Dhaka 8:12 pm, Friday, 5 December 2025

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ

Reporter Name
  • Update Time : 08:30:17 am, Thursday, 7 November 2024
  • / 203 Time View
১৯

অগ্নিশিখা প্রতিবেদকঃ আজ ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে আধিপত্যবাদী চক্রের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিলো। তাদের ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমেই রক্ষা পায় সদ্য অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ক্ষমতায় আসা খন্দকার মোশতাক সরকারকে উৎখাতে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থান করা হয়। গৃহবন্দি করা হয় মুক্তিযুদ্ধের বীরউত্তম সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে। দেশ সরকারহীন হয়ে পড়ে। খন্দকার মোশতাকের কাছ থেকে পদোন্নতি আদায় করে নিজেকে সেনাপ্রধান ঘোষণা করেন খালেদ মোশাররফ।

এরই ধারাবাহিকতায় ৬ নভেম্বর রাতে জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে সৈনিকরা। জাসদ নেতা কর্নেল আবু তাহেরের অনুগত বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা এ সময় জেনারেল জিয়াকে সমর্থন জানিয়ে দলটির অনুসৃত বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা করে। তবে জিয়াউর রহমান সে পথে না গিয়ে সরকার প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন।

এতে চার দিনের শূন্যতার অবসান হয়। ঢাকার রাজপথে সিপাহি এবং জনতা একসঙ্গে নেমে আসে। সেনা ট্যাঙ্কে ফুলের মালা পরিয়ে জনগণ সিপাহি বিপ্লবকে অভিনন্দন জানায়। বেতারে ‘আমি জিয়া বলছি’ ভাষণ শুনতে পায় দেশবাসী। পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় নিজেকে সুসংহত করেন একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যা প্রতিরোধে বিদ্রোহ করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া মেজর জিয়া। ৭ নভেম্বরের পর তিনি সামরিক শাসক থেকে রাজনীতিকে পরিণত হন।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ আমলের আটটি দিবস বাতিল করলেও, ৭ নভেম্বর সরকারিভাবে পালন হচ্ছে না।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ

Update Time : 08:30:17 am, Thursday, 7 November 2024
১৯

অগ্নিশিখা প্রতিবেদকঃ আজ ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে আধিপত্যবাদী চক্রের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিলো। তাদের ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমেই রক্ষা পায় সদ্য অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ক্ষমতায় আসা খন্দকার মোশতাক সরকারকে উৎখাতে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থান করা হয়। গৃহবন্দি করা হয় মুক্তিযুদ্ধের বীরউত্তম সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে। দেশ সরকারহীন হয়ে পড়ে। খন্দকার মোশতাকের কাছ থেকে পদোন্নতি আদায় করে নিজেকে সেনাপ্রধান ঘোষণা করেন খালেদ মোশাররফ।

এরই ধারাবাহিকতায় ৬ নভেম্বর রাতে জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে সৈনিকরা। জাসদ নেতা কর্নেল আবু তাহেরের অনুগত বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা এ সময় জেনারেল জিয়াকে সমর্থন জানিয়ে দলটির অনুসৃত বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা করে। তবে জিয়াউর রহমান সে পথে না গিয়ে সরকার প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন।

এতে চার দিনের শূন্যতার অবসান হয়। ঢাকার রাজপথে সিপাহি এবং জনতা একসঙ্গে নেমে আসে। সেনা ট্যাঙ্কে ফুলের মালা পরিয়ে জনগণ সিপাহি বিপ্লবকে অভিনন্দন জানায়। বেতারে ‘আমি জিয়া বলছি’ ভাষণ শুনতে পায় দেশবাসী। পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় নিজেকে সুসংহত করেন একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যা প্রতিরোধে বিদ্রোহ করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া মেজর জিয়া। ৭ নভেম্বরের পর তিনি সামরিক শাসক থেকে রাজনীতিকে পরিণত হন।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ আমলের আটটি দিবস বাতিল করলেও, ৭ নভেম্বর সরকারিভাবে পালন হচ্ছে না।