Dhaka 8:11 am, Tuesday, 16 December 2025

রুট-বাটলারদের ধুয়ে দিলেন পিটারসেন

Reporter Name
  • Update Time : 08:45:29 am, Monday, 10 February 2025
  • / 141 Time View
২৫

ক্রীড়া ডেস্কঃ ৫০-৬০ রান করলেই পরের ম্যাচে জায়গা পাকা। আর বেশি করার তাড়না নেই। একাদশে জায়গা না পেলেও সমস্যা নেই। গলফ খেলে বা পছন্দমতো কিছু করে সময় কাটানো যাবে! তীব্র সমালোচনায় এভাবেই উত্তরসূরীদের বিদ্ধ করলেন কেভিন পিটারসেন। বড় রানের ক্ষুধা না দেখে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের কাঠগড়ায় তুললেন সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক।

ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে চোখ রাখলেই পিটারসেনের ক্ষোভের কারণ স্পষ্ট হয়ে যায়। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কটকে প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের সবাই ছাড়িয়ে যান ২৫ রান। কিন্তু ফিফটি করতে পারেন মাত্র দুজন। সেই দুইজনও যেতে পারেননি ৭০ রান পর্যন্ত। ৬৫ রানে আউট হন ওপেনার বেন ডাকেট, ৬৯ রানে তিনে নামা জো রুট। এছাড়া ২৬ রানে ফেরেন ফিল সল্ট, ৩১ রানে হ্যারি ব্রুক। অধিনায়ক জস বাটলার থামেন ৩৪ রানে, লিয়াম লিভিংস্টোন ৪১ রানে।

প্রথম ওয়ানডেতে সাত ব্যাটসম্যান স্পর্শ করেন দুই অঙ্ক। কিন্তু সেদিনও ফিফটিতে পা রাখেন মাত্র দুজন। তারাও আউট হন পঞ্চাশ পেরিয়েই। তাদের মধ্যে ৫২ রানে বাটলার, ৫১ রানে জ্যাকব বেথেল। সেদিন সল্ট থমকে যান ৪৩ রানে, ডাকেট ৩২ রানে।

মূলত এই ইনিংসগুলোতেই ইঙ্গিত করলেন পিটারসেন। বরাবরই তার কথায় রাখঢাক কম। স্টার স্পোর্টসে আলোচনায় তিনি সরাসরিই তির ছুড়লেন ব্যাটসম্যানদের মানসিকতায়। তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে, ১৩০-১৪০ রান করার সেই ক্ষুধা ও তাড়নায় ঘাটতি আছে তাদের। এটাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সবাই ব্যাপারটাকে অতি সহজভাবে নিয়েছে। ৩০-৪০-৫০ রান করতে পারলেই ব্যস, হয়ে গেল… সব ঠিকঠাক…! ৫০ রান করলাম, ৬০ করলাম, তাহলেই পরের ম্যাচে খেলা নিশ্চিত। যদি খেলার সুযোগ না হয়, তাহলে তো ছুটি পাব এবং গিয়ে গলফ খেলব বা পছন্দমতো কিছু একটা করব।”

প্রথম ওয়ানডেতে ৩৩ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল ১৭০। অনায়াসেই সেখান থেকে ৩০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তারা গুটিয়ে যায় কেবল ২৪৮ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, ৩৩০-৩৪০ রানে হতে পারে তাদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জোটে ৩০৪ রান। পিটারসেন আঙুল তুললেন সেদিকেই। দ্বিতীয় ওয়ানডের মাঝবিরতিতেই তিনি বলছিলেন, আরও বেশি রান করা দরকার ছিল।

পিটারসেন বলেন, “মনে হচ্ছে, এমন কিছু একটা তাদের মধ্যে নেই যে নিজেকেই বলবে, ‘চলো সেই ১০০ করি, ১৩০ পর্যন্ত ছুটে যাই।’ আজকে (রোববার) তো এই দলের রান ৩৫০ হওয়ার কথা।” ৩০৪ রান নিয়ে তারা আজকে জিতেও যেতে পারে। সেই সম্ভাবনা ভালোভাবেই আছে। কিন্তু তাদেরকে আরও নিখুঁত হতে হবে এবং সেই ৩৫০-৩৬০ রান পর্যন্ত যেতে হবে, কারণ তারা সেটা করার মতো যথেষ্ট ভালো।”

পিটারসেনের কথাই কিন্তু সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। ৩০৪ রান করে ভারতের সামনে পাত্তাই পায়নি বাটলারের দল। প্রথম দুই ম্যাচেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে ভারত।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

