Dhaka 11:50 am, Friday, 26 December 2025

সংরক্ষিত বনে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অবৈধ সংযোগ নিয়ে চলছে আলো আঁধারের খেলা

Reporter Name
  • Update Time : 08:43:31 am, Monday, 2 December 2024
  • / 352 Time View
৮৫

বিপ্লব হোসেন (ফারুক)ঃ গাজীপুর কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা তিতাস গ্যাস টান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির আওতায় সফিপুর আনসার একাডেমির পিছনে বিশ্বাস পাড়া,হাবিবপুর গেজেট ভুক্ত সংরক্ষিত বনভূমির বিশাল এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা বসতি গুলোতে বন আইনের নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তির সহযোগিতায় বিগত দিনে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বিশাল এই এলাকাটিতে বহুতল ভবন সহ প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ দৃশ্যমান, বিষয়টি চন্দ্রা তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম অবগত হওয়ার পর তিনি তার অফিস সহকারীদের নিয়ে বিগত ২৭শে নভেম্বর বুধবার অনুমান দুপুর ১২,৩০ ঘটিকায় উল্লেখিত এলাকার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে এক অপ্রতিরোধ্য অভিযান পরিচালনা করে ৮টি পয়েন্টে আনুমানিক ১১ টি বাড়ির অবৈধ সংযোগ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ২ ইঞ্চি ৭ শত ফিট্ ফাইভ উত্তোলন ও ৬টি রাইজার জব্দ করে অফিসে নিয়ে আসেন। অফিসিয়াল অনীহার কারণে বাড়ির মালিকদের সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি, তবে স্থানীয় তথ্য মতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিবর্গরা জানিয়েছেন মধ্যবিশ্বাস পাড়ার টিটু মিয়া তার ৫ তলা বাড়িটিতে ২টি রাইজারই দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে,, কিন্তু অজ্ঞাতো কারণে একটি রাইজার বিচ্ছিন্ন করা হলেও অন্যটি রয়ে যায় অতি সংগোপনে, পাশেই হামিদের বাড়ি, নাহারের বাড়ির, নাসির উদ্দিনের বাড়িসহ আরো একাধিক বাড়ির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও পরদিন বিভিন্ন মধ্যস্থতায় পুনরায় অবৈধ বিচ্ছিন্ন সংযোগ গুলো প্রতিস্থাপন করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ অবৈধ গ্যাস সরবরাহকারীদের কবলে পড়ে বৈধ গ্রাহকগণ দীর্ঘ দিন যাবত অশান্তি অসস্তিসহ তাহারা নানাবিধ দুর্ভোগে শিকার হয়ে আসছেন। বৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীর একাংশ বলছেন স্থানীয় একটি শক্তিশালী চক্রের ভয়ে তারা প্রতিবাদ স্বরূপ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। তবে আজ তাহারা নীতিগত ভাবে এর একটা বৈধ সমাধান চান। গোপন সূত্রে জানা যায় এক বাড়ি ওয়ালার জন্য দুটি চুলার অনুমোদন থাকলেও সে চুলা জ্বালায় চার থেকে ছয়টি পর্যন্ত আবার এমনও রয়েছে এক বাড়ির ডিমান্ড নোট দিয়ে বাড়ি ওয়ালাগন তিন বাড়ির চুলা জ্বালিয়ে চলছে বছরের পর বছর, কেউ কিছু বলার নেই। কিছু বললে তার উপর চলে অত্যাচারের স্টিম রোলার, নিত্য নতুন উৎপিরণ যার জন্য এব্যপারে অভিযোগ দুরের কথা মুখ খুলতে কেউ সাহস পায় না, কারণ কতৃপক্ষের কাছে সংবাদ পৌঁছার পর তা মুহূর্তে অভিযোগ কারীর নাম সহ পৌঁছে দেওয়া হয় বাড়ি ওয়ালাদের নিকট, এমন অভিজ্ঞতা তাদের পূর্বেকার অফিস স্টাফদের সম্পর্কে , তবে বর্তমানেও নতুন স্টাফদের উপর তাহারা সন্ধিহান তাহারা বলছেন সব রসুনের এক আঠি। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে বৈধ গ্যাস সংযোগ কারীদের সর্রারাহে বিঘ্ন হচ্ছে বলে তাহারা ক্ষোভের আগুনে পুড়ছেন তাহারা এ ব্যাপারে আর মুখ বন্ধ করে রাখতে চান না তাহারা এমন নাটকীয়তার আবাসন হওয়ার লক্ষ্যে একটি জোরালো সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ঊর্ধ্বতনও কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হইবেন বলিয়া জানিয়েছেন। তবে প্রশ্ন হল পাশেই বন বিভাগের রেঞ্জ অফিস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন নীরব দর্শক তারা এপর্যন্ত বন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নীতিগত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর চন্দ্রা বন বিভাগে দায়িত্বরত রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল করিম জানান বন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গ্যাস অফিস ও বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অভিযোগ আকারে দায়ের করিয়াছেন। কিন্তু অভিযোগের স্মারক নং সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগের স্মারক নং ৮৩১/ তাং ১৩/১১/২৪ দেখানো হলে চন্দ্রা তিতাস গ্যাস অফিসের অভিযোগের স্মারক দেখানো হয়নি। সব মিলিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদের সমুচিত ব্যবহার বন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তিনটি সেক্টরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঠিক দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা আজ নিরব প্রশ্নের সম্মুখীন হলেও একদিন হয়তো জনস্বার্থে উন্মোচিত হবে ।

