Dhaka 5:14 pm, Tuesday, 16 December 2025

মামলার আসামি বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে থানায় দিলেন ছাত্রদল নেতা

Reporter Name
  • Update Time : 06:16:11 am, Wednesday, 12 March 2025
  • / 118 Time View
৩১

বিশেষ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় পরিবহণে চাঁদাবাজি নিয়ে বিএনপির একপক্ষ আরেক পক্ষের লোকদের মারধর করে। এ নিয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করে সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহমান। মামলায় আসামি করা হয় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন ও তার লোকজনকে।
মামলা হলেও পুলিশ মামুনেক গ্রেফতার করেনি। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হন আব্দুর রহমান। মামুন থানায় রয়েছে এমন খবরে সোমবার (১০ মার্চ) রাতে দলবল নিয়ে থানায় আসেন ছাত্রদল নেতা। এ সময় আব্দুর রহমানকে দেখে পালানোর চেষ্টা করে বিএনপির ওই সাধারণ সম্পাদক। পরে তাকে ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেলে আব্দুর রহমান ও তার লোকজন। এরপর মামুনকে মারতে মারতে ওসির রুমে নিয়ে যায় তারা। সেখানেও তাকে মারধর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১১টার দিকে অর্ধশতাধিক লোকজন থানার গেইটে চিল্লাচিল্লি করতে থাকে। একজনকে ধরে তারা মারতে থাকে। এ সময় থানায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি কাজী নাজমুল, নাজমুল হোসেন, কুতুবপুর ২ নাম্বার ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি লঙ্গী বাবু সাইনবোর্ড এলাকায় বিভিন্ন পরিবহণে চাঁদাবাজি করেন। তারা সোহেল নামে একজনকে চাঁদা আদায়ের দায়িত্ব দেয়। এর প্রতিবাদ করেন ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আতাই রাব্বি, সঞ্চয়, কুতুবপুর ২ নাম্বার ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান, মিল্টন।

এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কয়েকদিন যাবৎ সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে। এর মধ্যে গত শনিবার মামুন তার লোকজন নিয়ে মাহফুজ গ্রুপের ওপর হামলা চালায়। এতে আব্দুর রহমানসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়।

ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহমান বলেন, ‘মামুন তার সহযোগীদের নিয়ে গোটা সাইনবোর্ড এলাকা জিম্মি করে রেখেছে। তারা পরিবহণে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, ঝুট ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে। সাধারণ মানুষকে অতিষ্ট করে তুলেছে তারা। তাদের সঙ্গে ফ্যাসিস্ট সরকারের ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা রয়েছে। তাদের অপকর্মের জন্য বিএনপির দুর্নাম হয়। এ জন্য তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করি। এর জেরে গত শনিবার মামুন দলবল নিয়ে সাইনবোর্ড এলাকায় আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হলেও মামুনকে পুলিশ গ্রেফতার করছিল না। এজাহারনামীয় আসামি হয়েও মামুন থানায় এসে ঘুরাফেরা করে। বিষয়টি ওসিকে জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এরপর থানায় আসলে আমাদের দেখে মামুন দলবল নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন তাকে ধরে ওসির হাতে তুলে দেই।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ আসামিদের চিনে না। এর মধ্যে বাদি ও তার লোকজন মামুনকে ধরে নিয়ে আসে। এরপর মামুনকে আমরা গ্রেফতার করেছি।’ থানায় মারধরের বিষয়ে ওসি বলেন, ‘বাহিরে মারধর করা হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই। তবে আমার সামনে মামুনকে কেউ মারধর করেনি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মামলার আসামি বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে থানায় দিলেন ছাত্রদল নেতা

Update Time : 06:16:11 am, Wednesday, 12 March 2025
৩১

বিশেষ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় পরিবহণে চাঁদাবাজি নিয়ে বিএনপির একপক্ষ আরেক পক্ষের লোকদের মারধর করে। এ নিয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করে সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহমান। মামলায় আসামি করা হয় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন ও তার লোকজনকে।
মামলা হলেও পুলিশ মামুনেক গ্রেফতার করেনি। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হন আব্দুর রহমান। মামুন থানায় রয়েছে এমন খবরে সোমবার (১০ মার্চ) রাতে দলবল নিয়ে থানায় আসেন ছাত্রদল নেতা। এ সময় আব্দুর রহমানকে দেখে পালানোর চেষ্টা করে বিএনপির ওই সাধারণ সম্পাদক। পরে তাকে ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেলে আব্দুর রহমান ও তার লোকজন। এরপর মামুনকে মারতে মারতে ওসির রুমে নিয়ে যায় তারা। সেখানেও তাকে মারধর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১১টার দিকে অর্ধশতাধিক লোকজন থানার গেইটে চিল্লাচিল্লি করতে থাকে। একজনকে ধরে তারা মারতে থাকে। এ সময় থানায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি কাজী নাজমুল, নাজমুল হোসেন, কুতুবপুর ২ নাম্বার ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি লঙ্গী বাবু সাইনবোর্ড এলাকায় বিভিন্ন পরিবহণে চাঁদাবাজি করেন। তারা সোহেল নামে একজনকে চাঁদা আদায়ের দায়িত্ব দেয়। এর প্রতিবাদ করেন ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আতাই রাব্বি, সঞ্চয়, কুতুবপুর ২ নাম্বার ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান, মিল্টন।

এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কয়েকদিন যাবৎ সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে। এর মধ্যে গত শনিবার মামুন তার লোকজন নিয়ে মাহফুজ গ্রুপের ওপর হামলা চালায়। এতে আব্দুর রহমানসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়।

ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহমান বলেন, ‘মামুন তার সহযোগীদের নিয়ে গোটা সাইনবোর্ড এলাকা জিম্মি করে রেখেছে। তারা পরিবহণে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, ঝুট ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে। সাধারণ মানুষকে অতিষ্ট করে তুলেছে তারা। তাদের সঙ্গে ফ্যাসিস্ট সরকারের ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা রয়েছে। তাদের অপকর্মের জন্য বিএনপির দুর্নাম হয়। এ জন্য তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করি। এর জেরে গত শনিবার মামুন দলবল নিয়ে সাইনবোর্ড এলাকায় আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হলেও মামুনকে পুলিশ গ্রেফতার করছিল না। এজাহারনামীয় আসামি হয়েও মামুন থানায় এসে ঘুরাফেরা করে। বিষয়টি ওসিকে জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এরপর থানায় আসলে আমাদের দেখে মামুন দলবল নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন তাকে ধরে ওসির হাতে তুলে দেই।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ আসামিদের চিনে না। এর মধ্যে বাদি ও তার লোকজন মামুনকে ধরে নিয়ে আসে। এরপর মামুনকে আমরা গ্রেফতার করেছি।’ থানায় মারধরের বিষয়ে ওসি বলেন, ‘বাহিরে মারধর করা হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই। তবে আমার সামনে মামুনকে কেউ মারধর করেনি।