Dhaka 9:03 am, Tuesday, 25 November 2025

গাজীর বনে ধ্বংসের কালো মেঘের নির্দয় বজ্রপাত ???

Reporter Name
  • Update Time : 10:35:39 am, Wednesday, 15 January 2025
  • / 164 Time View
১১

বিপ্লব হোসেন ফারুকঃ গাজীপুর কালিয়াকৈর থানাধীন কাচিঘাটা রেঞ্জের আওতায় সদরবিট ও জাতিলা এ দুটি বন বিটের বর্তমান দায়িত্ব প্রপ্ত বিট কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এর অনৈতিক কর্মকান্ডের শেষ যেন সর্বনাশা কালো মেঘের নির্দয় বজ্রপাত। বিগত ৫ই আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে এ দুটি বনবিট সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ঘটেছে বিট কর্মকর্তাদের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষসহ জবরদখল বৃক্ষ নিধন এমনকি বনের উচু টিলার মাটি পর্যন্ত ক্রয় বিক্রয়ের ঘটনা।উল্লেখিত রেঞ্জে নতুন রেঞ্জ কর্মকর্তা যোগদানের পর তার কৌশলী দূরদর্শিতা ও ব্যাপক সাহসী পদক্ষেপের মুখে বনদস্যু, ভূমিদস্যুগন কিছুটা নিভৃত হলেও নতুন বিট কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম যোগ দানের পর সবকিছু যেন পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছে। উল্লেখিত বিটের অধীন সবকটি মৌজার বনভূমিতে প্রকৃতির আশীর্বাদ স্বরূপ রয়েছে ঔষধি গাছসহ মূল্যবান বাগান কাঠ কড়ই,শিলকড়ই, তাম্বুল, রেন্ডি, আমলকি, হরতকি, জারুল, আকাশমনি, শাল গজারি আরো নাম না জানা বহু গাছগাছালি, আর এসব গাছ প্রকাশ্যে দিবালোকে নির্দয় ভাবে কেটেছেটে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বাড়িঘর, দোকানপাঠ তাতেও ক্ষান্ত হয়নি দস্যুদল , লালসার অতৃপ্ত বাসনা নিয়ে দিন দুপুরে বেকু দিয়ে মাটি কেটে মহেন্দ্র ট্র্যাক্টরে করে নিয়ে যাচ্ছে যা দেখে মনে হচ্ছে এ যেন এক অরক্ষিত ভোগবাদীদের সম্পদ, সংশ্লিষ্ট মহল নির্বিকার,ক্ষমতাবানদের মাঝে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে চলছে দলাদলি , এই সমস্ত হৃদয়বিদারক স্পর্শকাতর বিষয় গুলো আরো কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করতে সরেজমিনে সমীক্ষার জন্য উপস্থিত হয়ে