Dhaka 7:20 pm, Monday, 22 December 2025

আদালত কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বনভূমি দখলে নিয়ে রাস্তা নির্মাণ

Reporter Name
  • Update Time : 10:54:26 am, Saturday, 2 November 2024
  • / 227 Time View
৩০

বিপ্লব হোসেন (ফারুক)গাজীপুরঃ কালিয়াকৈর বন রেঞ্জের আওতাধীন কাশিমপুর বিটের গোবিন্দ বাড়ি মৌজায় ২০ ধারার গেজেট ভুক্ত বনের ৫৪ শতক ভূমি দখলে নিয়ে অক্সিজেন ফ্যাক্টরি আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে বনের উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়েছে। এমন ঘটনায় বিট কর্মকর্তা সুলাইমান হোসেন বিগত দুই মাসেও কোন আইনগত পদক্ষেপ না নেওয়ায় সাধারণ মানুষ ক্ষোব প্রকাশ করছেন। এ ঘটনার বিষয়ে বিট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে দায় মুক্ত করতে রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল করিমের উপর দায় চাপিয়ে দেন। তিনি বলেন আমি বিষয়টি রেঞ্জ কর্মকর্তাকে জানিয়েছি তিনি যদি আমাকে আইনগত পদক্ষেপ না নিতে বলেন তাহলে আমি কি করবো? আমাদের মামলা আদালতে চলমান,কিন্তু আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় আদালতের সিদ্ধান্তের বাইরে ভূমি দখল করা ফৌজদারি অপরাধ কি না কিংবা এ ব্যাপারে কোন আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছেন কি না ? এমন প্রশ্নে তিনি হতচকিত হয়ে পড়েন। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে যতদূর জানা যায় ইতিপূর্বে অক্সিজেন ফ্যাক্টরি রাস্তা নির্মাণে সহযোগিতা করায় সাবেক বিট কর্মকর্তা বনি শাহাদাত হোসেন সাসপেন্ড হয়েছিলেন।পরবর্তীতে এ রাস্তার উপর চারাগাছ রোপন করে সিমেন্টের পিলার দিয়ে বাঁশ বেধে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ ৩রা সেপ্টেম্বর এই ছারা গাছগুলো কেটে সিমেন্টের পিলার গুলো উঠিয়ে ফৌজদারি অপরাধের ঘটনা ঘটানো হলেও বিট কর্মকর্তা আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় এবং আদালতের বিধি-বিধান উল্লেখ করা সাইনবোর্ড থাকা অবস্থায় রাস্তা নির্মাণ করে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়ায় সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে তাহলে কি বন কর্মকর্তাগন এই জায়গাটি গোপনে বিক্রি করে দিয়েছেন অক্সিজেন ফ্যাক্টরির নিকট। এমন দৃশ্যত অবস্থা চালু করেছেন স্বয়ং বিট কর্মকর্তা নিজেই উল্লেখিত বন বিটের আওতাধীন যতগুলো মৌজা রয়েছে প্রতিটি মৌজায় রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল করিমের সহযোগিতা নিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ কিংবা বনের ভিতর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষদের থেকে অন্যায় ভাবে লাভবান হওয়া এখন তাদের নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাংবাদিকদের চোখ ফাঁকি দিতে অত্যন্ত ধূর্ততায় ভুল নাম ঠিকানা ব্যবহার করে দায়সারা গোছের প্রতারণামূলক আরজির বিবরণ দিয়ে সাজানো মামলায় দখল দারদের দায় মুক্তি দিচ্ছেন। যেখান থেকে সন্ধান পাওয়া যায় গোবিন্দ বাড়ি মৌজা সরকার পাড়া বিবাদীদের পিতার নাম কিংবা স্বামীর নাম ভুল উল্লেখ করে মামলার বিবরণ যাতে করে বিবাদীর নামে ওয়ারেন্ট হলেও পিতার নাম ভুল থাকায় কাশিমপুর থানা পুলিশ আসামি ধরতে গিয়ে ফিরে আসে। ভূমির দাগ খতিয়ান আরজিতে ভুল ভাবে উপস্থাপন করায় অপরাধী আসামির দায়মুক্তি, আলোচিত অনেক বিষয় তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হইল। আলোচিত এই ঘটনা সর্বসাধারণের মুখে মুখে তাই পরিবেশবাদীগন বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট মহলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আদালত কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বনভূমি দখলে নিয়ে রাস্তা নির্মাণ

