সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ :
সোহানের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যামামলা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল মাগুরার সেই শিশুর পরিবারের দায়িত্ব নিলো জামায়াত এক সপ্তাহে ২৪ হাজার প্রবাসী গ্রেপ্তার করেছে সৌদি সরকার ড. ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ঢাকা ছেড়েছেন গুতেরেস ফতুল্লায় ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে ঢাবিতে এক দিনের ছুটি ঘোষণা পাকিস্তান থেকে এলো আরো ২৬ হাজার টন চাল স্কুলছাত্র আয়াজ হ*ত্যায় আসামিদের দণ্ড বহাল থাকবে কি না জানা যাবে কাল

রাতের আঁধারে মেঘনা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন, নদীগর্ভে ফসলি জমি

নিজস্ব প্রতিবেদক,কুমিল্লাঃ দিনে আশপাশের বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে রাখা হয় ড্রেজার। রাত হতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে চক্রের সদস্যরা। ড্রেজার যথাস্থানে বসিয়ে শুরু হয় বালু উত্তোলন। এতে ভাঙনের কবলে পড়েছে নদীতীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা। কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামে রাতে মেঘনা নদী থেকে এভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মচ্ছব চলছে। সরকারি অনুমোদন ছাড়াই বালু তোলায় নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এলাকার মানুষ।

সম্প্রতি সমন্বয় সভার পর প্রায় ২০ দিন এ কার্যক্রম বন্ধ ছিল। দুদিন ধরে রাতে চক্রের সদস্যরা ফের বালু তুলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের রামপ্রসাদের চরে মেঘনা নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। তারা সারারাত বালু তুলে ভোর হলে পালিয়ে যায়। এতে ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছেন রামপ্রসাদের চর, নলচর ও চালিভাঙ্গার বাসিন্দারা।

বালুখেকোরা খুবই ভয়ঙ্কর উল্লেখ করে চালিভাঙ্গা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আজমগীর হোসেন বলেন, ‘আমি অনেকবার অভিযান চালিয়েছি। কিন্ত তারা রাতে বালু উত্তোলন করে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী যদি সহায়তা করে, সঙ্গে স্থানীয় জনগণ যদি থাকে– তাহলে বালু উত্তোলন বন্ধ করা সম্ভব হবে। সম্প্রতি আমি নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধে অভিযান চালিয়েছিলাম। সেখানে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল চাঁদাবাজরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার ভাষ্য, এ চক্রকে প্রতিহত করা কঠিন। দুই-তিন মাস পর পর তারা ক্ষমতাসীনদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অবৈধ ড্রেজার চালায়। মধ্যরাতে প্রতিবাদ করতে গেলে প্রাণও হারাতে হতে পারে।

এলাকাবাসী বলেন, নলচর গ্রামের বারেক প্রধান, রবিউল্লাহ রবি, হাসনাত প্রধান সহ বিএনপির সুবিধাবাদী নেতারা এ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছে।

কিছুদিন পর পরই একটি চক্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ করেন চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি মাহবুবা ইসলাম মিলি। তিনি বলেন, ‘বালুখেকোদের বিরুদ্ধে বলায় হয়তো আমার হুমকির মুখে থাকা লাগতে পারে। এভাবে চলতে থাকলে এলাকার জমি শেষ হয়ে যাবে।

উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ছাত্রদের নিয়ে বিষয়টি আলোচনা হয়। তখন বালুখেকোরা বলেছিল, তারা আর উত্তোলন করবে না। ২০ দিন ধরে বন্ধও ছিল। এ তথ্য জানিয়ে ইউএনও হ্যাপী দাস বলেন, ‘আমি সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। শিগগিরই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোস্টগার্ডের (লে.) কমান্ডার মো. আহসান বলেন, ‘চালিভাঙ্গা এলাকা আমাদের সীমানার বাইরে। তারপরও আমরা অভিযান চালাই। জেলা প্রশাসন থেকে যদি আমাদের এ এলাকার সঙ্গে যুক্ত করে, তাহলে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করব।

বাঞ্ছারামপুর, হোমনা ও মেঘনার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মো. আদিল বলেন, অভিযান চালালেও রাতে বালুখেকোরা এ কাজ করে। নৌপথে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযান চালালে এলাকার কিছু মানুষ আক্রমণ চালায়। শিগগিরই বড় ধরনের অভিযান চালানো হবে।

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com