রবিবার, ২৭ Jul ২০২৫, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
আমিনুর রহমান,নবাবগঞ্জ: নবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি খাস জমি এবং কৃষি জমিতে অবৈধভাবে মাটিকাটার মহাৎসব।ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বাহ্রা সোনারগাঁও এলাকায় রাতের আধারে কৃষকের কৃষিজমির পাশে পরিত্যাক্ত সরকারি খাস জমির মাটি কেটে বিক্রি করছে ইটভাটায়। এতে চারপাশে কৃষি জমি ভবিষ্যতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে কৃষক আনসার দেওয়ানের অভিযোগ।
এ ঘটনায় রবিবার (২ মার্চ ) নবাবগঞ্জ ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগে জানান যায়, নবাবগঞ্জ উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড সোনারগাঁও গ্রামে গত ২৮ফ্রেরুয়ারি ফসলি জমির পাশে বয়ে যাওয়া সরকারী খাল, খালের পাশে সরকারি খাস জমিটির উপর অস্থায়ী রাস্তা বানিয়ে রাতের অন্ধকারে বেকু দিয়ে মাটি কেটে মাহিন্দ্র দিয়ে উক্ত মাটিগুলো অবৈধ ইট ভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। ঐ এলাকায় বসবাসকারী কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তির ক্ষমতার দাপটে সরকারি জমিগুলো বড় বড় গর্ত করে বেকু দিয়ে মাটি কাটছে। যাদের ক্ষমতার দাপটে সরকারি কৃষি জমি ক্ষতি হচ্ছে।১. লুৎফর রহমান, পিতা: পলু বেপারী, সাং-বাহ্রা, ২. এ্যাড. খলিল, পিতা: জয়নাল, সাং- বাহ্রা, ৩. হালিম, পিতা: সানু, সাং- বাহ্রা, ৪. মহসিন, পিতা: মোস্তফা, সাং-বাহ্রা, উপজেলা: নবাবগঞ্জ, জেলা: ঢাকা।
পরিত্যাক্ত সরকারি খাস জমির আশে পাশে ব্যক্তিগত মালিকানা জমি রয়েছে উক্ত জমিতে বোরো মৌসুমে ধান চাষ, অন্যান্য মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করে থাকে। সেই চাষাবাদকৃত জমির পাশ থেকে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। অবৈধভাবে মাহিন্দ্র/ বেকু দিয়ে মাটি খনন করে জমিগুলা নষ্ট করে দিচ্ছে। সরকারি খাস জমি কিছুটা নিচু হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানি চলাচলে পাড় ভেঙ্গে কৃষি জমিগুলো নষ্ট হয়ে ফসল ফলানোর বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে ধারনা করেছে স্থানীয় কৃষক।
এদিকে গত তিন মাস ধরে নবাবগঞ্জ উপজেলা বিভিন্ন স্থানে কৃষি (তিন ফসলি) জমির মাটি বিক্রির মহাৎসব চলছে। শুধু এ বছর নয় বিগত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাস আসলেই এই অঞ্চলের কৃষি জমিগুলো মাটি বিক্রির ধুম পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে সরকারি কৃষি জমি কেটে মাটি বিক্রি করায় এই অঞ্চলে প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে আবাদি কৃষি উৎপাদিত ফসল। স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট চলে ঐ এলাকার মাটি কেটে বিক্রি।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসমা জাহানা বলেন, এভাবে কৃষি জমির মাটি বিক্রি করলে আট ইঞ্চি পর্যন্ত জমির উপরে যে অংশ রয়েছে, সেই টপ সয়েল কমে যায়।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলরুবা ইসলাম বলেন- সরকারি জমির মাটিকাটার বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চলমান রয়েছে। এদের বিষয়ে একাধিক ভ্রাম্যমান আদলত করে সাজা দেয়া হলেও থেমে নেই। রাতের আঁধারে তার সিন্ডিকেট করে মাটি কাটছে।