Dhaka 5:03 pm, Thursday, 25 December 2025

আজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে লকার খুলতে দুদকের অভিযান

Reporter Name
  • Update Time : 06:29:37 am, Sunday, 9 February 2025
  • / 130 Time View
৩৯

অগ্নিশিখা প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় সুরক্ষিত লকার বা সেফ ডিপোজিটর খুলতে অভিযান চালাবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ (রোববার) ঢাকা জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লকার খোলা হবে বলে জানা গেছে।

লকারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে ৩০০ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার অর্থসম্পদ ও অন্য মূল্যবান নথিপত্র সেফ ডিপোজিট আকারে রেখেছেন বলে তথ্য পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার নামেও লকার রয়েছে বলে জানা গেছে।

এসব লকারে রক্ষিত অর্থসম্পদ বা নথিপত্রের তালিকা করা হবে। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বা আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ কোনো সম্পদ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে পরবর্তীতে তদন্ত করা হবে।

২৬ জানুয়ারি দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের লকারে তল্লাশি করে প্রায় ৫ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছে। এগুলো এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জিম্মায় রাখা হয়েছে। অভিযানের সময় দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নামে আরও কিছু লকার দেখতে পায়।

এর মধ্যে যাদের নামে বর্তমানে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে তাদের নামেও লকার থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ কারণে দুদক ওইসব লকারেও তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এর প্রেক্ষিতে ২ ফেব্রুয়ারি দুদক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়ে কেউ যাতে ওইসব লকার খুলতে না পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করে। এরপর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল শাখার লকার আর কাউকে খুলতে দেওয়া হচ্ছে না।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে লকার খুলতে দুদকের অভিযান

Update Time : 06:29:37 am, Sunday, 9 February 2025
৩৯

অগ্নিশিখা প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় সুরক্ষিত লকার বা সেফ ডিপোজিটর খুলতে অভিযান চালাবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ (রোববার) ঢাকা জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লকার খোলা হবে বলে জানা গেছে।

লকারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে ৩০০ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার অর্থসম্পদ ও অন্য মূল্যবান নথিপত্র সেফ ডিপোজিট আকারে রেখেছেন বলে তথ্য পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার নামেও লকার রয়েছে বলে জানা গেছে।

এসব লকারে রক্ষিত অর্থসম্পদ বা নথিপত্রের তালিকা করা হবে। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বা আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ কোনো সম্পদ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে পরবর্তীতে তদন্ত করা হবে।

২৬ জানুয়ারি দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের লকারে তল্লাশি করে প্রায় ৫ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছে। এগুলো এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জিম্মায় রাখা হয়েছে। অভিযানের সময় দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নামে আরও কিছু লকার দেখতে পায়।

এর মধ্যে যাদের নামে বর্তমানে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে তাদের নামেও লকার থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ কারণে দুদক ওইসব লকারেও তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এর প্রেক্ষিতে ২ ফেব্রুয়ারি দুদক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়ে কেউ যাতে ওইসব লকার খুলতে না পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করে। এরপর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল শাখার লকার আর কাউকে খুলতে দেওয়া হচ্ছে না।