শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন

যেসব কারণে ড্রাগন ফল খাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ ড্রাগন ফল বিদেশি হলেও আমাদের দেশে এখন বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ হচ্ছে। আর সেই কারণেই দেশের বাজারে এখন প্রচুর ড্রাগন ফল পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে দামি ফল হিসেবে খেতে চান, কিন্তু জানেন না এতে কী কী পুষ্টিগুণ আছে।

ড্রাগন ফলে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। ক্যালরি কম থাকায় এই ফল খেলে ওজন বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। এতে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড, বিটা-ক্যারোটিন ও লাইকোপেনের মতো অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট আছে। আরও আছে ফাইবার ও আয়রন, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

কীভাবে খাবেন
ড্রাগন ফল খোসা ফেলে জুস করে খেতে পারেন। চাইলে সালাদ হিসেবেও খেতে পারেন। আবার সাধারণ ফলের মতো কেটেও খেতে পারেন। তাপে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়, তাই রান্না করে না খাওয়াই ভালো।

অ্যাসিডিটির সমস্যাঃ প্রতিদিন ড্রাগন ফ্রুট খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যাও বাড়তে পারে। তাই যারা অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগছেন, তারা বুঝেশুনে তবে খান ড্রাগন ফ্রুট। পরিমাণে অল্প খান, কিন্তু অতিরিক্ত খেলে বিপত্তি ঘটতে পারে।

বদহজমঃ বদহজমের সমস্যা থাকলে ড্রাগন ফ্রুট খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে। বদহজম হলে অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই অতিরিক্ত ড্রাগন ফ্রুট না খাওয়াই ভালো।

পেটের সমস্যাঃ অতিরিক্ত ড্রাগন ফ্রুট খেলে মারাত্মকভাবে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি হতে পারে ডায়রিয়াও। তাই মাঝে মধ্যে এই ফল খান, প্রতিদিন একেবারেই নয়।

অ্যালার্জির সমস্যাঃ ড্রাগন ফ্রুট খেলে অনেকের ক্ষেত্রে অ্যালার্জির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তারা বুঝেশুনে তবেই খান ড্রাগন ফ্রুট।

ব্লাড সুগার বাড়তে পারেঃ ড্রাগন ফ্রুট নিয়মিত খেলে ব্লাড সুগারের মাত্রাও বাড়তে পারে। তাই ডায়াবেটিস থাকলে এই ফল একেবারেই খাবেন না।

নিয়মিত ড্রাগন ফ্রুট খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার মতো জটিল সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কিডনির আমাদের শরীরে থাকা টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। তাই কিডনিতে কোনো সমস্যা হলে তার প্রভাব পড়ে পুরো শরীরে।

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com