Dhaka 5:53 am, Thursday, 27 November 2025

সীমানা নির্ধারণের আবেদন করেই কোটি টাকার বনের সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা

Reporter Name
  • Update Time : 01:39:09 pm, Sunday, 27 October 2024
  • / 273 Time View
১০

অনুসন্ধানী প্রতিবেদনঃ গাজীপুর, কাশিমপুর থানাধীন কালিয়াকৈর চন্দ্রা রেঞ্জের আওতায় কাশিমপুর বনবিট এর গোবিন্দ বাড়ি মৌজা ২০ ধারার গেজেট ভুক্ত বনভূমিতে মন্ডল গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমি দালালদের হাত করে বন দখলের পায়তারা করছে। আর অলক্ষে থেকে অজ্ঞাত কারণে তাহাতে সহযোগিতায় করছেন বিট কর্মকর্তা স্বয়ং নিজেই তারই দেখানো পথে হেঁটে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বরাবর কেবল আবেদন করেই কোটি কোটি টাকা মূল্যের বনের সম্পত্তি দখলে নিয়ে ভবন নির্মাণ করছে বলে স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা যায়।

স্থানীয়দের তথ্য মতে, মন্ডল গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে নিম্নে বর্ণিত ভূমি দখলে নিতে পায়তারা করে আসিতেছে কিন্তু যতবারই চেষ্টা চালিয়েছিল প্রতিবারই তাহারা বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।এ অবস্হায় বিগত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের অস্তিতিশীল পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতির মধ্য দিয়ে ভূমি দখলে ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃপক্ষ পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক বনভূমিতে প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ কার্যক্রম চালাতে গেলে বিষয়টি সাংবাদিকদের নজরে আসে।সাংবাদিকগণ এ ব্যাপারে বিট কর্মকর্তাকে অবগত করিলে তিনি ও প্লট মালিক জহুরা সহ স্ব -শরীরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিয়ম অনুযায়ী বাধা প্রদান করেন। পরবর্তীতে গোপন সমঝোতায় বিট কর্মকর্তার পরামর্শ ক্রমে ভূমি দালালদের সীমানা নির্ধারণের জন্য বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নিকট আবেদন করিতে বলিলে ভূমি দালালরা ডিএফও বরাবর আবেদন করেন। আবেদন সূত্রে বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) তাহার অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরজমিন তদন্ত করিয়া প্রতিবেদন দাখিল করিতে নির্দেশনা প্রদান করেন বলিয়া গোপন সূত্রে জানা যায়।এরই ধারাবাহিকতায় উল্লেখিত এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত এ সি এফ,রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল করিম, বিট কর্মকর্তা সুলাইমান হোসেন, ফরেস্ট গার্ড সহ অজানা দুজন সার্বিয়ার নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির ভিতরে প্রবেশ করেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিবর্গরা জানিয়েছেন মন্ডল গ্রুপ অফ ইন্ড্রাস্ট্রিজের জেনারেল ম্যানেজারের অফিসকক্ষে দীর্ঘ সময় চলে নিরব কথপকথন পর্যায়ক্রমে যতদূর জানা যায় সেখানে আথিতেয়তা বরণ করেই সময় অতিক্রান্ত করে কোন প্রকার মাপজোক ছাড়াই দায়িত্ব প্রাপ্তগণ তাদের কর্মযজ্ঞ শেষ করেন। এরই পূর্বে ভেকু দিয়ে মাটি সরিয়ে খাল খনন করে বনের মাটি নিয়ে গেছে ফ্যাক্টরির ভিতরে। এরই মাঝে বাউন্ডারি করে ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃপক্ষ দিবারাত্রি ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, বনের সুফলের আওতায় প্লট মালিক জয়ধরের স্ত্রী জহুরা ও স্বামী জয়দর ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃপক্ষের সাথে গোপন সমবুঝতায় দেখভলের নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে তারা নারাজ, বিট কর্মকর্তার নগ্ন আচরণ ও অসংলগ্ন কথাবার্তায় স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সচেতন মহলের বক্তব্য অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় উদাসীনতায় প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দের হেয়ালিপনার ছাপ স্পষ্টতর ফুটে উঠেছে। তাই দেশপ্রেমিক পরিবেশবাদীগণ বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

