বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২৪ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ :
শাহরুখের সঙ্গে গভীর সম্পর্কের অজানা গল্প জানালেন মনীষা সিদ্ধিরগঞ্জ যুবলীগের সভাপতি মতি ও তার ছেলে গ্রেফতার চীনের রাষ্ট্রদূতের ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক পিএসসির ৬ সদস্যের নিয়োগ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে না: হাইকোর্ট আবারও অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান উলিপুরে তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা ২০২৫ কলেরার প্রকোপ কমাতে টিকার কার্যক্রম শুরু,,, দেওয়া হচ্ছে সাড়ে ১৩ লাখ টিকা ওসমানীনগরের নদীতে প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার পরিবেশ হুমকির মুখে নিজে নিজে হাঁটতে পারছেন খালেদা জিয়াঃ ডা. জাহিদ হোসেন

চট্টগ্রাম আদালত থেকে গায়েব হওয়া ৯ বস্তা নথি মিললো ভাঙারির দোকানে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম আদালতের সরকারি কৌঁসুলি কক্ষের সামনের বারান্দা থেকে গায়েব হওয়া মামলার নথির বস্তা ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এক চা বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম আদালত থেকে চুরি হয়ে যাওয়া ৯ বস্তা নথি ভাঙারি দোকানের গোডাউন থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় একজনকে আটক করা হয়েছে।

গত ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলার বারান্দায় প্রায় দুই বছর ধরে রক্ষিত ১ হাজার ৯১১টি কেস ডকেট চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভুঁইয়া কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, হত্যা, মাদক, চোরাচালান, অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ প্রায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মহানগর পিপির এখতিয়ারে থাকা অন্তত ৩০টি আদালতে চলমান মামলার নথি এগুলো। হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার এসব নথি বিচারিক কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলছেন আইনজীবীরা।

নথিগুলোর খোঁজ না পাওয়ায় গত রোববার নগরের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফিজুল হক ভুঁইয়া।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় এক হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল।

আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।

সরকারি কৌঁসুলি মফিজুল হক ভুঁইয়া বলেন, নথিগুলো রাখার জন্য কক্ষ পাওয়া যাচ্ছে না। কক্ষ চাওয়া হয়েছিল। তাই নথিগুলে সেখানে রাখা হয়। তা ছাড়া আমার কক্ষটি নথিতে ঠাসা হয়ে আছে বলে জানান তিনি।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল করিম বলেন, মহানগর পিপির কার্যালয়ের সামনে রাখা এক হাজার ৯১১ মামলার নথি হারানোর ঘটনায় করা জিডির বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com