Update Time : 10:54:26 am, Saturday, 2 November 2024
৩০

বিপ্লব হোসেন (ফারুক)গাজীপুরঃ কালিয়াকৈর বন রেঞ্জের আওতাধীন কাশিমপুর বিটের গোবিন্দ বাড়ি মৌজায় ২০ ধারার গেজেট ভুক্ত বনের ৫৪ শতক ভূমি দখলে নিয়ে অক্সিজেন ফ্যাক্টরি আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে বনের উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়েছে। এমন ঘটনায় বিট কর্মকর্তা সুলাইমান হোসেন বিগত দুই মাসেও কোন আইনগত পদক্ষেপ না নেওয়ায় সাধারণ মানুষ ক্ষোব প্রকাশ করছেন। এ ঘটনার বিষয়ে বিট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে দায় মুক্ত করতে রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল করিমের উপর দায় চাপিয়ে দেন। তিনি বলেন আমি বিষয়টি রেঞ্জ কর্মকর্তাকে জানিয়েছি তিনি যদি আমাকে আইনগত পদক্ষেপ না নিতে বলেন তাহলে আমি কি করবো? আমাদের মামলা আদালতে চলমান,কিন্তু আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় আদালতের সিদ্ধান্তের বাইরে ভূমি দখল করা ফৌজদারি অপরাধ কি না কিংবা এ ব্যাপারে কোন আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছেন কি না ? এমন প্রশ্নে তিনি হতচকিত হয়ে পড়েন। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে যতদূর জানা যায় ইতিপূর্বে অক্সিজেন ফ্যাক্টরি রাস্তা নির্মাণে সহযোগিতা করায় সাবেক বিট কর্মকর্তা বনি শাহাদাত হোসেন সাসপেন্ড হয়েছিলেন।পরবর্তীতে এ রাস্তার উপর চারাগাছ রোপন করে সিমেন্টের পিলার দিয়ে বাঁশ বেধে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ ৩রা সেপ্টেম্বর এই ছারা গাছগুলো কেটে সিমেন্টের পিলার গুলো উঠিয়ে ফৌজদারি অপরাধের ঘটনা ঘটানো হলেও বিট কর্মকর্তা আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় এবং আদালতের বিধি-বিধান উল্লেখ করা সাইনবোর্ড থাকা অবস্থায় রাস্তা নির্মাণ করে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়ায় সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে তাহলে কি বন কর্মকর্তাগন এই জায়গাটি গোপনে বিক্রি করে দিয়েছেন অক্সিজেন ফ্যাক্টরির নিকট। এমন দৃশ্যত অবস্থা চালু করেছেন স্বয়ং বিট কর্মকর্তা নিজেই উল্লেখিত বন বিটের আওতাধীন যতগুলো মৌজা রয়েছে প্রতিটি মৌজায় রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল করিমের সহযোগিতা নিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ কিংবা বনের ভিতর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষদের থেকে অন্যায় ভাবে লাভবান হওয়া এখন তাদের নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাংবাদিকদের চোখ ফাঁকি দিতে অত্যন্ত ধূর্ততায় ভুল নাম ঠিকানা ব্যবহার করে দায়সারা গোছের প্রতারণামূলক আরজির বিবরণ দিয়ে সাজানো মামলায় দখল দারদের দায় মুক্তি দিচ্ছেন। যেখান থেকে সন্ধান পাওয়া যায় গোবিন্দ বাড়ি মৌজা সরকার পাড়া বিবাদীদের পিতার নাম কিংবা স্বামীর নাম ভুল উল্লেখ করে মামলার বিবরণ যাতে করে বিবাদীর নামে ওয়ারেন্ট হলেও পিতার নাম ভুল থাকায় কাশিমপুর থানা পুলিশ আসামি ধরতে গিয়ে ফিরে আসে। ভূমির দাগ খতিয়ান আরজিতে ভুল ভাবে উপস্থাপন করায় অপরাধী আসামির দায়মুক্তি, আলোচিত অনেক বিষয় তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হইল। আলোচিত এই ঘটনা সর্বসাধারণের মুখে মুখে তাই পরিবেশবাদীগন বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট মহলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।