মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ :
প্লাস্টিক পাইপে ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ গ্যাস সংযোগ সরাইল তেলিকান্দি পশ্চিম দঃ পাড়া বাইতুস সালাম জামে মসজিদের দুই গ্রুপে মিলাদ কিয়াম নিয়ে হাতাহাতি এদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ গ্রেফতার করছে না দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী অহিদুল ইসলাম জাফরকে মাদকসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ দৈনিক মানবজমিন প্রত্রিকায় প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন চকরিয়ায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২০ হাজার ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সুলতানপুর হালকাটা থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার আটক ১ জন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আইন উপদেষ্টা ড, আসিফ নজরুল

কঙ্গোতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের ৪ নাগরিকসহ ৩৭ জনের মৃতুদণ্ডাদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ডি আর কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স টিশিসেকেদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার সরকারি বাসভবনে হামলার অভিযোগে ৩৭ জনকে মৃত্যু দণ্ড দিয়েছেন দেশটির সামরিক আদালত। দণ্ডাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের ৩ জন, যুক্তরাজ্যের ১ জন, কানাডার ১ জন ও বেলজিয়ামের নাগরিক রয়েছেন। বাকি ৩১ জন কঙ্গোর।

অবশ্য যে চার দেশের ৬ নাগরিককে দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন ব্যতীত সবাই কঙ্গোলিজ বংশোদ্ভূত। হামলার পরিকল্পনা এবং নেতৃত্ব যিনি দিয়েছিলেন, সেই ক্রিস্টিয়ান মালাঙ্গাও কঙ্গো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সেখানে নাগরিকত্ব অর্জন করেছিলেন।

গত মে মাসে ক্রিস্টিয়ান মালাঙ্গার নেতৃত্বে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে হামলা হয়েছিল। হামলার সময় নিরাপত্তা বাহিনী ও সেনা সদস্যদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মালাঙ্গা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে মোট ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ-সেনা যৌথ বাহিনী। সামরিক আদালতে প্রায় সাড়ে তিন মাস বিচার চলার পর শুক্রবার ৩৭ জনকে ফাঁসি এবং বাকি ১৪ জনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের মধ্যে ক্রিস্টিয়ান মালাঙ্গার ছেলে মার্সেল মালাঙ্গাও (২০) রয়েছেন। তিনি অবশ্য বিচারের সময় বলেছিলেন যে তিনি বাধ্য হয়ে এই হামলায় অংশ নিয়েছিলেন; কারণ তার বাবা ক্রিস্টিয়ান তাকে হুমকি দিয়েছিলেন যে হামলায় অংশ না নিলে তিনি মার্সেলকে হত্যা করবেন।

দণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের মধ্যে একমাত্র আসামি টেইলর থম্পসন, যিনি খাঁটি মার্কিন নাগরিক। ২০ বছর বয়সী টেইলর তার বন্ধু মার্সেলের সঙ্গে কঙ্গোতে এসেছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা যদি চান, তাহলে রায় বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। সেজন্য তাদেরকে ৫ দিন সময় দিয়েছেন সামরিক আদালত।

রায় ঘোষণার পর টেইলর থম্পসনের মা মিরান্ডা থম্পসন বিবিসিকে বলেন, “আমি বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত। আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা এখনও বুঝে উঠতে পারছি না যে এমন একটি ঘটনায় কীভাবে আমার ছেলে যুক্ত হলো।”

প্রসঙ্গত, কঙ্গোর আইন ও দণ্ডবিধিতে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ নয়। তবে দেশটির বিচার ব্যবস্থা এই দণ্ডপ্রদানকে সবসময় নিরুৎসাহিত করে। প্রায় দু’দশক পর এই প্রথম মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করলেন কঙ্গোর কোনো আদালত।

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com