Dhaka 6:59 pm, Saturday, 22 November 2025

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে সন্দেহ দূরে রাখবেন কীভাবে?

  • Reporter Name
  • Update Time : 08:50:27 am, Monday, 23 December 2024
  • 240 Time View

ফিচার ডেস্কঃ দাম্পত্য জীবন সুখময় হয়ে ওঠে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্মান ও সহমর্মিতার উপর নির্ভর করে। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, ভালবাসা ও সহানুভূতি যত গভীর হয়, দুজনের বন্ধনটাও যেন তত দৃঢ় হতে থাকে। আর যখনই এই সম্পর্কে বিশ্বাস ও ভালবাসার বদলে অনুপ্রবেশ করে অবিশ্বাস ও সন্দেহ তখনই দুজনের মধ্যে বাড়তে থাকে দুরত্ব। যার ফলাফল দাম্পত্য কলহ, নির্যাতন এবং অবশেষে পারিবারিক ভাঙন। অধিকাংশ দাম্পত্য কলহের সূত্রপাত হয় স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি সন্দেহ থেকেই।

আসলে আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে জীবন গতিশীল হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু মোবাইল, ইন্টারনেট, ফেসবুকের জন্যে বাড়ছে পরিচিত মণ্ডল। বাড়ছে অপ্রয়োজনীয় সম্পর্ক। বাড়ছে নেতিবাচক আবেগ ও অনুভূতি। যা অন্যান্য সর্ম্পকগুলোর পাশাপাশি টানাপোড়েন সৃষ্টি করছে বৈবাহিক সম্পর্কেও।

সেই আদি যুগ থেকে যে নেতিবাচক আবেগটি এককভাবে সংসারের সুখকে নিঃশেষ করার জন্যে যথেষ্ট তা হলো সন্দেহ। সন্দেহ বিভিন্ন রূপে আমাদের সম্পর্কে অনুপ্রবেশ করে। এটা কারো কারো মধ্যে থাকে স্বাভাবিক পর্যায়ের। আবার কারো মধ্যে প্রকাশ পায় অস্বাভাবিক অসুস্থতা রূপে।

আসুন জেনে নিই সাধারণত কী কারণে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে সন্দেহের উদ্রেক হয় এবং এর সহজ সমাধানের মাধ্যমে সুখের সংসার গড়ার উপায়।

পারস্পরিক সম্মান বনাম মাত্রাতিরিক্ত অধিকারবোধ সে আমার সম্পত্তি নয়, সে আমার সম্পদ – কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা হৈমন্তি গল্পের এই লাইনটি আমরা সবাই কমবেশি পড়েছি। কিন্তু আদৌ কী এর তাৎপর্য বুঝার চেষ্টা করেছি?

আসলে জীবনসঙ্গীকে সম্পত্তির মতো ভোগ করে নয় বরং সম্পদ হিসেবে যখন একে অপরকে মূল্যায়ন করবে, যত্ন নিবে তখনই এর গভীরতা বাড়বে। একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন যে বিয়ের পরে স্বামী-স্ত্রী দুজন একটি অভিন্ন সংসার জীবনে প্রবেশ করলেও প্রত্যেকেরই রয়েছে পৃথক ব্যক্তিসত্ত্বা, পৃথক চিন্তা ভাবনা, পৃথক চাওয়া পাওয়া। যখন এই পৃথক সত্ত্বাটির প্রতি পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া থাকে না, থাকে না ছাড় দেয়ার মানসিকতা তখনই শুরু হয় দ্বন্দ্ব।

যে-কোনো একপক্ষের মাত্রাতিরিক্ত অধিকারবোধকে তখন মনে করা হয় সন্দেহ। এই যেমন স্ত্রীর ব্যাপারে স্বামীদের মাত্রাতিরিক্ত অধিকারবোধ এটাকে কোনো কোনো স্ত্রী যেমন অপছন্দ করেন, তেমনি অনেক স্ত্রী আছে পছন্দও করেন। স্বামীর একটু মনোযোগের অভাব হলে তাদের খেদের কোনো শেষ থাকে না। আবার কোনো বিষয়ে স্বামীর অতিরিক্ত প্রশ্ন, বিধি নিষেধকে স্ত্রী প্রথমে স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, পরে সন্দেহ করা হচ্ছে বলে আক্ষেপ করেন।

