শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন
আমিনুর রহমান,নবাবগঞ্জ: বাপ দাদার শেষ সম্বল টুকু রক্ষা পেল না পাড়াগ্রাম নদীর পাড়ে বসবাসকারী অসহায় মানুষের আর্তনাথ।
রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার পাড়াগ্রাম নদীর পাড়ে বসবাসকারী ত্রিশটি পরিবার এর বসতবাড়ি ঘর টিকিয়ে রাখার জন্য অনেক আশা করে নবাবগঞ্জ ইউএনও এবং সহকারী কমিশন ভুমি নিকট লিখিত দরখাস্ত করেন ত্রিশটি পরিবারের পক্ষ থেকে রুমা আক্তার নামে। তাদের পূর্বে কোন নোটিশ না দিয়ে স্থাপনাগুলো সরানোর কোন সময় না দিয়ে হঠাৎ বেকু দিয়ে মাটি খনন করে রাস্তার কাজ শুরু করে।
এক বৃদ্ধ অগ্নিশিখা প্রতিনিধিকে বলেন, ভিটা নাইরে, মাটি নাইরে সরকার ভাঙ্গা নিছে ঘর। আমার আপন বলতে সরকার ছাড়া সবই যেন পর।
লিখিত অভিযোগ এর সূত্র ধরে অগ্নিশিখা প্রতিনিধি অনুসন্ধান চালিয়ে সরেজমিনে গিয়ে সঠিকভাবে তদন্ত করে। সরাসরি ভুক্তভোগীদের অভিযোগ শুনে তাদের অভিযোগ পত্রের সাথে ভুক্তভোগী কথার মিল রয়েছে।
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা কৈলাইল ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড পাড়াগ্রাম পাশে কালীগঙ্গা নদীর ভাঙ্গন রোধে তৎকালীন সরকার যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন এখনো সেই প্রকল্পের কাজ সমাপ্তি হয়নি। নদী শাসন করে যে নদীর পাড়ে সিমেন্টের পাটা বসিয়ে প্লাস্টার করা হয়েছে প্লাস্টারের উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের জন্য বেকু দিয়ে মাটি কেটে মানুষের বসবাসরত ঘরবাড়ি দোকানপাট গবাদি পশুর ঘর, তাদের ব্যবহারযোগ্য টিউবওয়েল গোসলখানা, সেনেটারী ল্যাটিন ভেঙে রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। স্থানীয় অঞ্চলের লোকজনদের জোরালো দাবি অন্তত তাদের পূর্ণবাসন না করে তাদের পাওনা হাতে না পেয়ে অন্য কোথাও যাবে না যেহেতু বসবাসযোগ্য সম্পত্তিগুলো কারো ক্রয় সূত্রের কারো পৈত্রিক সম্পত্তি বলে দাবি করেছে। বসবাসযোগ্য সম্পত্তিগুলো রাস্তায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে।পাড়াগ্রাম অঞ্চলের নদীর পাড়ে বসবাসরত লোকদের জোরালো দাবি অন্য কোথাও তাদের কে সরকারি জমি প্রদান করে স্থানান্তর করার জন্য অনুরোধ করছে।