজ্ঞাত স্থানে বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান ও তাদের শনাক্ত করা এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিলেন, তা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। সেই উদ্দেশ্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যসহ কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা তথ্য ও প্রমাণাদি সরবরাহ করে গুমসংক্রান্ত কমিশনের কার্যক্রমকে বেগবান করা আমাদের সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য। আর তা যথাযথভাবে পালন করা গেলেই কেবল ভবিষ্যতে মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

ফেসবুকের স্ট্যাটাসে সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে বিশ্বাস করি, ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন ফর ইনকোয়ারি’র এমন গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহযোগিতার জন্য এ কাজে জড়িত সব পক্ষ, ব্যক্তি ও চাকরিরত বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা উচিত। গুম ও অপহরণসংক্রান্ত যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ দেশে সংঘটিত হয়েছে, এর সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে যে যেখানে যতটুকুই জানেন, তা এই কমিশনকে অবহিত করা দরকার।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনে সাবেক সেনাপ্রধানকে সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ

Update Time : 07:05:39 am, Thursday, 20 March 2025

অগ্নিশিখা প্রতিবেদক: গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের আহ্বানে তাদের গুলশান কার্যালয়ে গিয়েছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভূঁইয়া। সেখানে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টায় গুমসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে কমিশনের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১৯ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নিজেই এ তথ্য তুলে ধরেছেন অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তা।

স্ট্যাটাসে ইকবাল করিম ভূঁইয়া বলেন, আমার কর্ম অভিজ্ঞতা থেকে কিছু লেখা সম্প্রতি সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই লেখাগুলো রাষ্ট্র, সমাজ ও সংস্থার বিভিন্ন অংশের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেই পটভূমিতে অনেক ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এর বিভিন্ন দিক ও বিষয়ে জানার আগ্রহ জন্মেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন ফর ইনকোয়ারি’ আজ বেলা ১১টায় গুলশানে অবস্থিত তাদের কার্যালয়ে আমাকে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল।

অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত কমিশনের ডাকে সাড়া দিয়ে আমি যথাসময়ে সেখানে যাই এবং কমিশন বিভিন্ন বিষয়ে আমার কাছে বিস্তারিত জানতে চায়। আমার স্মৃতিতে থাকা বিষয়গুলো তাদের জানাই। কমিশনের নানান জিজ্ঞাসা ও প্রশ্নের জবাব দেই। জাতীয় প্রয়োজনে গঠিত গুরুত্বপূর্ণ এই কমিশনের কার্যক্রম অধিকতর ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে আমার সঙ্গে তাদের আলোচনা ৩ ঘণ্টা ২৩ মিনিট স্থায়ী হয়। দুপুর ২টা ২৩ মিনিটে আলোচনা শেষ হয়।

ইকবাল করিম ভূঁইয়া লেখেন, বিগত বছরগুলোতে জ্ঞাত বা অজ্ঞাত স্থানে বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান ও তাদের শনাক্ত করা এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিলেন, তা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। সেই উদ্দেশ্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যসহ কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা তথ্য ও প্রমাণাদি সরবরাহ করে গুমসংক্রান্ত কমিশনের কার্যক্রমকে বেগবান করা আমাদের সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য। আর তা যথাযথভাবে পালন করা গেলেই কেবল ভবিষ্যতে মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

ফেসবুকের স্ট্যাটাসে সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে বিশ্বাস করি, ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন ফর ইনকোয়ারি’র এমন গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহযোগিতার জন্য এ কাজে জড়িত সব পক্ষ, ব্যক্তি ও চাকরিরত বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা উচিত। গুম ও অপহরণসংক্রান্ত যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ দেশে সংঘটিত হয়েছে, এর সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে যে যেখানে যতটুকুই জানেন, তা এই কমিশনকে অবহিত করা দরকার।