Dhaka 12:21 am, Saturday, 22 November 2025

খুলনায় আরক্ষিত রেল স্টেশনের বেপরোয়া ছিনতাই মাদক সেবী চক্র দেখার যেন কেউ নেই

  • Reporter Name
  • Update Time : 06:33:40 am, Sunday, 17 November 2024
  • 217 Time View

শেখ শহিদুল ইসলাম, খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ খুলনা সহ বিভিন্ন রেল স্টেশনে যাত্রীদের ফোন লাগেজ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি ছিনতাই এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দিনে দুপুরে রেলের যাত্রী ছাউনিতে মাদক সেবন করতে দেখা যায় হরহামেশা। এসব বিষয় দেখভালের দায়িত্ব থাকা কৃতপক্ষের অবহেলার অভিযোগ করেছেন যাত্রীয় স্টেশনে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা। মোহাম্মদ নগর স্টেশনে নিরাপত্তার দায়িত্বে কেউ না থাকায় স্টেশনটি পুরোপুরি অরক্ষিত।

সরো জমিনে ঘুরে দেখা যায়, খুলনা স্টেশনের কম্পাউন্ডের ভিতরে যেখানে কোন ধরনের যানবাহন রাখা নিষেধ সেখানে এলোমেলোভাবে ইজিবাইক অটো রিক্সা মোটরসাইকেল পার্ক করা স্টেশনের ভেতরে যাত্রীদের বিশ্রামাগারের চেয়ারে পাগল শুয়ে আছে, ভেতরে মোটরসাইকেল পার্ক করে রেখেছেন রেলওয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীরা ট্রেন আসলে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেখানে স্টেশনের ভিতর থেকে যাত্রীদের বের হওয়ার পথে জটলা পাকিয়ে রাখা থাকে অটো প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের অন্য অপেক্ষমান যাত্রীদের বসার জায়গাগুলো শুয়ে বসে আছে বহিরাগত পাগল মাদকাসক্ত।

সূত্র মতে, জিআরপি পুলিশের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২০ শে অক্টোবর তিন বোতল ভ্যাট সিক্সটি লাইন বিদেশি মত উদ্ধার করা হয়। কিন্তু কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি এদিকে চলতি বছরের জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত খুলনা রেলওয়ে থানায় পাঁচটি ছিনতাই ও চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে যা বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া খুলনা-মংলা বেনাপোল রুটের মোহাম্মদ নগর স্টেশনের নিয়মিত চুরির ঘটনা ঘটছে। স্টেশনটি চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচটি চুরির ঘটনা ঘটেছে স্টেশন সংলগ্ন রেল ক্রসিং পয়েন্টের নাট ক্লাস লক পয়েন্টের হ্যান্ডেল জানালার থাই গ্লাস সহ বিদ্যুতের বাল চুরি হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে কেউ নেই একপ্রকার পরক্ষিত মোহাম্মদ নগর স্টেশনটি সেখানে কর্মরত কর্মচারীরা সবসময় নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন। খুলনা স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জিআরপি পুলিশের সদস্যরা জানান এত বড় স্টেশনে মাত্র কয়েকজনের পক্ষে দেখাশোনা করা কঠিন। স্টেশনের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রবেশ করা যায়, কোন মাদক সেবীকে একপাশ থেকে তাড়া দিলে কিছুক্ষণ পর অন্য পাশ দিয়ে আবার প্রবেশ করে তাছাড়া অনেক মানুষ আইন মান করে চায় না, পার্কিং নিষিদ্ধ এরিয়াতেও তারা পার্কিং করবে রেল আসলে গাড়ির জটলা পাকিয়ে তাকে যাতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে, অল্প লোকবল হলেও আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করি, সাধারণত মানুষ সহযোগিতা না করলে শৃঙ্খলা আনা কঠিন, পাশাপাশি আশেপাশের অপ্রয়োজনীয় প্রবেশ পথগুলো বন্ধ করতে পারলে মাদক সেবী ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম কমবে, খুলনা থেকে ঢাকা গামী ট্রেনের যাত্রী ফয়সালুল চেক বলেন খুলনা আবাসীর জন্য এত সুন্দর রেলস্টেশন হয়েছে কিন্তু পরিবেশটা প্রথমের দিকে মত নেই, স্টেশনের ভিতরে ছিন্নমূল কিছু লোকজন শুয়ে বসে আছে, অনেককে বিভক্ত অবস্থায় ঘুরতে দেখা যায় যা পুরুষ নারী সবাইকে বিব্রত করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Mottakim Ahmed