10

সীমানা নির্ধারণের আবেদন করেই কোটি টাকার বনের সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা

Update Time : 01:39:09 pm, Sunday, 27 October 2024
১০

অনুসন্ধানী প্রতিবেদনঃ গাজীপুর, কাশিমপুর থানাধীন কালিয়াকৈর চন্দ্রা রেঞ্জের আওতায় কাশিমপুর বনবিট এর গোবিন্দ বাড়ি মৌজা ২০ ধারার গেজেট ভুক্ত বনভূমিতে মন্ডল গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমি দালালদের হাত করে বন দখলের পায়তারা করছে। আর অলক্ষে থেকে অজ্ঞাত কারণে তাহাতে সহযোগিতায় করছেন বিট কর্মকর্তা স্বয়ং নিজেই তারই দেখানো পথে হেঁটে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বরাবর কেবল আবেদন করেই কোটি কোটি টাকা মূল্যের বনের সম্পত্তি দখলে নিয়ে ভবন নির্মাণ করছে বলে স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা যায়।

স্থানীয়দের তথ্য মতে, মন্ডল গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে নিম্নে বর্ণিত ভূমি দখলে নিতে পায়তারা করে আসিতেছে কিন্তু যতবারই চেষ্টা চালিয়েছিল প্রতিবারই তাহারা বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।এ অবস্হায় বিগত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের অস্তিতিশীল পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতির মধ্য দিয়ে ভূমি দখলে ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃপক্ষ পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক বনভূমিতে প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ কার্যক্রম চালাতে গেলে বিষয়টি সাংবাদিকদের নজরে আসে।সাংবাদিকগণ এ ব্যাপারে বিট কর্মকর্তাকে অবগত করিলে তিনি ও প্লট মালিক জহুরা সহ স্ব -শরীরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিয়ম অনুযায়ী বাধা প্রদান করেন। পরবর্তীতে গোপন সমঝোতায় বিট কর্মকর্তার পরামর্শ ক্রমে ভূমি দালালদের সীমানা নির্ধারণের জন্য বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নিকট আবেদন করিতে বলিলে ভূমি দালালরা ডিএফও বরাবর আবেদন করেন। আবেদন সূত্রে বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) তাহার অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরজমিন তদন্ত করিয়া প্রতিবেদন দাখিল করিতে নির্দেশনা প্রদান করেন বলিয়া গোপন সূত্রে জানা যায়।এরই ধারাবাহিকতায় উল্লেখিত এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত এ সি এফ,রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল করিম, বিট কর্মকর্তা সুলাইমান হোসেন, ফরেস্ট গার্ড সহ অজানা দুজন সার্বিয়ার নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির ভিতরে প্রবেশ করেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিবর্গরা জানিয়েছেন মন্ডল গ্রুপ অফ ইন্ড্রাস্ট্রিজের জেনারেল ম্যানেজারের অফিসকক্ষে দীর্ঘ সময় চলে নিরব কথপকথন পর্যায়ক্রমে যতদূর জানা যায় সেখানে আথিতেয়তা বরণ করেই সময় অতিক্রান্ত করে কোন প্রকার মাপজোক ছাড়াই দায়িত্ব প্রাপ্তগণ তাদের কর্মযজ্ঞ শেষ করেন। এরই পূর্বে ভেকু দিয়ে মাটি সরিয়ে খাল খনন করে বনের মাটি নিয়ে গেছে ফ্যাক্টরির ভিতরে। এরই মাঝে বাউন্ডারি করে ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃপক্ষ দিবারাত্রি ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, বনের সুফলের আওতায় প্লট মালিক জয়ধরের স্ত্রী জহুরা ও স্বামী জয়দর ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃপক্ষের সাথে গোপন সমবুঝতায় দেখভলের নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে তারা নারাজ, বিট কর্মকর্তার নগ্ন আচরণ ও অসংলগ্ন কথাবার্তায় স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সচেতন মহলের বক্তব্য অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় উদাসীনতায় প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দের হেয়ালিপনার ছাপ স্পষ্টতর ফুটে উঠেছে। তাই দেশপ্রেমিক পরিবেশবাদীগণ বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।