যদিও অনিশ্চয়তাবোধ থেকে অথবা স্বভাবসুলভ স্বামীর আচরণে এই বাড়াবাড়ি প্রকাশ পায়। তাই এমতাবস্থায় সংসারে শান্তির নিমিত্তে স্বামীর এই আচরণকেই উৎসাহিত করুন। তাহলে উনি নিশ্চিত হবেন যে, না ঠিক আছে; আমার স্ত্রী আমারই আছে। আর একবার আস্থা অর্জন করে ফেলার পর দেখবেন আর কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সন্দেহ কেটে গিয়ে তখন তার মনে সৃষ্টি হবে সহানুভুতি।

শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বনাম বিপরীত লিঙ্গ কর্মস্থলে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুসর্ম্পক তৈরির ভিত্তিতে নারী পুরুষ সবার সাথে সদ্ভাব বজায় রাখা বাঞ্চনীয়। কিন্তু অনেক দাম্পত্য জীবনে এটা হয়ে উঠে অশান্তির কারণ। অনেক পুরুষ বা মহিলা আছেন যাদের সন্দেহবাতিক রয়েছে। তারা স্ত্রীকে বা স্বামীকে নিজের সম্পত্তি মনে করেন এবং অন্য কারো সঙ্গে কথা বলাটাকে সন্দেহের চোখে দেখেন। এটা এক ধরনের মানসিক রোগ। আর অসুস্থ সন্দেহের পেছনে থাকে না কোনো যৌক্তিক কারণ বা প্রমাণ।

যেমন, স্ত্রী পড়াশোনা করতে গিয়ে অন্য কারো সাথে প্রেম হয় কিনা অথবা স্বামী চাকরি করতে গেলে অফিসের বস বা কলিগ কারো সাথে ভাব হয় কিনা। এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ পায় সন্দেহ রূপে। এজন্যে বিপরীত লিঙ্গের সহকর্মী বা সহপাঠীর সাথে মেলামেশার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে আপনাকেই। যদি এমন হয় যে নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তিকে নিয়ে সমস্যা এবং তার সাথে মাঝে মাঝে দেখা হয় আর তার সাথে দেখা না হলেও চলে। তবে সেটাই করুন।

কারণ ঘরে অশান্তি করে আপনি সুখী হবেন না। তাই সম্ভব হলে এই সম্পর্কগুলোকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন। আর কখনো এমন মানুষগুলোর সাথে দেখা হয়ে গেলে জীবনসঙ্গীর সামনেই তাদের সাথে কথা বলুন, তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন। এছাড়া মেডিটেশনে কমান্ড সেন্টারে আপনার স্বামী বা স্ত্রীকে বোঝানোর পাশাপাশি সময়-সুযোগ বুঝে সরাসরিও তাকে বলতে পারেন।

কারণ আপনি আপনার এই প্রিয় মানুষটির প্রতি ১০০% বিশ্বস্ত হলেও তিনি এ ব্যাপারে ১০০% নিশ্চিত নন বলেই তার এই সন্দেহবাতিক। তাই আপনি নিজের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস রেখে সুযোগমতো নিজের অবস্থানকে পরিস্কার করুন। দেখবেন তখন সম্পর্কে সন্দেহের বদলে স্থান করে নিচ্ছে স্বচ্ছতা।

অতীত নিয়ে অগ্রসর হওয়া যায় না, এগুতে হয় ভবিষ্যতকে নিয়ে। যাইহোক এরপরও যদি আপনি কিছু জেনে থাকেন বা শুনে থাকেন বা সন্দেহ তৈরি হয়ে থাকে, তবে এটা নিয়ে অগ্রসর হওয়া মানে নিজের হাতে নিজের সুখী হওয়ার সুযোগকে সীমিত করে ফেলা। তাই এক্ষেত্রে ক্ষমা করে দেয়াটাই আপনার জন্যে ভালো হবে। কারণ আপনি যদি মানুষকে ক্ষমা করেন স্রষ্টাও আপনাকে ক্ষমা করবেন। ইতিবাচকতা বনাম নেতিবাচক চিন্তা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুধু ভালবাসা থাকলেই যে সংসারের বন্ধন দৃঢ় হবে সেটা কিন্তু নয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Murad Ahmed

Popular Post

ফতুল্লা থানা পুলিশ ০৯ (নয়) বোতল ফেন্সিডিল সহ ০২ (দুই) জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে সন্দেহ দূরে রাখবেন কীভাবে?

