শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩২ অপরাহ্ন
মো. অহিদ মিয়া, লক্ষ্মীপুরঃ লক্ষ্মীপুরে আলহাজ্ব ইব্রাহিম মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মদ পাঠাগারের শুভ উদ্ধোধন করা হয়।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১০টায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন আলহাজ্ব ইব্রাহিম মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অত্র বিদ্যালয়ে সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার। অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মদের জেষ্ঠ্য পুত্র এবং অত্র বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মো. তোফাজ্জল হোসেন সবুজ।
এনায়েত উল্যাহ ও এড. সামছুল আলমের যৌথ সঞ্চালনায় উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক এম বেল্লাল হোসেন, সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, যুগ্ন আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ (কালা মুন্সী), লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক আলী করিম, যুগ্ন-আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী মেম্বার, মনির হোসেন, সোলায়মান, জেলা যুবদলের সদস্য এনায়েত উল্যাহ, যুবদল নেতা কাজী সহিদ, ওমার খান, নুর হোসেন হারুন, আলতাফ হোসেনসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সাধারন জনগণ, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিাক ও ছাত্রীবৃন্দ।
বক্তারা রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মদের স্মৃতিচারণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। লক্ষ্মীপুরের রাজনীতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মদের অবদান, দলের দুঃসময়ে চন্দ্রগঞ্জের নেতাকর্মীদের যেকোন সমস্যায় এই যোদ্ধা কখনো ভয় না পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্ভীকভাবে কাজ করেছেন। তিনি আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সবসময় বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন বলে জানায় উপস্থিত বক্তারা। উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা লতিফপুর-পাঁচপাড়া সড়কের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মদের নামে করার প্রস্তাব করেন প্রধান অতিথি বরাবর।
প্রসঙ্গত, বীরমুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মেদ সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে। গত (২২ নভেম্বর) তিনি ঢাকার ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার দানকৃত জমিতে আলহাজ্ব ইব্রাহিম মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠাগারটি তার নামে গত (১লা জানুয়ারী) স্থাপিত হয়। যাহা এই বীর যোদ্ধার উদ্বোধন করার কথা ছিল।
মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মদের জেষ্ঠ্য পুত্র, অত্র বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ও অনুষ্ঠানের উদ্ধোধক তোফাজ্জল হোসেন সবুজ বলেন, “আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মেদ সব সময় সমাজের নির্যাতিত, নীপিড়িত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করতেন। শিক্ষা ক্ষেত্রে আমার বাবার অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। আগামীতে আমরা তার সন্তানরা এই এলাকার যেকোন প্রয়োজনে সবসময় আপনাদের পাশের থাকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজিব কুমার সরকার বলেন, পাঠাগার হচ্ছে মনের হাসপাতাল, উপস্থিত ছাত্রীদের বলেন বই পড়ার মধ্য দিয়ে আলোকিত মানুষ হতে হবে। এছাড়াও তিনি লাইব্রেরিয়ানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি যেন লাইব্রেরির পরিচর্যা করে এবং ছাত্রী বই নিতে যেন কোন ঝামেলা না করেন ।