উল্লেখিত বিটের অধীনে বিভিন্ন মৌজা ভিত্তিক এলাকার মধ্যে মজিতের চালা, শালদপাড়া,কড়ই চালা, গোয়ালবাইদ, গোয়াচালা,ইতালি বাজার, সিঙ্গাপুর বাজার, বেতার চালা, কম্বলপাড়া, বাশাকুর চালা,লন্ডন বাজার,সাগরচালা এসবকটি এলাকায় গিয়ে দেখা মেলে একই চিত্র। এমন মর্মস্পর্শী বিষয়টি নিয়ে বিট কর্মকর্তার খোজে মুটো ফোনে কথা বলতে গিয়ে জানাযায় তিনি ঢাকার বাহিরে ছুটিতে আছেন কখনো বাহিরে আছেন বলিয়া জানান এভাবে কয়েকদিন খোঁজ নিলেও বিট অফিসে কর্মক্ষেত্রের দায়িত্বে কয়েকদিনেও দেখা মেলেনি। তবে গোপন সূত্রে জানা যায় ইতিমধ্যে তিনি মাটিকাটা চক্রের মূলহোতা,গাছ কাটা সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের সঙ্গে কয়েক শ্রেণীতে বিভক্ত করে গড়ে তুলেছেন গোপন সখ্যতা, তার রয়েছে জায়গা বেজায়গায় আড্ডা স্থল , চলছে আলো আঁধারে লেনদেন বন ধ্বংসে অসীম ষড়যন্ত্র। রেঞ্জ কর্মকর্তার দাপুটি পদক্ষেপ বন রক্ষার আফ্রান প্রচেষ্টা আজ যেন ব্যর্থতায় পর্যুদস্ত, তার অসহায়ত্বের গ্লানি যেন চোখেমুখে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে অর্থ লোভী চতুর বিট কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের চল চাতুরী নিয়ে, কথায় বলে দুর্জোনের ছলের অভাব হয় না।
আলাদিনের জাদুর চেরাগের ছোঁয়ায় তিনি একমাত্র ফরেস্টার বিরাট ক্ষমতাধর গুলমতি দলের চন্দ্র ভাদু ।যিনি বিগত দিনে চন্দ্রা ফরেস্ট বিটে দায়িত্বে থাকা কালে তার কার্য প্রণালীর ধরনে অসন্তোষ জনক বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অসন্তুষ্ট হয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাহাকে ঢাকা ডিভিশনের বাহিরে বদলী করা হয়।বর্তমানে তিনি অলৌকিক ক্ষমতা বলে এক বছর যেতে না যেতেই ঢাকা ডিভিশনে পুনরায় বদলি হলেন। বিষয়টি অনেকের কাছে উদ্যোগ জনক হলেও তাহার কাছে যে রয়েছে মহামতি আলাদীনের জাদুর চেরাগ, মারফতের গুল্মবাণী জানে কে ? আজ গভীর বনের পাখিরা গণবিলুপ্তির ভয়ে কিচিরমিচির শব্দ বন্ধ করে দিয়েছে, দিন দুপুরে ডাকছে না বউ কথা কও! দেশপ্রেমের বন্দনায় কবে কখন ডাকিবে গো বনশয্যায় সজ্জিত নিশাচর ডাহুক?

