Dhaka 8:08 pm, Saturday, 22 November 2025

ওসমানীনগরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সভাপতির বিরোদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:00:22 am, Wednesday, 20 November 2024
  • 149 Time View

ওসমানীনগর(সিলেট) সংবাদদাতাঃ সিলেটের ওসমানীনগরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সত্যব্রত রায় ও ইয়াহইয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সহল আল রাজির বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে অর্থ বাণিজ্য সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

গত ২৯ অক্টোবর সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবরে এলাকা বাসির লিখিত অভিযোগে প্রকাশ সিলেট ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী ২০১৫ ইং সালে ওসমানীনগর উপজেলা কলারাই এলাকার জনসাধারনের মতামতের তোয়াক্কা না করে নিজ নামে বিদ্যালয়টির নামকরণ করায় দীর্ঘদিন থেকে এলাকার জনসাধারণের মনে অসন্তোষ বিরাজ করছিল। উক্ত বিদ্যালয় প্রতিষ্টার পর থেকে এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরীর ভাই সহল আল রাজি বর্তমান প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন কে বিনা অনুমুতিতে বিদ্যালয় ভবনে তার পরিবার নিয়ে বসবাস সহ এলাকায় মৎস্য চাষ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্যের প্রদান কৃত চাঁদা ও বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের কমিশন, শিক্ষক, নৈশ প্রহরী এবং আয়া নিয়োগের মাধ্যমে তার আপন ভাই বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস এলাকার বাসিন্দা ইয়াহয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সহল আল রাজি চৌধুরীকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি করে তার মাধ্যমে কুটি টাকা কমিশন বানিজ্য করেছেন বলে অভিযোগে প্রকাশ।

এদিকে কলারাই গ্রামের মো আলী তুলা মিয়ার ছেলে দিনার হোসেনকে বেগমপুর শরৎ সুন্দরী উচ্চবিদ্যালয় হতে অষ্টম শ্রনীর ভূয়া সাটিফিকেট সংগ্রহ করে তাকে নৈশপ্রহরী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে এলাকায় নানা জল্পনা কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। উক্ত বিষয়ে সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসীর পক্ষে শফিকুল হক চৌধুরী সহ আরো অনেক। এবিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি সহল আল রাজি চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনে আলাপকালে তিনি বলেন শিক্ষার দিকে পিছিয়ে থাকা অবহেলিত কলারাই গ্রাম এবং এলাকার কথা বিবেচনা করে আমার ভাই এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরী একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্টায় কাজ করেন এবং আমি ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক অর্থ এবং শ্রম ব্যায় করে বিদ্যালয়টিকে এপযন্ত নিয়ে আসতে পেরেছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার সত্যব্রত রায় বলেন নৈশ প্রহরী নিয়োগের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আমি পূর্বে প্রতিবেন দিয়েছি আমি প্রায় ১ বছর হয় আমার কর্মস্থলে অবস্থান করছি এর বেশ কিছু আমার জানা নেই।

শরৎসুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে আলাপকালে তিনি জানান নৈশ প্রহরী দিনারের সাটিফিকেট আমার বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মূলে আমি দিয়েছি। এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগকারী শফিকুল হোসেন চৌধুরীর সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন বিদ্যালয় প্রতিষ্টার পর হতে নানা আনিয়ম ও দূর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সাবেক এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরীরর ক্ষমতার প্রভাবে বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে সরকারের প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যায় করে নাটকিলা নদীতে পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং নৌপথ বন্ধকরে দিয়ে সড়ক সংযোগ বিহীন কলারাই মুতিয়ারগাও এলাকায় ব্রীজ নির্মাণ করে সংশ্লিষ্টরা লক্ষ লক্ষ টাকা কমিশন বানিজ্য করেছেন বলে অভিযোগে প্রকাশ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Murad Ahmed

Popular Post

ফতুল্লা থানা পুলিশ ০৯ (নয়) বোতল ফেন্সিডিল সহ ০২ (দুই) জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে

ওসমানীনগরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সভাপতির বিরোদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

Update Time : 09:00:22 am, Wednesday, 20 November 2024

ওসমানীনগর(সিলেট) সংবাদদাতাঃ সিলেটের ওসমানীনগরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সত্যব্রত রায় ও ইয়াহইয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সহল আল রাজির বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে অর্থ বাণিজ্য সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

গত ২৯ অক্টোবর সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবরে এলাকা বাসির লিখিত অভিযোগে প্রকাশ সিলেট ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী ২০১৫ ইং সালে ওসমানীনগর উপজেলা কলারাই এলাকার জনসাধারনের মতামতের তোয়াক্কা না করে নিজ নামে বিদ্যালয়টির নামকরণ করায় দীর্ঘদিন থেকে এলাকার জনসাধারণের মনে অসন্তোষ বিরাজ করছিল। উক্ত বিদ্যালয় প্রতিষ্টার পর থেকে এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরীর ভাই সহল আল রাজি বর্তমান প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন কে বিনা অনুমুতিতে বিদ্যালয় ভবনে তার পরিবার নিয়ে বসবাস সহ এলাকায় মৎস্য চাষ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্যের প্রদান কৃত চাঁদা ও বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের কমিশন, শিক্ষক, নৈশ প্রহরী এবং আয়া নিয়োগের মাধ্যমে তার আপন ভাই বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস এলাকার বাসিন্দা ইয়াহয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সহল আল রাজি চৌধুরীকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি করে তার মাধ্যমে কুটি টাকা কমিশন বানিজ্য করেছেন বলে অভিযোগে প্রকাশ।

এদিকে কলারাই গ্রামের মো আলী তুলা মিয়ার ছেলে দিনার হোসেনকে বেগমপুর শরৎ সুন্দরী উচ্চবিদ্যালয় হতে অষ্টম শ্রনীর ভূয়া সাটিফিকেট সংগ্রহ করে তাকে নৈশপ্রহরী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে এলাকায় নানা জল্পনা কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। উক্ত বিষয়ে সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসীর পক্ষে শফিকুল হক চৌধুরী সহ আরো অনেক। এবিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি সহল আল রাজি চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনে আলাপকালে তিনি বলেন শিক্ষার দিকে পিছিয়ে থাকা অবহেলিত কলারাই গ্রাম এবং এলাকার কথা বিবেচনা করে আমার ভাই এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরী একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্টায় কাজ করেন এবং আমি ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক অর্থ এবং শ্রম ব্যায় করে বিদ্যালয়টিকে এপযন্ত নিয়ে আসতে পেরেছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার সত্যব্রত রায় বলেন নৈশ প্রহরী নিয়োগের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আমি পূর্বে প্রতিবেন দিয়েছি আমি প্রায় ১ বছর হয় আমার কর্মস্থলে অবস্থান করছি এর বেশ কিছু আমার জানা নেই।

শরৎসুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে আলাপকালে তিনি জানান নৈশ প্রহরী দিনারের সাটিফিকেট আমার বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মূলে আমি দিয়েছি। এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগকারী শফিকুল হোসেন চৌধুরীর সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন বিদ্যালয় প্রতিষ্টার পর হতে নানা আনিয়ম ও দূর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সাবেক এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরীরর ক্ষমতার প্রভাবে বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে সরকারের প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যায় করে নাটকিলা নদীতে পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং নৌপথ বন্ধকরে দিয়ে সড়ক সংযোগ বিহীন কলারাই মুতিয়ারগাও এলাকায় ব্রীজ নির্মাণ করে সংশ্লিষ্টরা লক্ষ লক্ষ টাকা কমিশন বানিজ্য করেছেন বলে অভিযোগে প্রকাশ।