Dhaka 12:48 pm, Tuesday, 2 December 2025

ন্যায়সঙ্গত জলবায়ু অর্থায়নের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

Reporter Name
  • Update Time : 12:41:29 pm, Sunday, 20 October 2024
  • / 216 Time View

অগ্নিশিখা প্রতিবেদকঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু অর্থায়ন, অভিযোজন ও প্রশমন কৌশলগুলো ন্যায়সঙ্গত হতে হবে এবং সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর প্রাধান্য দিতে হবে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সংকট মোকাবিলায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি বাড়াতে হবে। উন্নত দেশগুলোর অর্থ সাহায্য কিছু আর্থিক সমস্যার সমাধান করলেও প্রকৃত জলবায়ু ন্যায়বিচার হবে না।

রবিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকায় পরিবেশ অধিদফতরে অনুষ্ঠিত ‘রোড টু বাকু: কপ২৯ – বাংলাদেশে সিএসওগুলোর জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত অবস্থান’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে থাকবে বলেও জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি অভিযোজন পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং তরুণদের এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার আহ্বান জানান। এছাড়া আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরা এবং উচ্চাভিলাষী প্রশমন উদ্যোগ নিয়ে কথা বলার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। কপ২৯ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের গুরুত্বও তিনি তুলে ধরেন।

সেমিনারে বিভিন্ন সিএসও, জলবায়ু কর্মী এবং নীতি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। সেমিনারের মূল লক্ষ্য ছিল কপ২৯ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের একটি একক অবস্থান গঠন করা। মূলত অভিযোজন কৌশল, জলবায়ু অর্থায়ন এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জলবায়ু সহনশীলতা গঠনে তাদের ভূমিকা নিয়ে এ আলোচনা ছিল।

অনুষ্ঠানের শেষে কপ২৯ সম্মেলনে জোরালো এডভোকেসির আহ্বান জানানো হয়, যেন বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনায় বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর কণ্ঠস্বর শোনা যায়। উপস্থিত প্রতিনিধিরা আশা প্রকাশ করেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং সহনশীলতা গঠনে বাংলাদেশ উদাহরণ সৃষ্টি করবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ন্যায়সঙ্গত জলবায়ু অর্থায়নের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

Update Time : 12:41:29 pm, Sunday, 20 October 2024

অগ্নিশিখা প্রতিবেদকঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু অর্থায়ন, অভিযোজন ও প্রশমন কৌশলগুলো ন্যায়সঙ্গত হতে হবে এবং সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর প্রাধান্য দিতে হবে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সংকট মোকাবিলায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি বাড়াতে হবে। উন্নত দেশগুলোর অর্থ সাহায্য কিছু আর্থিক সমস্যার সমাধান করলেও প্রকৃত জলবায়ু ন্যায়বিচার হবে না।

রবিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকায় পরিবেশ অধিদফতরে অনুষ্ঠিত ‘রোড টু বাকু: কপ২৯ – বাংলাদেশে সিএসওগুলোর জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত অবস্থান’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে থাকবে বলেও জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি অভিযোজন পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং তরুণদের এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার আহ্বান জানান। এছাড়া আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরা এবং উচ্চাভিলাষী প্রশমন উদ্যোগ নিয়ে কথা বলার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। কপ২৯ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের গুরুত্বও তিনি তুলে ধরেন।

সেমিনারে বিভিন্ন সিএসও, জলবায়ু কর্মী এবং নীতি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। সেমিনারের মূল লক্ষ্য ছিল কপ২৯ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের একটি একক অবস্থান গঠন করা। মূলত অভিযোজন কৌশল, জলবায়ু অর্থায়ন এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জলবায়ু সহনশীলতা গঠনে তাদের ভূমিকা নিয়ে এ আলোচনা ছিল।

অনুষ্ঠানের শেষে কপ২৯ সম্মেলনে জোরালো এডভোকেসির আহ্বান জানানো হয়, যেন বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনায় বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর কণ্ঠস্বর শোনা যায়। উপস্থিত প্রতিনিধিরা আশা প্রকাশ করেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং সহনশীলতা গঠনে বাংলাদেশ উদাহরণ সৃষ্টি করবে।