সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৭ অপরাহ্ন

সর্বশেষ :
অবৈধ লিকেজ গ্যাস লাইনে ব্যাপক বিস্ফোরণ, দুই শিশুসহ আহত (৪)জন নারায়ণগঞ্জ জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল)এর যোগদান “মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি কমবে জীনব ও সম্পদের ক্ষতি “ নারায়ণগঞ্জের সদর থানার পুলিশ মাদকসহ হাতে-নাতে দুই নারীকে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জের সদর থানার পুলিশ মাদকসহ হাতে-নাতে দুই নারীকে গ্রেফতার করে আঞ্চলিক অফিসের সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে ১০শতক রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি দখল উপজেলা প্রশাসন নারায়াণগঞ্জ সদর কর্তৃক সদর উপজেলায় ‘ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট অলিম্পিয়াড ২০২৫’ অনুষ্ঠিত* নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অজ্ঞত নামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জ শহরে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা প্লাস্টিক পাইপে ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ গ্যাস সংযোগ

খুলনায় যুবকের দু’চোখ তুলে নেওয়ার ঘটনায় ওসিসহ ১২ জনের নামে মামলা

মোঃ নাসির উদ্দীন গাজী,খুলনা বিভাগের বূরো প্রধান: খুলনার আলোচিত সেই শাহজালাল হাওলাদারের দু’চোখ উপড়ে নেওয়ার অভিযোগে খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম খানসহ ১২ জনের নামে মামলা হয়েছে।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, এএসআই রাসেল, এস আই তাপস কুমার পাল, এস আই মো. মোরসেলিম মোল্লা, এস আই মো. মিজানুর রহমান, কনস্টেবল আল মামুন, আনসার সিপাহী মো. আফসার আলী, আনসার নায়েক আবুল হাসান, আনসার নায়েক রেজাউল হক, এস আই নূর ইসলাম, এএসআই সৈয়দ সাহেব আলী ও সুমা আক্তার।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মহানগর হাকিম মো. আল আমিনের আদালতে মামলাটি শাহজালালের মা মোসাম্মত রেনু বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। শাহজালাল পিরোজপুর জেলার কাউখালি উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের মো. জাকির হোসেনের ছেলে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মোমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, শাহজালাল ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে নগরীর খালিশপুর থানার নয়াবাটি রেললাইন বস্তিতে তার শ্বশুরবাড়িতে যান।

১৮ জুলাই রাত ৮টার দিকে তিনি মেয়ে শিশুর দুধ কেনার জন্য বাসা থেকে বের হন। তখন তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার মিথ্যা কথা বলে পুলিশ তাকে আটক করে খালিশপুর থানায় নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা থানায় গেলে পুলিশ তাদের কাছে দেড় লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু তারা টাকা দিতে পারেনি।রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ তাকে গাড়িতে করে গোয়ালখালী এলাকায় নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে খুঁচিয়ে তার চোখ তুলে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ সুমা আক্তার নামে একজনকে দিয়ে শাহজালালের নামে মিথ্যা ছিনতাই মামলা করায়।

বিষয়টি জানার পর শাহজালালের মা-বাবা খুলনায় আসেন এবং কয়েকদিন পর আদালতে মামলা করেন। মামলা প্রত্যাহারের জন্য পুলিশ তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের নানা হুমকি দেয়। তাদের বলা হয়, মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আরও অনেক মিথ্যা মামলা দেওয়া হবে। ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে পুলিশ গাড়িতে করে শাহজালাল ও তার মা-বাবাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর সাদা স্ট্যাম্প এবং সাদা ও নীল কাগজে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। পরে তারা জানতে পারেন যে, স্বাক্ষর করা কাগজপত্র ব্যবহার করে পুলিশ সদস্যরা আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহার করিয়ে নিয়েছেন।

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com