Update Time : 08:50:27 am, Monday, 23 December 2024

ফিচার ডেস্কঃ দাম্পত্য জীবন সুখময় হয়ে ওঠে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্মান ও সহমর্মিতার উপর নির্ভর করে। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, ভালবাসা ও সহানুভূতি যত গভীর হয়, দুজনের বন্ধনটাও যেন তত দৃঢ় হতে থাকে। আর যখনই এই সম্পর্কে বিশ্বাস ও ভালবাসার বদলে অনুপ্রবেশ করে অবিশ্বাস ও সন্দেহ তখনই দুজনের মধ্যে বাড়তে থাকে দুরত্ব। যার ফলাফল দাম্পত্য কলহ, নির্যাতন এবং অবশেষে পারিবারিক ভাঙন। অধিকাংশ দাম্পত্য কলহের সূত্রপাত হয় স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি সন্দেহ থেকেই।

আসলে আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে জীবন গতিশীল হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু মোবাইল, ইন্টারনেট, ফেসবুকের জন্যে বাড়ছে পরিচিত মণ্ডল। বাড়ছে অপ্রয়োজনীয় সম্পর্ক। বাড়ছে নেতিবাচক আবেগ ও অনুভূতি। যা অন্যান্য সর্ম্পকগুলোর পাশাপাশি টানাপোড়েন সৃষ্টি করছে বৈবাহিক সম্পর্কেও।

সেই আদি যুগ থেকে যে নেতিবাচক আবেগটি এককভাবে সংসারের সুখকে নিঃশেষ করার জন্যে যথেষ্ট তা হলো সন্দেহ। সন্দেহ বিভিন্ন রূপে আমাদের সম্পর্কে অনুপ্রবেশ করে। এটা কারো কারো মধ্যে থাকে স্বাভাবিক পর্যায়ের। আবার কারো মধ্যে প্রকাশ পায় অস্বাভাবিক অসুস্থতা রূপে।

আসুন জেনে নিই সাধারণত কী কারণে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে সন্দেহের উদ্রেক হয় এবং এর সহজ সমাধানের মাধ্যমে সুখের সংসার গড়ার উপায়।

পারস্পরিক সম্মান বনাম মাত্রাতিরিক্ত অধিকারবোধ সে আমার সম্পত্তি নয়, সে আমার সম্পদ – কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা হৈমন্তি গল্পের এই লাইনটি আমরা সবাই কমবেশি পড়েছি। কিন্তু আদৌ কী এর তাৎপর্য বুঝার চেষ্টা করেছি?

আসলে জীবনসঙ্গীকে সম্পত্তির মতো ভোগ করে নয় বরং সম্পদ হিসেবে যখন একে অপরকে মূল্যায়ন করবে, যত্ন নিবে তখনই এর গভীরতা বাড়বে। একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন যে বিয়ের পরে স্বামী-স্ত্রী দুজন একটি অভিন্ন সংসার জীবনে প্রবেশ করলেও প্রত্যেকেরই রয়েছে পৃথক ব্যক্তিসত্ত্বা, পৃথক চিন্তা ভাবনা, পৃথক চাওয়া পাওয়া। যখন এই পৃথক সত্ত্বাটির প্রতি পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া থাকে না, থাকে না ছাড় দেয়ার মানসিকতা তখনই শুরু হয় দ্বন্দ্ব।

যে-কোনো একপক্ষের মাত্রাতিরিক্ত অধিকারবোধকে তখন মনে করা হয় সন্দেহ। এই যেমন স্ত্রীর ব্যাপারে স্বামীদের মাত্রাতিরিক্ত অধিকারবোধ এটাকে কোনো কোনো স্ত্রী যেমন অপছন্দ করেন, তেমনি অনেক স্ত্রী আছে পছন্দও করেন। স্বামীর একটু মনোযোগের অভাব হলে তাদের খেদের কোনো শেষ থাকে না। আবার কোনো বিষয়ে স্বামীর অতিরিক্ত প্রশ্ন, বিধি নিষেধকে স্ত্রী প্রথমে স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, পরে সন্দেহ করা হচ্ছে বলে আক্ষেপ করেন।