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

8

গাজীর বনে ধ্বংসের কালো মেঘের নির্দয় বজ্রপাত ???

Update Time : 10:35:39 am, Wednesday, 15 January 2025
১১

বিপ্লব হোসেন ফারুকঃ গাজীপুর কালিয়াকৈর থানাধীন কাচিঘাটা রেঞ্জের আওতায় সদরবিট ও জাতিলা এ দুটি বন বিটের বর্তমান দায়িত্ব প্রপ্ত বিট কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এর অনৈতিক কর্মকান্ডের শেষ যেন সর্বনাশা কালো মেঘের নির্দয় বজ্রপাত। বিগত ৫ই আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে এ দুটি বনবিট সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ঘটেছে বিট কর্মকর্তাদের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষসহ জবরদখল বৃক্ষ নিধন এমনকি বনের উচু টিলার মাটি পর্যন্ত ক্রয় বিক্রয়ের ঘটনা।উল্লেখিত রেঞ্জে নতুন রেঞ্জ কর্মকর্তা যোগদানের পর তার কৌশলী দূরদর্শিতা ও ব্যাপক সাহসী পদক্ষেপের মুখে বনদস্যু, ভূমিদস্যুগন কিছুটা নিভৃত হলেও নতুন বিট কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম যোগ দানের পর সবকিছু যেন পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছে। উল্লেখিত বিটের অধীন সবকটি মৌজার বনভূমিতে প্রকৃতির আশীর্বাদ স্বরূপ রয়েছে ঔষধি গাছসহ মূল্যবান বাগান কাঠ কড়ই,শিলকড়ই, তাম্বুল, রেন্ডি, আমলকি, হরতকি, জারুল, আকাশমনি, শাল গজারি আরো নাম না জানা বহু গাছগাছালি, আর এসব গাছ প্রকাশ্যে দিবালোকে নির্দয় ভাবে কেটেছেটে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বাড়িঘর, দোকানপাঠ তাতেও ক্ষান্ত হয়নি দস্যুদল , লালসার অতৃপ্ত বাসনা নিয়ে দিন দুপুরে বেকু দিয়ে মাটি কেটে মহেন্দ্র ট্র্যাক্টরে করে নিয়ে যাচ্ছে যা দেখে মনে হচ্ছে এ যেন এক অরক্ষিত ভোগবাদীদের সম্পদ, সংশ্লিষ্ট মহল নির্বিকার,ক্ষমতাবানদের মাঝে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে চলছে দলাদলি , এই সমস্ত হৃদয়বিদারক স্পর্শকাতর বিষয় গুলো আরো কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করতে সরেজমিনে সমীক্ষার জন্য উপস্থিত হয়ে উল্লেখিত বিটের অধীনে বিভিন্ন মৌজা ভিত্তিক এলাকার মধ্যে মজিতের চালা, শালদপাড়া,কড়ই চালা, গোয়ালবাইদ, গোয়াচালা,ইতালি বাজার, সিঙ্গাপুর বাজার, বেতার চালা, কম্বলপাড়া, বাশাকুর চালা,লন্ডন বাজার,সাগরচালা এসবকটি এলাকায় গিয়ে দেখা মেলে একই চিত্র। এমন মর্মস্পর্শী বিষয়টি নিয়ে বিট কর্মকর্তার খোজে মুটো ফোনে কথা বলতে গিয়ে জানাযায় তিনি ঢাকার বাহিরে ছুটিতে আছেন কখনো বাহিরে আছেন বলিয়া জানান এভাবে কয়েকদিন খোঁজ নিলেও বিট অফিসে কর্মক্ষেত্রের দায়িত্বে কয়েকদিনেও দেখা মেলেনি। তবে গোপন সূত্রে জানা যায় ইতিমধ্যে তিনি মাটিকাটা চক্রের মূলহোতা,গাছ কাটা সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের সঙ্গে কয়েক শ্রেণীতে বিভক্ত করে গড়ে তুলেছেন গোপন সখ্যতা, তার রয়েছে জায়গা বেজায়গায় আড্ডা স্থল , চলছে আলো আঁধারে লেনদেন বন ধ্বংসে অসীম ষড়যন্ত্র। রেঞ্জ কর্মকর্তার দাপুটি পদক্ষেপ বন রক্ষার আফ্রান প্রচেষ্টা আজ যেন ব্যর্থতায় পর্যুদস্ত, তার অসহায়ত্বের গ্লানি যেন চোখেমুখে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে অর্থ লোভী চতুর বিট কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের চল চাতুরী নিয়ে, কথায় বলে দুর্জোনের ছলের অভাব হয় না।
আলাদিনের জাদুর চেরাগের ছোঁয়ায় তিনি একমাত্র ফরেস্টার বিরাট ক্ষমতাধর গুলমতি দলের চন্দ্র ভাদু ।যিনি বিগত দিনে চন্দ্রা ফরেস্ট বিটে দায়িত্বে থাকা কালে তার কার্য প্রণালীর ধরনে অসন্তোষ জনক বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অসন্তুষ্ট হয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাহাকে ঢাকা ডিভিশনের বাহিরে বদলী করা হয়।বর্তমানে তিনি অলৌকিক ক্ষমতা বলে এক বছর যেতে না যেতেই ঢাকা ডিভিশনে পুনরায় বদলি হলেন। বিষয়টি অনেকের কাছে উদ্যোগ জনক হলেও তাহার কাছে যে রয়েছে মহামতি আলাদীনের জাদুর চেরাগ, মারফতের গুল্মবাণী জানে কে ? আজ গভীর বনের পাখিরা গণবিলুপ্তির ভয়ে কিচিরমিচির শব্দ বন্ধ করে দিয়েছে, দিন দুপুরে ডাকছে না বউ কথা কও! দেশপ্রেমের বন্দনায় কবে কখন ডাকিবে গো বনশয্যায় সজ্জিত নিশাচর ডাহুক?