Dhaka 1:21 am, Sunday, 23 November 2025

বাবা ডাকা হলো না ১৫ দিনের শিশু কন্যা হাবিবার, শেষ পর্যন্ত মামলা করার সিদ্ধান্ত

  • Reporter Name
  • Update Time : 07:25:53 am, Monday, 23 December 2024
  • 128 Time View

মোঃ কামাল পাঠান,সরাইল উপজেলা প্রতিনিধিঃ নৌকার ইঞ্জিনের পাখায় আটকে যাওয়া জাল খুলতে গিয়ে নৌকার চালকের ভুলের মাশুল দিতে গিয়ে পানিতেই মারা যাওয়া হাবিবের লাশ এখন মাটির নিচে দাফন হয়েছে।

নিহত হাবিব মারা গেল প্রায় ১০ দিন আজও কেউ খোঁজ নিতে আসেনি তার পরিবারে। হাবিবের পিতা শামসু মিয়ার পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস ছিল নিহত হাবিব।

বিয়েও করেছিলেন বছর দেড়েক আগে নিহত হাবিব মারা যাওয়ার ১৫ দিন আগেই তার কোলজুড়ে এসেছিল ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান। কে জানতো এই ফুটফুটে শিশুটি মাত্র ১৫ দিনেই এতিম হতে চলেছে? কে জানতো মাত্র দেড় বছরেই স্ত্রী তার স্বামীকে হারাবে? এই দায় কার? কেন আসেনি এখনো নিহত হাবিবের পরিবারে সান্ত্বনা দিতে কেউ? চলছে গা ছাড়া ভাব মাটির ঠিকাদার মুক্তার আলির খবর নেই, নেই নৌকার মালিক সাগর মিয়ার খোজ।
.
সরাইল অরুয়াইল বারোপাইকা গ্রামের শামসু মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়া ১৪ ডিসেম্বর শনিবার আনুমানিক দুই ঘটিকার সময় তেলিকান্দি জৌয়াইরা বিলে তিতাস নদীতে মাটি বোঝাই স্টিলের নৌকার ইঞ্জিনের পাখাতে জাল আটকে যাওয়ায় মৃত হাবিবকে তেলিকান্দি গ্রামের আশরাফ আলির ছেলে মোক্তার আলি ৮ হাজার টাকা চুক্তি করে পানির নিচে নামায় নৌকার লোকজন নিহত হাবিব পানির নিচে থাকা অবস্থায় ভুলবশত ইঞ্জিন চালু করে দেই পরে আর পানি থেকে উঠেনি হাবিব দুইদিন পর তার লাশ পাওয়া যায় অন্য স্থানে।
.
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় নিহত হাবিবের দাফন শেষ হতেই নৌকা মালিক পক্ষ থেকে বিষয়টি আপোষ করতে অরুয়াইল বাজার নৌকা মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল খালেক এর সাথে যোগাযোগ করেন এবং তিনি নিহত হাবিবের বাবার সাথে আপোষ করানোর প্রস্তাব করেন যতটুকু জানা গেছে নিহত হাবিবের বাবা তাতে সারা দিয়ে আপোষ করতে বসেছিলেন কিন্তু তাতেও কোন আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায়নি নৌকা মালিক পক্ষের খামখেয়ালী কারণে। তারা চেয়েছিলেন নিহত হাবিবের বাবাকে কোনরকম সান্ত্বনা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে।

আর্থিক সংকটের কারণে মামলার প্রস্তুতি নিতে পারেনি নিহত হাবিবের বাবা তবে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানা যায়। নিহত হাবিব মারা যাওয়ার আগে রেখে গেছেন মাত্র দেড় বছর আগে বিয়ে করা নতুন বউ, ১৫ দিনের একমাত্র শিশু কন্যা হাবিবা এবং অসহায় পিতা মাতা পরিবার কি হবে তাদের ভবিষ্যৎ কে দিবে সান্তনা?

উক্ত বিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম হাবিবের পরিবারের সাথে হাবিবের স্ত্রী লিমা বলেন আপনারা আমার স্বামী এনে দেন নয়তো আমাকে মেরে ফেলুন। হাবিবের বাবা শামছু মিয়া বলেন আমার ছেলেকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে মুক্তার মিয়া গংরা,আমার ছেলে হাবিবের হত্যাকারীদের বিচার চাই। হাবিবের মা বলেন আমার সংসার চলত একমাত্র হাবিবের মাছধরার টাকায় আমরা গরীব অসহায় বলে কেউ আমাদেরকে সান্তনা দিতে ও আসেনি আমরা প্রশাসনের কাছে এই হত্যাকারীদের কঠিন বিচার চাই তাদের ফাঁসি চাই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Murad Ahmed

