Dhaka 3:37 pm, Sunday, 23 November 2025

পলাশবাড়ীতে অনৈতিক কাজে ধরা কপত-কপতী, অতপর বিয়ে

  • Reporter Name
  • Update Time : 11:22:34 am, Thursday, 30 January 2025
  • 131 Time View

মিলন মন্ডল,পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে অনৈতিক কাজে আটক কপত-কপতীকে কাজী ডেকে বিয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দিনগত গভীর রাতে উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের পূর্বফরিদপুর গ্রামের পাতারিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

বর পাপুল মিয়া ওই গ্রামের এন্তাজ আলীর ছেলে। সে পেশায় একজন ভাংরী ব্যবসায়ী। কনে শাম্মি আক্তার একই গ্রামের শফি মিয়ার মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, জনতার হাতে আটক দুইজনের মধ্যে গোপন সম্পর্ক চলছিল। পাপুলের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। অপরদিকে শাম্মীর একটি ধর্ষণ মাদলার বাদী। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পলাশবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের হয়। যাহার নং ১৫।

বুধবার রাত ৯ টার দিকে পাপুল শাম্মীর সঙ্গে দেখা করতে যায়। এ সময় এলাকাবাসী তাদের দুজনকে ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে। পরে স্থানীয় পবনাপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহীনুর বেগম, ওয়ার্ড সদস্য খায়রুল আলম সরকার, সজিব মন্ডল ও সোহেল শেখের মধ্যস্থতায় এলাকাবাসীর চাপের মুখে বিয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

পরে কাজী শহিদুল ইসলামকেকে ডেকে ২ লাখ এক টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে রেজিস্ট্রিকৃত বিয়ে সম্পন্ন হয়।

এ ব্যাপারে পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহীনুর বেগম বলেন, খবর পেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্যদের নিয়ে আমি ঘটনাস্থলা যাই এবং বিয়ে পড়ানোর আগেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Murad Ahmed

Popular Post

ফতুল্লা থানা পুলিশ ০৯ (নয়) বোতল ফেন্সিডিল সহ ০২ (দুই) জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে

পলাশবাড়ীতে অনৈতিক কাজে ধরা কপত-কপতী, অতপর বিয়ে

Update Time : 11:22:34 am, Thursday, 30 January 2025

মিলন মন্ডল,পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে অনৈতিক কাজে আটক কপত-কপতীকে কাজী ডেকে বিয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দিনগত গভীর রাতে উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের পূর্বফরিদপুর গ্রামের পাতারিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

বর পাপুল মিয়া ওই গ্রামের এন্তাজ আলীর ছেলে। সে পেশায় একজন ভাংরী ব্যবসায়ী। কনে শাম্মি আক্তার একই গ্রামের শফি মিয়ার মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, জনতার হাতে আটক দুইজনের মধ্যে গোপন সম্পর্ক চলছিল। পাপুলের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। অপরদিকে শাম্মীর একটি ধর্ষণ মাদলার বাদী। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পলাশবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের হয়। যাহার নং ১৫।

বুধবার রাত ৯ টার দিকে পাপুল শাম্মীর সঙ্গে দেখা করতে যায়। এ সময় এলাকাবাসী তাদের দুজনকে ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে। পরে স্থানীয় পবনাপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহীনুর বেগম, ওয়ার্ড সদস্য খায়রুল আলম সরকার, সজিব মন্ডল ও সোহেল শেখের মধ্যস্থতায় এলাকাবাসীর চাপের মুখে বিয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

পরে কাজী শহিদুল ইসলামকেকে ডেকে ২ লাখ এক টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে রেজিস্ট্রিকৃত বিয়ে সম্পন্ন হয়।

এ ব্যাপারে পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহীনুর বেগম বলেন, খবর পেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্যদের নিয়ে আমি ঘটনাস্থলা যাই এবং বিয়ে পড়ানোর আগেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।