যদিও অনিশ্চয়তাবোধ থেকে অথবা স্বভাবসুলভ স্বামীর আচরণে এই বাড়াবাড়ি প্রকাশ পায়। তাই এমতাবস্থায় সংসারে শান্তির নিমিত্তে স্বামীর এই আচরণকেই উৎসাহিত করুন। তাহলে উনি নিশ্চিত হবেন যে, না ঠিক আছে; আমার স্ত্রী আমারই আছে। আর একবার আস্থা অর্জন করে ফেলার পর দেখবেন আর কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সন্দেহ কেটে গিয়ে তখন তার মনে সৃষ্টি হবে সহানুভুতি।

শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বনাম বিপরীত লিঙ্গ কর্মস্থলে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুসর্ম্পক তৈরির ভিত্তিতে নারী পুরুষ সবার সাথে সদ্ভাব বজায় রাখা বাঞ্চনীয়। কিন্তু অনেক দাম্পত্য জীবনে এটা হয়ে উঠে অশান্তির কারণ। অনেক পুরুষ বা মহিলা আছেন যাদের সন্দেহবাতিক রয়েছে। তারা স্ত্রীকে বা স্বামীকে নিজের সম্পত্তি মনে করেন এবং অন্য কারো সঙ্গে কথা বলাটাকে সন্দেহের চোখে দেখেন। এটা এক ধরনের মানসিক রোগ। আর অসুস্থ সন্দেহের পেছনে থাকে না কোনো যৌক্তিক কারণ বা প্রমাণ।

যেমন, স্ত্রী পড়াশোনা করতে গিয়ে অন্য কারো সাথে প্রেম হয় কিনা অথবা স্বামী চাকরি করতে গেলে অফিসের বস বা কলিগ কারো সাথে ভাব হয় কিনা। এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ পায় সন্দেহ রূপে। এজন্যে বিপরীত লিঙ্গের সহকর্মী বা সহপাঠীর সাথে মেলামেশার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে আপনাকেই। যদি এমন হয় যে নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তিকে নিয়ে সমস্যা এবং তার সাথে মাঝে মাঝে দেখা হয় আর তার সাথে দেখা না হলেও চলে। তবে সেটাই করুন।

কারণ ঘরে অশান্তি করে আপনি সুখী হবেন না। তাই সম্ভব হলে এই সম্পর্কগুলোকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন। আর কখনো এমন মানুষগুলোর সাথে দেখা হয়ে গেলে জীবনসঙ্গীর সামনেই তাদের সাথে কথা বলুন, তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন। এছাড়া মেডিটেশনে কমান্ড সেন্টারে আপনার স্বামী বা স্ত্রীকে বোঝানোর পাশাপাশি সময়-সুযোগ বুঝে সরাসরিও তাকে বলতে পারেন।

কারণ আপনি আপনার এই প্রিয় মানুষটির প্রতি ১০০% বিশ্বস্ত হলেও তিনি এ ব্যাপারে ১০০% নিশ্চিত নন বলেই তার এই সন্দেহবাতিক। তাই আপনি নিজের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস রেখে সুযোগমতো নিজের অবস্থানকে পরিস্কার করুন। দেখবেন তখন সম্পর্কে সন্দেহের বদলে স্থান করে নিচ্ছে স্বচ্ছতা।

অতীত নিয়ে অগ্রসর হওয়া যায় না, এগুতে হয় ভবিষ্যতকে নিয়ে। যাইহোক এরপরও যদি আপনি কিছু জেনে থাকেন বা শুনে থাকেন বা সন্দেহ তৈরি হয়ে থাকে, তবে এটা নিয়ে অগ্রসর হওয়া মানে নিজের হাতে নিজের সুখী হওয়ার সুযোগকে সীমিত করে ফেলা। তাই এক্ষেত্রে ক্ষমা করে দেয়াটাই আপনার জন্যে ভালো হবে। কারণ আপনি যদি মানুষকে ক্ষমা করেন স্রষ্টাও আপনাকে ক্ষমা করবেন। ইতিবাচকতা বনাম নেতিবাচক চিন্তা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুধু ভালবাসা থাকলেই যে সংসারের বন্ধন দৃঢ় হবে সেটা কিন্তু নয়।