Dhaka 10:57 pm, Monday, 15 December 2025

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় চীন

Reporter Name
  • Update Time : 08:00:26 am, Thursday, 26 September 2024
  • / 233 Time View
৩২

অগ্নিশিখা ডেস্কঃ বাংলাদেশের সোলার প্যানেল খাতে বিনিয়োগ করতে চায় চীন। এছাড়া ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে চায় বেইজিং। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে এ ঘোষণা দিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ড. ইউনূসকে ‘চীনের জনগণের পুরোনো বন্ধু’ উল্লেখ করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য তাকে অভিনন্দন জানান।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনার (ড. ইউনূস) প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে যে আপনি দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবেন এবং দেশকে ঐক্যবদ্ধ করবেন।

ওয়াং ই বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চীনের সোলার প্যানেল প্রস্তুতকারকদের ড. ইউনূসের আহ্বানকে চীন গুরুত্ব দেবে।গত মাসে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ড. ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে প্রধান উপদেষ্টা এ আহ্বান জানিয়েছিলেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেইজিং দুই দেশের কোম্পানিগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা ও অংশীদারত্বকে উৎসাহিত করবে। তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সব পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়ার চীনের সিদ্ধান্ত থেকে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।

তিনি বলেন, চাইনিজ রেড ক্রস জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের একটি দল পাঠিয়েছে।

ওয়াং ই আরও বলেন, চীন বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি শিক্ষার্থীকে দেশটিতে স্বাগত জানাবে।

ড. ইউনূস এজন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান। কোটি কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে চীনের ‘বিস্ময়কর’ প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন তিনি।

তিনি বলেন, চীনা সোলার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আরও বড় পরিসরে বিনিয়োগ করতে পারে।

এছাড়া অন্যান্য চীনা নির্মাতাদেরও বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তর করার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ‘একটি নতুন অধ্যায়’ সূচনার উপর জোর দেন।

তিনি উভয় দেশের কোম্পানির মধ্যে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়ানোরও আহ্বান জানান।

 

 

 

 

 

 

 

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় চীন

Update Time : 08:00:26 am, Thursday, 26 September 2024
৩২

অগ্নিশিখা ডেস্কঃ বাংলাদেশের সোলার প্যানেল খাতে বিনিয়োগ করতে চায় চীন। এছাড়া ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে চায় বেইজিং। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে এ ঘোষণা দিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ড. ইউনূসকে ‘চীনের জনগণের পুরোনো বন্ধু’ উল্লেখ করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য তাকে অভিনন্দন জানান।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনার (ড. ইউনূস) প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে যে আপনি দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবেন এবং দেশকে ঐক্যবদ্ধ করবেন।

ওয়াং ই বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চীনের সোলার প্যানেল প্রস্তুতকারকদের ড. ইউনূসের আহ্বানকে চীন গুরুত্ব দেবে।গত মাসে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ড. ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে প্রধান উপদেষ্টা এ আহ্বান জানিয়েছিলেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেইজিং দুই দেশের কোম্পানিগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা ও অংশীদারত্বকে উৎসাহিত করবে। তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সব পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়ার চীনের সিদ্ধান্ত থেকে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।

তিনি বলেন, চাইনিজ রেড ক্রস জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের একটি দল পাঠিয়েছে।

ওয়াং ই আরও বলেন, চীন বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি শিক্ষার্থীকে দেশটিতে স্বাগত জানাবে।

ড. ইউনূস এজন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান। কোটি কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে চীনের ‘বিস্ময়কর’ প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন তিনি।

তিনি বলেন, চীনা সোলার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আরও বড় পরিসরে বিনিয়োগ করতে পারে।

এছাড়া অন্যান্য চীনা নির্মাতাদেরও বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তর করার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ‘একটি নতুন অধ্যায়’ সূচনার উপর জোর দেন।

তিনি উভয় দেশের কোম্পানির মধ্যে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়ানোরও আহ্বান জানান।