Dhaka 1:17 pm, Sunday, 23 November 2025

ওসমান পরিবারের রক্ষক বিএনপির রাজনীতিতে আঃলীগ নেতা মোফাজ্জল

  • Reporter Name
  • Update Time : 12:17:53 pm, Sunday, 26 January 2025
  • 116 Time View

বিশেষ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন এর ব্যানারে সদর থানা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন এর বিএনপিতে যোগদান। এ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে।

গোগনগর ইউনিয়ন একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ-০৪ আসনের সাবেক সাংসদ শামীম ওসমান এর চিহ্নিত দোসর মোফাজ্জল হোসেন দুবাইয়ের প্রবাসী ব্যবসায়ী। গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেনের ছোট ভাই ও সদর থানা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন। অনেকের মাধ্যমে ওসমান পরিবারের সাথে মোফাজ্জল এর পরিচয় হওয়ার সুবাদে শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহম্মেদ টিটু সাথে তার সখ্যতা গড়েউঠে এবং দুবাইতে ওসমান পরিবারকে সুরক্ষারর দায়িত্ব নেন তিনি। যখনই দুবাইতে ওসমান পরিবারে কোন সদস্য বা দোসররা যাবে রক্ষক হিসেবে তখনই মোফাজ্জলের কাধে দায়িত্ব ভার চলে যায়। তানভীর আহম্মেদ টিটু স্বর্ণের ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে পরিচিত হওয়ায় এবং তারই ধারাবাহিগতায় সকল প্রকার সুবিধা গ্রহণ করেন আক্তার হোসেন। ওসমানীয় দোসর বানিয়ে সকল সুবিধা নিতেন আক্তার হোসেন।

বিএনপির তৃনমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ আরও জানা যায়, স্বৈরশাসক আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন ছোট ভাই মোফাজ্জলকে পূজি করে গড়ে তুলেন বিশাল নেটওয়ার্ক। কিন্তু বিএনপির অনেক নেতৃবৃন্দরা মিটিং মিছিল হরতাল অবরোধের মত কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকলেও ছিলেন না আক্তার হোসেন। বুক ফুলিয়ে চলেছেন তিনি! স্বৈরশাসকের সময় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতৃবৃন্দরা হরতাল-অবরোধে সক্রিয় ভূমিকায় থাকলেও মাঠে ছিলেন না তিনি। এমনকি তাকে গ্রেফতার করতেও যায়নি প্রশাসনের কেউ। ছোট ভাই মোফাজ্জলের ছত্র-ছায়ায় সখ্যতা ছিল প্রশাসনের সাথেও। এমনকি ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ মহাসড়কের সাথেই তার বাড়ি থাকলেও তার নেতৃত্বে কোন সড়কে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচী দিতে ব্যর্থ ছিলেন তিনি। এসড়কে যুবদলের সাদেকুর রহমান সাদেক ও সৈকত হাসান ইকবাল এর নেতৃত্বে সড়ক অবরোধ করে কঠিন কর্মসূচি দিয়েছেন। শুধু তাই নয় যুবদলের পাশাপাশি মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদ’ল রানার নেতৃত্বেও কর্মসূচী পালন করা হয়। ছোট ভাইয়ের সুনাম রক্ষায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত ছিলেন আক্তার হোসেন।

তারা আরোও জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ই আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতারাও আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যায়। তাই ছোট ভাইকে ছাত্র-জনতা হত্যামামলা থেকে রক্ষায় মিশনে নেমে পড়েন আক্তার হোসেন। তাই বিএনপির ব্যানারে নামমাত্র বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য ছোট ভাইয়ের ছবি ব্যানারে দেওয়া হয়। এমন কৃতকর্মে ক্ষুব্ধ স্থানীয় তৃনমূল বিএনপি।

স্থানীয়রা বলেন, ওসমান দোসরদের দ্বারা বিএনপির সুনাম নষ্ট করতে আর কিছুই বাকি রহিল না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Murad Ahmed