রুট-বাটলারদের ধুয়ে দিলেন পিটারসেন

Update Time : 08:45:29 am, Monday, 10 February 2025
২৫

ক্রীড়া ডেস্কঃ ৫০-৬০ রান করলেই পরের ম্যাচে জায়গা পাকা। আর বেশি করার তাড়না নেই। একাদশে জায়গা না পেলেও সমস্যা নেই। গলফ খেলে বা পছন্দমতো কিছু করে সময় কাটানো যাবে! তীব্র সমালোচনায় এভাবেই উত্তরসূরীদের বিদ্ধ করলেন কেভিন পিটারসেন। বড় রানের ক্ষুধা না দেখে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের কাঠগড়ায় তুললেন সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক।

ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে চোখ রাখলেই পিটারসেনের ক্ষোভের কারণ স্পষ্ট হয়ে যায়। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কটকে প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের সবাই ছাড়িয়ে যান ২৫ রান। কিন্তু ফিফটি করতে পারেন মাত্র দুজন। সেই দুইজনও যেতে পারেননি ৭০ রান পর্যন্ত। ৬৫ রানে আউট হন ওপেনার বেন ডাকেট, ৬৯ রানে তিনে নামা জো রুট। এছাড়া ২৬ রানে ফেরেন ফিল সল্ট, ৩১ রানে হ্যারি ব্রুক। অধিনায়ক জস বাটলার থামেন ৩৪ রানে, লিয়াম লিভিংস্টোন ৪১ রানে।

প্রথম ওয়ানডেতে সাত ব্যাটসম্যান স্পর্শ করেন দুই অঙ্ক। কিন্তু সেদিনও ফিফটিতে পা রাখেন মাত্র দুজন। তারাও আউট হন পঞ্চাশ পেরিয়েই। তাদের মধ্যে ৫২ রানে বাটলার, ৫১ রানে জ্যাকব বেথেল। সেদিন সল্ট থমকে যান ৪৩ রানে, ডাকেট ৩২ রানে।

মূলত এই ইনিংসগুলোতেই ইঙ্গিত করলেন পিটারসেন। বরাবরই তার কথায় রাখঢাক কম। স্টার স্পোর্টসে আলোচনায় তিনি সরাসরিই তির ছুড়লেন ব্যাটসম্যানদের মানসিকতায়। তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে, ১৩০-১৪০ রান করার সেই ক্ষুধা ও তাড়নায় ঘাটতি আছে তাদের। এটাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সবাই ব্যাপারটাকে অতি সহজভাবে নিয়েছে। ৩০-৪০-৫০ রান করতে পারলেই ব্যস, হয়ে গেল… সব ঠিকঠাক…! ৫০ রান করলাম, ৬০ করলাম, তাহলেই পরের ম্যাচে খেলা নিশ্চিত। যদি খেলার সুযোগ না হয়, তাহলে তো ছুটি পাব এবং গিয়ে গলফ খেলব বা পছন্দমতো কিছু একটা করব।”

প্রথম ওয়ানডেতে ৩৩ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল ১৭০। অনায়াসেই সেখান থেকে ৩০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তারা গুটিয়ে যায় কেবল ২৪৮ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, ৩৩০-৩৪০ রানে হতে পারে তাদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জোটে ৩০৪ রান। পিটারসেন আঙুল তুললেন সেদিকেই। দ্বিতীয় ওয়ানডের মাঝবিরতিতেই তিনি বলছিলেন, আরও বেশি রান করা দরকার ছিল।

পিটারসেন বলেন, “মনে হচ্ছে, এমন কিছু একটা তাদের মধ্যে নেই যে নিজেকেই বলবে, ‘চলো সেই ১০০ করি, ১৩০ পর্যন্ত ছুটে যাই।’ আজকে (রোববার) তো এই দলের রান ৩৫০ হওয়ার কথা।” ৩০৪ রান নিয়ে তারা আজকে জিতেও যেতে পারে। সেই সম্ভাবনা ভালোভাবেই আছে। কিন্তু তাদেরকে আরও নিখুঁত হতে হবে এবং সেই ৩৫০-৩৬০ রান পর্যন্ত যেতে হবে, কারণ তারা সেটা করার মতো যথেষ্ট ভালো।”

পিটারসেনের কথাই কিন্তু সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। ৩০৪ রান করে ভারতের সামনে পাত্তাই পায়নি বাটলারের দল। প্রথম দুই ম্যাচেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে ভারত।