Popular Post

ফতুল্লা থানা পুলিশ ০৯ (নয়) বোতল ফেন্সিডিল সহ ০২ (দুই) জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে

বাবা ডাকা হলো না ১৫ দিনের শিশু কন্যা হাবিবার, শেষ পর্যন্ত মামলা করার সিদ্ধান্ত

Update Time : 07:25:53 am, Monday, 23 December 2024

মোঃ কামাল পাঠান,সরাইল উপজেলা প্রতিনিধিঃ নৌকার ইঞ্জিনের পাখায় আটকে যাওয়া জাল খুলতে গিয়ে নৌকার চালকের ভুলের মাশুল দিতে গিয়ে পানিতেই মারা যাওয়া হাবিবের লাশ এখন মাটির নিচে দাফন হয়েছে।

নিহত হাবিব মারা গেল প্রায় ১০ দিন আজও কেউ খোঁজ নিতে আসেনি তার পরিবারে। হাবিবের পিতা শামসু মিয়ার পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস ছিল নিহত হাবিব।

বিয়েও করেছিলেন বছর দেড়েক আগে নিহত হাবিব মারা যাওয়ার ১৫ দিন আগেই তার কোলজুড়ে এসেছিল ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান। কে জানতো এই ফুটফুটে শিশুটি মাত্র ১৫ দিনেই এতিম হতে চলেছে? কে জানতো মাত্র দেড় বছরেই স্ত্রী তার স্বামীকে হারাবে? এই দায় কার? কেন আসেনি এখনো নিহত হাবিবের পরিবারে সান্ত্বনা দিতে কেউ? চলছে গা ছাড়া ভাব মাটির ঠিকাদার মুক্তার আলির খবর নেই, নেই নৌকার মালিক সাগর মিয়ার খোজ।
.
সরাইল অরুয়াইল বারোপাইকা গ্রামের শামসু মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়া ১৪ ডিসেম্বর শনিবার আনুমানিক দুই ঘটিকার সময় তেলিকান্দি জৌয়াইরা বিলে তিতাস নদীতে মাটি বোঝাই স্টিলের নৌকার ইঞ্জিনের পাখাতে জাল আটকে যাওয়ায় মৃত হাবিবকে তেলিকান্দি গ্রামের আশরাফ আলির ছেলে মোক্তার আলি ৮ হাজার টাকা চুক্তি করে পানির নিচে নামায় নৌকার লোকজন নিহত হাবিব পানির নিচে থাকা অবস্থায় ভুলবশত ইঞ্জিন চালু করে দেই পরে আর পানি থেকে উঠেনি হাবিব দুইদিন পর তার লাশ পাওয়া যায় অন্য স্থানে।
.
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় নিহত হাবিবের দাফন শেষ হতেই নৌকা মালিক পক্ষ থেকে বিষয়টি আপোষ করতে অরুয়াইল বাজার নৌকা মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল খালেক এর সাথে যোগাযোগ করেন এবং তিনি নিহত হাবিবের বাবার সাথে আপোষ করানোর প্রস্তাব করেন যতটুকু জানা গেছে নিহত হাবিবের বাবা তাতে সারা দিয়ে আপোষ করতে বসেছিলেন কিন্তু তাতেও কোন আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায়নি নৌকা মালিক পক্ষের খামখেয়ালী কারণে। তারা চেয়েছিলেন নিহত হাবিবের বাবাকে কোনরকম সান্ত্বনা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে।

আর্থিক সংকটের কারণে মামলার প্রস্তুতি নিতে পারেনি নিহত হাবিবের বাবা তবে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানা যায়। নিহত হাবিব মারা যাওয়ার আগে রেখে গেছেন মাত্র দেড় বছর আগে বিয়ে করা নতুন বউ, ১৫ দিনের একমাত্র শিশু কন্যা হাবিবা এবং অসহায় পিতা মাতা পরিবার কি হবে তাদের ভবিষ্যৎ কে দিবে সান্তনা?

উক্ত বিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম হাবিবের পরিবারের সাথে হাবিবের স্ত্রী লিমা বলেন আপনারা আমার স্বামী এনে দেন নয়তো আমাকে মেরে ফেলুন। হাবিবের বাবা শামছু মিয়া বলেন আমার ছেলেকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে মুক্তার মিয়া গংরা,আমার ছেলে হাবিবের হত্যাকারীদের বিচার চাই। হাবিবের মা বলেন আমার সংসার চলত একমাত্র হাবিবের মাছধরার টাকায় আমরা গরীব অসহায় বলে কেউ আমাদেরকে সান্তনা দিতে ও আসেনি আমরা প্রশাসনের কাছে এই হত্যাকারীদের কঠিন বিচার চাই তাদের ফাঁসি চাই।