Dhaka 6:59 am, Sunday, 23 November 2025

গৃহবধূ ফিজার গলায় দু’টি দাগ ! এখন কি বলবেন ওসি ?

  • Reporter Name
  • Update Time : 07:50:05 am, Saturday, 11 January 2025
  • 132 Time View

বিশেষ প্রতিনিধিঃ শেষ পর্যন্ত ফতুল্লায় গৃহবধূকে হত্যার পর লাশ জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার ৫ দিন পর থানায় অভিযোগ গ্রহণ করেছে পুলিশ। আর ওই ঘটনায় স্বামীসহ সাত জনকে আসামী করা হয়েছে মামলায় ।

গতকাল মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা করে নিহতের বাবা মোহাম্মদ আলী।

নিহতের বাবা মোহাম্মদ আলীর দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নিহত গৃহবধুর শ্বশুর মনির হোসেন মনু, শ্বাশুড়ি আকলিমা বেগম, ননদ মুন্নী, চাচাতো ভাই তোফাজ্জল হোসেন ও তার বড় ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী চুন্নুর ইন্ধনে ফিজা কে হত্যা করে তার স্বামী মুন্না। ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ফিতাকে হত্যা করে লাশ জানালার সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে পালিয়ে যায় সকলে।

এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম জানান, ‘ময়নাতদন্তে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা গেছে। এতে ফিজাকে হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

ওসি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার ২ জানুয়ারি রাতে ফতুল্লার লামাপাড়া নয়া মাটি এলাকার শশুর বাড়ির জানালার গ্রিল থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি লামিয়া আক্তার ফিজার (২১)। এ সময় ফিজার স্বামী আসাদুজ্জামান মুন্না ও তার বাবা মনির হোসেন মনুসহ পরিবারের সবাই আত্মগোপন ছিলেন। ফলে নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে রহস্যের সৃষ্টি হয়।

খোজ নিয়ে আরো নির্ভরশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, “ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, নিহতের গলায় দুটি দাগ। একটি মারার সময়ের অপরটি হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখার চিহ্নই প্রমাণ করে এটি হত্যাকান্ড। যার প্রতিবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হিত গৃহবধু ফিজার বাবা বলেন, ফিজার সঙ্গে তার স্বামী মুন্না ও তার পরিবারের সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। এতে ফিজাকে একাধিকবার মারধরও করেছে মুন্না ও তার পরিবারের সদস্যরা।

গৃহবধু হত্যাকান্ডের এই ঘটনায় তোফাজ্জল হোসেন কে গ্রফতার করে নানা ছলচাতুরীর মাধ্যমে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সাথে পুলিশ নিহত গৃহবধুর বাবাসহ অন্যান্যদের নানােোব হয়রানীর অভিযোগ চিলো গত কয়েক দিন যাবৎ।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে গৃহবধু ফিজার মৃত্যু সুস্পষ্ট হত্যাকান্ড হওয়ায় ফতুল্লা অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এখন ওসি কি বলবেন ? আসামীদের কাছ থেকে কত টাকা পেয়ে এই হত্যাকারীদের আটক না করে তাদের পালাতে সহায়তা করে মামলা গ্রহণে বিলম্ব করলেন ? অসংখ্য মাদক মামলার চিহ্নিত আসামী চুন্নু তোফাজ্জল, আসাদুজ্জামান মুন্না ও তার বাবা মনির হোসেন মনুসহ এজাহারভূক্ত আসামীদের পালাতে সহায়তা করলো কারা ?

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Murad Ahmed

Popular Post

ফতুল্লা থানা পুলিশ ০৯ (নয়) বোতল ফেন্সিডিল সহ ০২ (দুই) জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে

গৃহবধূ ফিজার গলায় দু’টি দাগ ! এখন কি বলবেন ওসি ?

Update Time : 07:50:05 am, Saturday, 11 January 2025

বিশেষ প্রতিনিধিঃ শেষ পর্যন্ত ফতুল্লায় গৃহবধূকে হত্যার পর লাশ জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার ৫ দিন পর থানায় অভিযোগ গ্রহণ করেছে পুলিশ। আর ওই ঘটনায় স্বামীসহ সাত জনকে আসামী করা হয়েছে মামলায় ।

গতকাল মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা করে নিহতের বাবা মোহাম্মদ আলী।

নিহতের বাবা মোহাম্মদ আলীর দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নিহত গৃহবধুর শ্বশুর মনির হোসেন মনু, শ্বাশুড়ি আকলিমা বেগম, ননদ মুন্নী, চাচাতো ভাই তোফাজ্জল হোসেন ও তার বড় ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী চুন্নুর ইন্ধনে ফিজা কে হত্যা করে তার স্বামী মুন্না। ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ফিতাকে হত্যা করে লাশ জানালার সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে পালিয়ে যায় সকলে।

এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম জানান, ‘ময়নাতদন্তে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা গেছে। এতে ফিজাকে হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

ওসি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার ২ জানুয়ারি রাতে ফতুল্লার লামাপাড়া নয়া মাটি এলাকার শশুর বাড়ির জানালার গ্রিল থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি লামিয়া আক্তার ফিজার (২১)। এ সময় ফিজার স্বামী আসাদুজ্জামান মুন্না ও তার বাবা মনির হোসেন মনুসহ পরিবারের সবাই আত্মগোপন ছিলেন। ফলে নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে রহস্যের সৃষ্টি হয়।

খোজ নিয়ে আরো নির্ভরশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, “ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, নিহতের গলায় দুটি দাগ। একটি মারার সময়ের অপরটি হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখার চিহ্নই প্রমাণ করে এটি হত্যাকান্ড। যার প্রতিবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হিত গৃহবধু ফিজার বাবা বলেন, ফিজার সঙ্গে তার স্বামী মুন্না ও তার পরিবারের সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। এতে ফিজাকে একাধিকবার মারধরও করেছে মুন্না ও তার পরিবারের সদস্যরা।

গৃহবধু হত্যাকান্ডের এই ঘটনায় তোফাজ্জল হোসেন কে গ্রফতার করে নানা ছলচাতুরীর মাধ্যমে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সাথে পুলিশ নিহত গৃহবধুর বাবাসহ অন্যান্যদের নানােোব হয়রানীর অভিযোগ চিলো গত কয়েক দিন যাবৎ।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে গৃহবধু ফিজার মৃত্যু সুস্পষ্ট হত্যাকান্ড হওয়ায় ফতুল্লা অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এখন ওসি কি বলবেন ? আসামীদের কাছ থেকে কত টাকা পেয়ে এই হত্যাকারীদের আটক না করে তাদের পালাতে সহায়তা করে মামলা গ্রহণে বিলম্ব করলেন ? অসংখ্য মাদক মামলার চিহ্নিত আসামী চুন্নু তোফাজ্জল, আসাদুজ্জামান মুন্না ও তার বাবা মনির হোসেন মনুসহ এজাহারভূক্ত আসামীদের পালাতে সহায়তা করলো কারা ?