Popular Post

সরাইল জাতীয় নাগরিক পার্টি উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

খুলনায় আরক্ষিত রেল স্টেশনের বেপরোয়া ছিনতাই মাদক সেবী চক্র দেখার যেন কেউ নেই

Update Time : 06:33:40 am, Sunday, 17 November 2024

শেখ শহিদুল ইসলাম, খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ খুলনা সহ বিভিন্ন রেল স্টেশনে যাত্রীদের ফোন লাগেজ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি ছিনতাই এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দিনে দুপুরে রেলের যাত্রী ছাউনিতে মাদক সেবন করতে দেখা যায় হরহামেশা। এসব বিষয় দেখভালের দায়িত্ব থাকা কৃতপক্ষের অবহেলার অভিযোগ করেছেন যাত্রীয় স্টেশনে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা। মোহাম্মদ নগর স্টেশনে নিরাপত্তার দায়িত্বে কেউ না থাকায় স্টেশনটি পুরোপুরি অরক্ষিত।

সরো জমিনে ঘুরে দেখা যায়, খুলনা স্টেশনের কম্পাউন্ডের ভিতরে যেখানে কোন ধরনের যানবাহন রাখা নিষেধ সেখানে এলোমেলোভাবে ইজিবাইক অটো রিক্সা মোটরসাইকেল পার্ক করা স্টেশনের ভেতরে যাত্রীদের বিশ্রামাগারের চেয়ারে পাগল শুয়ে আছে, ভেতরে মোটরসাইকেল পার্ক করে রেখেছেন রেলওয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীরা ট্রেন আসলে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেখানে স্টেশনের ভিতর থেকে যাত্রীদের বের হওয়ার পথে জটলা পাকিয়ে রাখা থাকে অটো প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের অন্য অপেক্ষমান যাত্রীদের বসার জায়গাগুলো শুয়ে বসে আছে বহিরাগত পাগল মাদকাসক্ত।

সূত্র মতে, জিআরপি পুলিশের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২০ শে অক্টোবর তিন বোতল ভ্যাট সিক্সটি লাইন বিদেশি মত উদ্ধার করা হয়। কিন্তু কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি এদিকে চলতি বছরের জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত খুলনা রেলওয়ে থানায় পাঁচটি ছিনতাই ও চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে যা বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া খুলনা-মংলা বেনাপোল রুটের মোহাম্মদ নগর স্টেশনের নিয়মিত চুরির ঘটনা ঘটছে। স্টেশনটি চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচটি চুরির ঘটনা ঘটেছে স্টেশন সংলগ্ন রেল ক্রসিং পয়েন্টের নাট ক্লাস লক পয়েন্টের হ্যান্ডেল জানালার থাই গ্লাস সহ বিদ্যুতের বাল চুরি হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে কেউ নেই একপ্রকার পরক্ষিত মোহাম্মদ নগর স্টেশনটি সেখানে কর্মরত কর্মচারীরা সবসময় নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন। খুলনা স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জিআরপি পুলিশের সদস্যরা জানান এত বড় স্টেশনে মাত্র কয়েকজনের পক্ষে দেখাশোনা করা কঠিন। স্টেশনের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রবেশ করা যায়, কোন মাদক সেবীকে একপাশ থেকে তাড়া দিলে কিছুক্ষণ পর অন্য পাশ দিয়ে আবার প্রবেশ করে তাছাড়া অনেক মানুষ আইন মান করে চায় না, পার্কিং নিষিদ্ধ এরিয়াতেও তারা পার্কিং করবে রেল আসলে গাড়ির জটলা পাকিয়ে তাকে যাতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে, অল্প লোকবল হলেও আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করি, সাধারণত মানুষ সহযোগিতা না করলে শৃঙ্খলা আনা কঠিন, পাশাপাশি আশেপাশের অপ্রয়োজনীয় প্রবেশ পথগুলো বন্ধ করতে পারলে মাদক সেবী ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম কমবে, খুলনা থেকে ঢাকা গামী ট্রেনের যাত্রী ফয়সালুল চেক বলেন খুলনা আবাসীর জন্য এত সুন্দর রেলস্টেশন হয়েছে কিন্তু পরিবেশটা প্রথমের দিকে মত নেই, স্টেশনের ভিতরে ছিন্নমূল কিছু লোকজন শুয়ে বসে আছে, অনেককে বিভক্ত অবস্থায় ঘুরতে দেখা যায় যা পুরুষ নারী সবাইকে বিব্রত করে।