Popular Post

ফতুল্লা থানা পুলিশ ০৯ (নয়) বোতল ফেন্সিডিল সহ ০২ (দুই) জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে

ওসমান পরিবারের রক্ষক বিএনপির রাজনীতিতে আঃলীগ নেতা মোফাজ্জল

Update Time : 12:17:53 pm, Sunday, 26 January 2025

বিশেষ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন এর ব্যানারে সদর থানা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন এর বিএনপিতে যোগদান। এ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে।

গোগনগর ইউনিয়ন একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ-০৪ আসনের সাবেক সাংসদ শামীম ওসমান এর চিহ্নিত দোসর মোফাজ্জল হোসেন দুবাইয়ের প্রবাসী ব্যবসায়ী। গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেনের ছোট ভাই ও সদর থানা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন। অনেকের মাধ্যমে ওসমান পরিবারের সাথে মোফাজ্জল এর পরিচয় হওয়ার সুবাদে শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহম্মেদ টিটু সাথে তার সখ্যতা গড়েউঠে এবং দুবাইতে ওসমান পরিবারকে সুরক্ষারর দায়িত্ব নেন তিনি। যখনই দুবাইতে ওসমান পরিবারে কোন সদস্য বা দোসররা যাবে রক্ষক হিসেবে তখনই মোফাজ্জলের কাধে দায়িত্ব ভার চলে যায়। তানভীর আহম্মেদ টিটু স্বর্ণের ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে পরিচিত হওয়ায় এবং তারই ধারাবাহিগতায় সকল প্রকার সুবিধা গ্রহণ করেন আক্তার হোসেন। ওসমানীয় দোসর বানিয়ে সকল সুবিধা নিতেন আক্তার হোসেন।

বিএনপির তৃনমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ আরও জানা যায়, স্বৈরশাসক আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন ছোট ভাই মোফাজ্জলকে পূজি করে গড়ে তুলেন বিশাল নেটওয়ার্ক। কিন্তু বিএনপির অনেক নেতৃবৃন্দরা মিটিং মিছিল হরতাল অবরোধের মত কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকলেও ছিলেন না আক্তার হোসেন। বুক ফুলিয়ে চলেছেন তিনি! স্বৈরশাসকের সময় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতৃবৃন্দরা হরতাল-অবরোধে সক্রিয় ভূমিকায় থাকলেও মাঠে ছিলেন না তিনি। এমনকি তাকে গ্রেফতার করতেও যায়নি প্রশাসনের কেউ। ছোট ভাই মোফাজ্জলের ছত্র-ছায়ায় সখ্যতা ছিল প্রশাসনের সাথেও। এমনকি ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ মহাসড়কের সাথেই তার বাড়ি থাকলেও তার নেতৃত্বে কোন সড়কে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচী দিতে ব্যর্থ ছিলেন তিনি। এসড়কে যুবদলের সাদেকুর রহমান সাদেক ও সৈকত হাসান ইকবাল এর নেতৃত্বে সড়ক অবরোধ করে কঠিন কর্মসূচি দিয়েছেন। শুধু তাই নয় যুবদলের পাশাপাশি মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদ’ল রানার নেতৃত্বেও কর্মসূচী পালন করা হয়। ছোট ভাইয়ের সুনাম রক্ষায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত ছিলেন আক্তার হোসেন।

তারা আরোও জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ই আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতারাও আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যায়। তাই ছোট ভাইকে ছাত্র-জনতা হত্যামামলা থেকে রক্ষায় মিশনে নেমে পড়েন আক্তার হোসেন। তাই বিএনপির ব্যানারে নামমাত্র বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য ছোট ভাইয়ের ছবি ব্যানারে দেওয়া হয়। এমন কৃতকর্মে ক্ষুব্ধ স্থানীয় তৃনমূল বিএনপি।

স্থানীয়রা বলেন, ওসমান দোসরদের দ্বারা বিএনপির সুনাম নষ্ট করতে আর কিছুই বাকি রহিল না।