Dhaka 12:20 am, Monday, 24 November 2025

থানা লুটের অস্ত্র নিয়ে সভ্য সমাজের ঘুম হারাম

  • Reporter Name
  • Update Time : 07:06:25 am, Wednesday, 5 March 2025
  • 114 Time View

বিপ্লব হোসেন ফারুক,গাজীপুর: লুটের অস্ত্র আজ কার হাতে এগুলো কি এখন দেশ রক্ষার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এই প্রশ্ন বাঙালি সভ্য জাতির মাঝে সময়ের পরিক্রমায় কেবল উঁকিঝুঁকি মারতে শুরু হয়েছে। যখন থানা ভাঙচুর করে অস্ত্র লুট করা হয়েছিলো তখন সভ্য সমাজ চুপ ছিলেন। একবারও ভাবা হয়নি অস্ত্র গুলো কার হাতে যাচ্ছে? এখন সেই অস্ত্রের মুখে কেউ ধর্ষণ হচ্ছে,কারো ছিনতাই হচ্ছে,কেউ বা হচ্ছে খুন ,গাজীপুরে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বনভূমি গাছ বাঁশ বিনা বাঁধায় এখন ধ্বংস করা হচ্ছে ফরেস্ট গার্ড বাধা দিলেই জীবন দিতে হচ্ছে অথবা অকাতরে রক্ত ঝরাচ্ছে যে কারণে বন ধ্বংস বন বিভাগ নির্বিকার,এখন ঠিক সভ্য সমাজের টনক নড়ছে। সবাই যখন ছাত্র হত্যার বিচার নিয়ে ব্যস্ত,তখন সকল পুলিশ সদস্যরা তাদের জীবন নিয়ে সংকটাপন্ন। ইতোমধ্যে তারা জেনে গেছে যে পুলিশ হত্যার কোন বিচার হবে না।তাহলে নিজের পরিবার থাকতে কেনো নিজের জীবন বিসর্জন দিবে? তাদের পরিবার জানতেও পারবে না কেনো মারা হয়েছে একমাত্র উপার্জনকারী মানুষটিকে ,সন্তান জানতে পারবে না তাদের বাবাকে কারা মেরেছে। স্ত্রী জানতে পারবে না রাষ্ট্র সমাজের কল্যাণে তার স্বামীর অপরাধ কি , আজকাল সংবাদ মাধ্যম গুলোতে জানানো হয়েছে এত জন পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে ফিরে আসেনি,এরা আওয়ামী পন্থী ফ্যাসিবাদ পুলিশ। আসলে বেঁচে থাকলে না কর্মস্থলে ফিরে আসবে কোত্থেকে। যে যেভাবে পারতেছে পুলিশ কে মারতেছে অন্তত দৃঢ়তার সাথে এর প্রতিকার করতে পারছে না। হাইওয়ে তে অটো চলা নিষেধ, রিক্সা আটকালে রিক্সাওয়ালা মারতেছে,আসামী ধরতে গেলে এলাকাবাসী মারতেছে, ছিনতাইকারী ধরতে গেলে ছিনতাইকারী মারতেছে, রাস্তায় সার্জেন্ট মামলা দিতে গেলে, ড্রাইভার, হেলপার,বাইকার রা মারতেছে,থানায় গিয়ে ছাত্ররা পুলিশ পেটাচ্ছে।সমন্বয়ক রা পুলিশ কর্মকর্তাদের দরজায় চেক করতেছে। এত কিছুর পরেও কি পুলিশের মনোবল হাই থাকবে? পুলিশেরও তো পরিবার আছে, শুধু অপরাজনীতির শিকার গোটা পুলিশের সিস্টেম টাকে বদলে ফেলেছে। পুলিশ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী রাষ্ট্র প্রধানের কথা না শুনলে চাকরি নেই, সমাজের বড় বড় রাঘব বোয়ালদের কথা না শুনলে পুলিশের বিরুদ্ধে চলে মানববন্ধন। চমৎকার সভ্য জাতি আমরা বর্তমানে আমরা পুলিশের সিস্টেমটাকে পুরোপুরী বদলে দিয়েছি।একটা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য প্রথম কাজ হলো প্রশাসন কে ভঙ্গুর করে দেওয়া আমরা কলিকালের ‌ ব্রাহ্মণ হিসেবে অন্তত পুলিশ বলিদানের সেই কাজটাই সদর্পে করে ফেলেছি। বর্তমানে পুলিশ কে তো মানুষের কাতারেই রাখা হয় নাই। স্বার্থন্বেষীদের কাছে স্বার্থের বেতয় হলেই চলে মানববন্ধন একটা প্রবাদ বাক্য আছে, প্রকৃতি তার প্রতিশোধ নেয় তবে সেটা আরো ভয়ঙ্কর রুপে নেয়। প্রকৃতি তার প্রতিশোধ নিচ্ছে একটা দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের কি ভূমিকা তা বাংলার সব্য জাতি হিসেবে বুঝতে পারছি আমি আপনি সকলেই। সময়ের ব্যবধানে আগামী দিন গুলোতে আরো বুঝার অপেক্ষায় রইলাম নিশ্চয়ই থাকবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Murad Ahmed

