Dhaka 1:06 am, Sunday, 23 November 2025

পরিত্যক্ত অবস্থায় চার্লির কুঠিবাড়ি

  • Reporter Name
  • Update Time : 10:56:42 am, Thursday, 19 September 2024
  • 257 Time View

মোঃ নাসির উদ্দীন গাজী, খুলনা বিভাগের বূরো চীফঃ খুলনা শহরের প্রথম স্থাপনা চার্লির কুঠিবাড়ি। ডাকবাংলোর অদূরে হুগলি বেকারির মোড় থেকে পশ্চিমমুখী যে রাস্তাটি রেলওয়ে মার্কেটের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে, সেটি ধরে এগোতে থাকলে হাতের ডানে রেলওয়ে স্কুল। সেটি পার করে এগোলে হাতের ডানে একটি পুরনো স্থাপনায় চোখ আটকে যায়। সারি সারি দোকানঘর ওই পুরনো স্থাপনাটিকে প্রায় আড়াল করে ফেলেছে। দুই দোকানের মধ্যখানের একচিলতে রাস্তা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলে স্থাপনাটি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে।তবে স্থাপনাটির অবস্থা খুবই খারাপ। ভেঙে পড়ছে। বোঝাই যায়, পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থেকে এর একেবারে দৈন্য দশা। রেলওয়ের মালিকানাভুক্ত সম্পত্তি হলেও এর রক্ষণাবেক্ষণ বা সংরক্ষণের পরিকল্পিত কোনো উদ্যোগ নেই।

অথচ এটাই খুলনা শহরের প্রথম ইমারতের স্থাপনা। এর প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব অসীম হলেও পাশের দোকানদারও জানেন না, এটাই খুলনা শহরের প্রথম ভবন।স্থানটি এখন গাছগাছালি, লতা-গুল্মে পূর্ণ। স্থাপনাটির ইট-সুরকি, পলেস্তারা খসে পড়ছে।

কোথাও কোথাও দেয়ালের ইট আলগা হয়ে ঝরে পড়ছে। বর্ষার পানি জমেছে চত্বরে, দেয়াল ভিজে স্যাঁতসেঁতে। বাড়িটির দোতলায় ওঠার সিঁড়ি থাকলেও সিঁঁড়ির সঙ্গে দোতলার মেঝে সংযোগকারী পাটাতন ভেঙে পড়েছে। বাড়িটির বয়স হয়েছে ২২৯ বছর। অবশ্য এই দীর্ঘ সময়ে বাড়িটি একাধিকবার সংস্কার করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Murad Ahmed

Popular Post

ফতুল্লা থানা পুলিশ ০৯ (নয়) বোতল ফেন্সিডিল সহ ০২ (দুই) জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে

পরিত্যক্ত অবস্থায় চার্লির কুঠিবাড়ি

Update Time : 10:56:42 am, Thursday, 19 September 2024

মোঃ নাসির উদ্দীন গাজী, খুলনা বিভাগের বূরো চীফঃ খুলনা শহরের প্রথম স্থাপনা চার্লির কুঠিবাড়ি। ডাকবাংলোর অদূরে হুগলি বেকারির মোড় থেকে পশ্চিমমুখী যে রাস্তাটি রেলওয়ে মার্কেটের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে, সেটি ধরে এগোতে থাকলে হাতের ডানে রেলওয়ে স্কুল। সেটি পার করে এগোলে হাতের ডানে একটি পুরনো স্থাপনায় চোখ আটকে যায়। সারি সারি দোকানঘর ওই পুরনো স্থাপনাটিকে প্রায় আড়াল করে ফেলেছে। দুই দোকানের মধ্যখানের একচিলতে রাস্তা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলে স্থাপনাটি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে।তবে স্থাপনাটির অবস্থা খুবই খারাপ। ভেঙে পড়ছে। বোঝাই যায়, পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থেকে এর একেবারে দৈন্য দশা। রেলওয়ের মালিকানাভুক্ত সম্পত্তি হলেও এর রক্ষণাবেক্ষণ বা সংরক্ষণের পরিকল্পিত কোনো উদ্যোগ নেই।

অথচ এটাই খুলনা শহরের প্রথম ইমারতের স্থাপনা। এর প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব অসীম হলেও পাশের দোকানদারও জানেন না, এটাই খুলনা শহরের প্রথম ভবন।স্থানটি এখন গাছগাছালি, লতা-গুল্মে পূর্ণ। স্থাপনাটির ইট-সুরকি, পলেস্তারা খসে পড়ছে।

কোথাও কোথাও দেয়ালের ইট আলগা হয়ে ঝরে পড়ছে। বর্ষার পানি জমেছে চত্বরে, দেয়াল ভিজে স্যাঁতসেঁতে। বাড়িটির দোতলায় ওঠার সিঁড়ি থাকলেও সিঁঁড়ির সঙ্গে দোতলার মেঝে সংযোগকারী পাটাতন ভেঙে পড়েছে। বাড়িটির বয়স হয়েছে ২২৯ বছর। অবশ্য এই দীর্ঘ সময়ে বাড়িটি একাধিকবার সংস্কার করা হয়েছে।