Dhaka 1:20 am, Monday, 8 December 2025

শেরপুরে কোটা আন্দোলনের পক্ষে-বিপক্ষে আহত-২০

Reporter Name
  • Update Time : 04:55:28 pm, Wednesday, 17 July 2024
  • / 262 Time View
২৬

মোঃ মানিক মিয়া, শেরপুর: শেরপুরে ১৭ জুলাই বুধবার দুপুর তিনটা সাধারন শিক্ষার্থীরা কোটা বিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচী জন্য শেরপুর সরকারী কলেজ গেইটে অবস্থান করেন।পরে সাধারন শিক্ষার্থীদরা মিছিল নিয়ে কলেজ গেইট থেকে থানার মোড়ের দিকে অগ্রসর হলে এসময়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগ ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুপুর তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত শহরের নিউমার্কেট মোড়, থানা মোড় ও চকবাজারে ওইসব সংঘর্ষ ঘটে। ওইসব ঘটনায় পুলিশ, কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন পুলিশ সদস্য, ছাত্রলীগ,বেশ কয়েকজন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থী। এদিকে ঘটনার বিষয়ে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হোসেন পিপিএম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আন্দোলনকারীদের হামলায় আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজনের অবস্থা খুবই গুরুতর। ওই ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। জানা যায়, কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীরা দুপুর তিনটায় শেরপুর সরকারি কলেজে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে মিছিল শুরু করে শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রদক্ষিণের সময় ছাত্রলীগের বাঁধার মুখে পড়ে। পরে কোটাবিরোধীরা শহরের থানামোড়ে, ছাত্রলীগ নিউমার্কেট মোড়ে এবং পুলিশ তাদের মাঝামাঝি অবস্থান নেয়। এসময় আকস্মিক কোটাবিরোধী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে শহরের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ছুড়ে। এতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও একটু পর ফের কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা থানামোড়ে অবস্থান নেয়। সেখানে ডিবি পুলিশের ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং রাস্তায় আগুন দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে ফের শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পুলিশ। ওইসময় দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। এভাবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত হলেও শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।এ ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সার্কেল মো. সাইদুর রহমান জানান, বর্তমানে শহরের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ সর্বদায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

শেরপুরে কোটা আন্দোলনের পক্ষে-বিপক্ষে আহত-২০

Update Time : 04:55:28 pm, Wednesday, 17 July 2024
২৬

মোঃ মানিক মিয়া, শেরপুর: শেরপুরে ১৭ জুলাই বুধবার দুপুর তিনটা সাধারন শিক্ষার্থীরা কোটা বিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচী জন্য শেরপুর সরকারী কলেজ গেইটে অবস্থান করেন।পরে সাধারন শিক্ষার্থীদরা মিছিল নিয়ে কলেজ গেইট থেকে থানার মোড়ের দিকে অগ্রসর হলে এসময়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগ ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুপুর তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত শহরের নিউমার্কেট মোড়, থানা মোড় ও চকবাজারে ওইসব সংঘর্ষ ঘটে। ওইসব ঘটনায় পুলিশ, কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন পুলিশ সদস্য, ছাত্রলীগ,বেশ কয়েকজন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থী। এদিকে ঘটনার বিষয়ে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হোসেন পিপিএম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আন্দোলনকারীদের হামলায় আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজনের অবস্থা খুবই গুরুতর। ওই ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। জানা যায়, কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীরা দুপুর তিনটায় শেরপুর সরকারি কলেজে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে মিছিল শুরু করে শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রদক্ষিণের সময় ছাত্রলীগের বাঁধার মুখে পড়ে। পরে কোটাবিরোধীরা শহরের থানামোড়ে, ছাত্রলীগ নিউমার্কেট মোড়ে এবং পুলিশ তাদের মাঝামাঝি অবস্থান নেয়। এসময় আকস্মিক কোটাবিরোধী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে শহরের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ছুড়ে। এতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও একটু পর ফের কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা থানামোড়ে অবস্থান নেয়। সেখানে ডিবি পুলিশের ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং রাস্তায় আগুন দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে ফের শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পুলিশ। ওইসময় দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। এভাবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত হলেও শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।এ ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সার্কেল মো. সাইদুর রহমান জানান, বর্তমানে শহরের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ সর্বদায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।