Popular Post

ফতুল্লা থানা পুলিশ ০৯ (নয়) বোতল ফেন্সিডিল সহ ০২ (দুই) জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে

থানা লুটের অস্ত্র নিয়ে সভ্য সমাজের ঘুম হারাম

Update Time : 07:06:25 am, Wednesday, 5 March 2025

বিপ্লব হোসেন ফারুক,গাজীপুর: লুটের অস্ত্র আজ কার হাতে এগুলো কি এখন দেশ রক্ষার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এই প্রশ্ন বাঙালি সভ্য জাতির মাঝে সময়ের পরিক্রমায় কেবল উঁকিঝুঁকি মারতে শুরু হয়েছে। যখন থানা ভাঙচুর করে অস্ত্র লুট করা হয়েছিলো তখন সভ্য সমাজ চুপ ছিলেন। একবারও ভাবা হয়নি অস্ত্র গুলো কার হাতে যাচ্ছে? এখন সেই অস্ত্রের মুখে কেউ ধর্ষণ হচ্ছে,কারো ছিনতাই হচ্ছে,কেউ বা হচ্ছে খুন ,গাজীপুরে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বনভূমি গাছ বাঁশ বিনা বাঁধায় এখন ধ্বংস করা হচ্ছে ফরেস্ট গার্ড বাধা দিলেই জীবন দিতে হচ্ছে অথবা অকাতরে রক্ত ঝরাচ্ছে যে কারণে বন ধ্বংস বন বিভাগ নির্বিকার,এখন ঠিক সভ্য সমাজের টনক নড়ছে। সবাই যখন ছাত্র হত্যার বিচার নিয়ে ব্যস্ত,তখন সকল পুলিশ সদস্যরা তাদের জীবন নিয়ে সংকটাপন্ন। ইতোমধ্যে তারা জেনে গেছে যে পুলিশ হত্যার কোন বিচার হবে না।তাহলে নিজের পরিবার থাকতে কেনো নিজের জীবন বিসর্জন দিবে? তাদের পরিবার জানতেও পারবে না কেনো মারা হয়েছে একমাত্র উপার্জনকারী মানুষটিকে ,সন্তান জানতে পারবে না তাদের বাবাকে কারা মেরেছে। স্ত্রী জানতে পারবে না রাষ্ট্র সমাজের কল্যাণে তার স্বামীর অপরাধ কি , আজকাল সংবাদ মাধ্যম গুলোতে জানানো হয়েছে এত জন পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে ফিরে আসেনি,এরা আওয়ামী পন্থী ফ্যাসিবাদ পুলিশ। আসলে বেঁচে থাকলে না কর্মস্থলে ফিরে আসবে কোত্থেকে। যে যেভাবে পারতেছে পুলিশ কে মারতেছে অন্তত দৃঢ়তার সাথে এর প্রতিকার করতে পারছে না। হাইওয়ে তে অটো চলা নিষেধ, রিক্সা আটকালে রিক্সাওয়ালা মারতেছে,আসামী ধরতে গেলে এলাকাবাসী মারতেছে, ছিনতাইকারী ধরতে গেলে ছিনতাইকারী মারতেছে, রাস্তায় সার্জেন্ট মামলা দিতে গেলে, ড্রাইভার, হেলপার,বাইকার রা মারতেছে,থানায় গিয়ে ছাত্ররা পুলিশ পেটাচ্ছে।সমন্বয়ক রা পুলিশ কর্মকর্তাদের দরজায় চেক করতেছে। এত কিছুর পরেও কি পুলিশের মনোবল হাই থাকবে? পুলিশেরও তো পরিবার আছে, শুধু অপরাজনীতির শিকার গোটা পুলিশের সিস্টেম টাকে বদলে ফেলেছে। পুলিশ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী রাষ্ট্র প্রধানের কথা না শুনলে চাকরি নেই, সমাজের বড় বড় রাঘব বোয়ালদের কথা না শুনলে পুলিশের বিরুদ্ধে চলে মানববন্ধন। চমৎকার সভ্য জাতি আমরা বর্তমানে আমরা পুলিশের সিস্টেমটাকে পুরোপুরী বদলে দিয়েছি।একটা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য প্রথম কাজ হলো প্রশাসন কে ভঙ্গুর করে দেওয়া আমরা কলিকালের ‌ ব্রাহ্মণ হিসেবে অন্তত পুলিশ বলিদানের সেই কাজটাই সদর্পে করে ফেলেছি। বর্তমানে পুলিশ কে তো মানুষের কাতারেই রাখা হয় নাই। স্বার্থন্বেষীদের কাছে স্বার্থের বেতয় হলেই চলে মানববন্ধন একটা প্রবাদ বাক্য আছে, প্রকৃতি তার প্রতিশোধ নেয় তবে সেটা আরো ভয়ঙ্কর রুপে নেয়। প্রকৃতি তার প্রতিশোধ নিচ্ছে একটা দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের কি ভূমিকা তা বাংলার সব্য জাতি হিসেবে বুঝতে পারছি আমি আপনি সকলেই। সময়ের ব্যবধানে আগামী দিন গুলোতে আরো বুঝার অপেক্ষায় রইলাম নিশ্চয়ই থাকবেন।