শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৮ অপরাহ্ন
ওমর, সিলেট বিভাগীয় ব্যুরু চীফঃ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলায় অনিয়মে যেন ঠাসা মামুন ব্রিকস নামের ইট ভাটা পরিবেশ থেকে শুরু করে কোন কিছুরই ঠিক নেই যেন এখানে। লাকড়ি পুড়া থেকে শুরু করে, আছে শিশু শ্রম পাশেই আবার আশুরাইল সরকারি প্রাইমারি স্কুল, বসত বিটা, ফসলি জমি, কালো ধুয়া এত অনিয়ম থাকা সত্ত্বেও পরিবেশের ছাড়পত্র পাই কি করে মামুন ব্রিকস নামের এই ইট ভাটা ? প্রশ্ন জাগে জনমনে ?
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর আশুরাইলে গড়ে উঠা মামুন ব্রিকস অনিয়ম দুর্নীতির কোনটাই পালন করছে না। গোপন সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় কথিত সাংবাদিক মিহির দেব সব মহলকেই ম্যানেজ করে রেখেছে স্থানীয়দের অভিযোগ থাকলেও তার ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ এর আইনের স্পষ্ট ভাষায় বলা আছে জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং বিশেষ কোনো স্থাপনা, রেলপথ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক এর কমপক্ষে ১ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। নির্দিষ্টভাবে বললে আশুরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কুল ঘেঁষেই গড়ে উঠেছে মামুন ব্রিকস, এভাবেই চালিয়ে যাচ্ছে ১৫ বছর ধরে ।
২১শে নভেম্বর ২০২৪ইং রোজ বৃহস্পতিবার, বেলা প্রায় ২:৪০ মিনিট সময়ে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, যে কয়টি নিষেধাজ্ঞা ছিল ইটভাটা স্থাপনের সবকটি মামুন ব্রিকস ভঙ্গ করেছে।শিশু শ্রম একটি মারাত্মক অপরাধ,লোভ দেখিয়ে প্রাপ্য পারিশ্রমিক কম দিয়ে শিশুদের কে কন্ট্রাক করে কাজ করাচ্ছে মামুন ব্রিকস । আইনে ১২-১৮ বছর বয়সী শিশুদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অনুমতি দেয়,কিন্তু কাজের সময় সংখ্যাটি সর্বোচ্চ ৭ ঘন্টা সীমিত করে।
বাংলাদেশের সংবিধান মানুষের মৌলিক অধিকারের গ্যারান্টি দিলে অনুচ্ছেদ ৩৪-এর অধীনে সব ধরনের ভারী এবং জোরপূর্বক শ্রম নিষিদ্ধ করে। অনুচ্ছেদ ৩৪-এ বলা আছে যে ‘সকল প্রকার ভারী ও জোরপূর্বক শ্রম নিষিদ্ধ এবং এই বিধানের যে কোন লঙ্ঘন আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে’।
মামুন ব্রিকস ইটভাটাই আরও দেখা যায়,স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েই ভারী কাজ করছে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুরা, আইনে কর্মস্থলে সাত ঘন্টা শ্রম থাকলেও এখানে করছে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা অনিয়ম এখানেও অহরহ।
মামুন ব্রিকস প্রভাব খাটিয়ে অনিয়মের রাজত্ব গড়ে এভাবেই ইট পুড়ছে দিনের পর দিন দেখার যেন কেউ নেই। যারা আছেন হয়তো তাদেরও মুখ বন্ধ করে রেখেছেন কথিত সাংবাদিক মিহির দেব।
মামুন ব্রিকস এর ম্যানাজার পলাশ ভূঁইয়ার নিকট, মামুন ব্রিকস এর মালিকের সাথে কথা বলার জন্য, মালিকের নাম ও মোবাইল নাম্বার চাইলে, মালিকের নাম ও মোবাইল নাম্বার দিতে রাজি হয়নি । সাংবাদিকদের দম্ভুক্তি করে ম্যানাজার পলাশ বলেন,১৫ বছর ধরে ইট মিল চালাইতেছি, কোন দিন এই মিলে সাংবাদিক আসেনি । আপনাদের যে কোন প্রয়োজনে সাংবাদিক নামধারী মিহির কুমার দেব এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।