[ চলবে ধারাবাহিক প্রতিবেদন ]

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সংরক্ষিত বনে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অবৈধ সংযোগ নিয়ে চলছে আলো আঁধারের খেলা

Update Time : 08:43:31 am, Monday, 2 December 2024
৮৫

বিপ্লব হোসেন (ফারুক)ঃ গাজীপুর কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা তিতাস গ্যাস টান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির আওতায় সফিপুর আনসার একাডেমির পিছনে বিশ্বাস পাড়া,হাবিবপুর গেজেট ভুক্ত সংরক্ষিত বনভূমির বিশাল এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা বসতি গুলোতে বন আইনের নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তির সহযোগিতায় বিগত দিনে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বিশাল এই এলাকাটিতে বহুতল ভবন সহ প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ দৃশ্যমান, বিষয়টি চন্দ্রা তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম অবগত হওয়ার পর তিনি তার অফিস সহকারীদের নিয়ে বিগত ২৭শে নভেম্বর বুধবার অনুমান দুপুর ১২,৩০ ঘটিকায় উল্লেখিত এলাকার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে এক অপ্রতিরোধ্য অভিযান পরিচালনা করে ৮টি পয়েন্টে আনুমানিক ১১ টি বাড়ির অবৈধ সংযোগ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ২ ইঞ্চি ৭ শত ফিট্ ফাইভ উত্তোলন ও ৬টি রাইজার জব্দ করে অফিসে নিয়ে আসেন। অফিসিয়াল অনীহার কারণে বাড়ির মালিকদের সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি, তবে স্থানীয় তথ্য মতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিবর্গরা জানিয়েছেন মধ্যবিশ্বাস পাড়ার টিটু মিয়া তার ৫ তলা বাড়িটিতে ২টি রাইজারই দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে,, কিন্তু অজ্ঞাতো কারণে একটি রাইজার বিচ্ছিন্ন করা হলেও অন্যটি রয়ে যায় অতি সংগোপনে, পাশেই হামিদের বাড়ি, নাহারের বাড়ির, নাসির উদ্দিনের বাড়িসহ আরো একাধিক বাড়ির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও পরদিন বিভিন্ন মধ্যস্থতায় পুনরায় অবৈধ বিচ্ছিন্ন সংযোগ গুলো প্রতিস্থাপন করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ অবৈধ গ্যাস সরবরাহকারীদের কবলে পড়ে বৈধ গ্রাহকগণ দীর্ঘ দিন যাবত অশান্তি অসস্তিসহ তাহারা নানাবিধ দুর্ভোগে শিকার হয়ে আসছেন। বৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীর একাংশ বলছেন স্থানীয় একটি শক্তিশালী চক্রের ভয়ে তারা প্রতিবাদ স্বরূপ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। তবে আজ তাহারা নীতিগত ভাবে এর একটা বৈধ সমাধান চান। গোপন সূত্রে জানা যায় এক বাড়ি ওয়ালার জন্য দুটি চুলার অনুমোদন থাকলেও সে চুলা জ্বালায় চার থেকে ছয়টি পর্যন্ত আবার এমনও রয়েছে এক বাড়ির ডিমান্ড নোট দিয়ে বাড়ি ওয়ালাগন তিন বাড়ির চুলা জ্বালিয়ে চলছে বছরের পর বছর, কেউ কিছু বলার নেই। কিছু বললে তার উপর চলে অত্যাচারের স্টিম রোলার, নিত্য নতুন উৎপিরণ যার জন্য এব্যপারে অভিযোগ দুরের কথা মুখ খুলতে কেউ সাহস পায় না, কারণ কতৃপক্ষের কাছে সংবাদ পৌঁছার পর তা মুহূর্তে অভিযোগ কারীর নাম সহ পৌঁছে দেওয়া হয় বাড়ি ওয়ালাদের নিকট, এমন অভিজ্ঞতা তাদের পূর্বেকার অফিস স্টাফদের সম্পর্কে , তবে বর্তমানেও নতুন স্টাফদের উপর তাহারা সন্ধিহান তাহারা বলছেন সব রসুনের এক আঠি। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে বৈধ গ্যাস সংযোগ কারীদের সর্রারাহে বিঘ্ন হচ্ছে বলে তাহারা ক্ষোভের আগুনে পুড়ছেন তাহারা এ ব্যাপারে আর মুখ বন্ধ করে রাখতে চান না তাহারা এমন নাটকীয়তার আবাসন হওয়ার লক্ষ্যে একটি জোরালো সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ঊর্ধ্বতনও কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হইবেন বলিয়া জানিয়েছেন। তবে প্রশ্ন হল পাশেই বন বিভাগের রেঞ্জ অফিস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন নীরব দর্শক তারা এপর্যন্ত বন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নীতিগত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর চন্দ্রা বন বিভাগে দায়িত্বরত রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল করিম জানান বন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গ্যাস অফিস ও বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অভিযোগ আকারে দায়ের করিয়াছেন। কিন্তু অভিযোগের স্মারক নং সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগের স্মারক নং ৮৩১/ তাং ১৩/১১/২৪ দেখানো হলে চন্দ্রা তিতাস গ্যাস অফিসের অভিযোগের স্মারক দেখানো হয়নি। সব মিলিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদের সমুচিত ব্যবহার বন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তিনটি সেক্টরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঠিক দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা আজ নিরব প্রশ্নের সম্মুখীন হলেও একদিন হয়তো জনস্বার্থে উন্মোচিত হবে ।

[ চলবে ধারাবাহিক প্রতিবেদন ]