Dhaka 9:15 am, Wednesday, 26 November 2025

দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : 05:39:01 am, Thursday, 13 July 2023
  • / 311 Time View

অনলাইন ডেস্কঃরাজধানীর খিলগাঁওয়ে প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন পয়ঃশোধন ক্ষমতাসম্পন্ন দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম একক পয়ঃশোধন কেন্দ্র (এসটিপি) আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি রাজধানীর আশপাশের নদীগুলোকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করবে।

ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড সুয়ারেজ অথরিটির (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান গত মঙ্গলবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকায় দাশেরকান্দি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। দেশে এটিই প্রথম এ ধরনের প্ল্যান্ট।

রাজধানীর আফতাবনগরে নিজ অফিস সাইটে প্ল্যান্ট সম্পর্কে তাকসিম এ খান আরও বলেন, প্ল্যান্টে দৈনিক পাঁচ মিলিয়ন মেট্রিক টন পয়ঃশোধন প্রক্রিয়ার ক্ষমতা আছে, যা রাজধানীর মোট পয়ঃশোধনের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ।

ঢাকা ওয়াসার প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকার শতভাগ পয়ঃশোধন প্রক্রিয়ার মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী পাগলা, উত্তরা, রায়েরবাজার ও মিরপুর এলাকায় একটি করে আরও চারটি পয়ঃশোধনাগার নির্মাণ করা হবে।

প্ল্যান্টটি ২০৩০ সালের মধ্যে সারাদেশে উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার মাধ্যমে এসডিজি লক্ষ্য-৬ বাস্তবায়নে সহায়ক হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে একটি সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার পথপ্রদর্শক। এ ধরনের একক পয়ঃশোধানাগার দক্ষিণ এশিয়ায় বৃহত্তম এবং এটিই সেরা।

তিনি বলেন, প্ল্যান্টটি পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও জনবান্ধব। নর্দমা থেকে পরিশোধিত পানি বালু নদীর পানিতে পড়ছে- যা নদীর পানির গুণগতমান বাড়ানোর পাশাপাশি পানি সুপেয় করে তোলে।

পাগলা সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং রায়েরবাজারের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়েছে।

ঢাকা ওয়াসার প্রধান নির্বাহী বলেন, সিমেন্ট উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্লাই অ্যাশ, পয়ঃশোধনের উপজাত, সিমেন্ট কারখানায় বিক্রি করা হবে। পরে তাদের সঙ্গে চুক্তি সই হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল করতে সরকারের উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ঢাকা ওয়াসা তাদের কার্যক্রমের ৭০ শতাংশ ডিজিটালাইজড করেছে। পদ্মা ও সায়েদাবাদ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট সম্পূর্ণ অটোমেটেড করা হয়েছে। উন্নয়নের মহাসড়কে সরকারের যাত্রায় আমরা সঙ্গী।

দাশেরকান্দি পয়ঃশোধানাগার- যা খিলগাঁও থানার অন্তর্গত, আফতাবনগর সংলগ্ন এবং গুলশান (একাংশ), বনানী, তেজগাঁও, নিকেতন, মগবাজার, মালিবাগ, আফতাবনগর, বাড্ডা, কলাবাগান, পান্থপথ, ধানমন্ডি (একাংশ) ও হাতিরঝিলসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকার পয়ঃশোধনের ব্যবস্থা করবে।

চীনের অর্থায়নে তিন হাজার ৪৮২ দশমিক ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৬২ দশমিক ২ একর জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়। এ অর্থের এক হাজার ১০৬ দশমিক ৪২ কোটি টাকা জিওবি তহবিল থেকে, ১০ কোটি টাকা ওয়াসার তহবিল থেকে আসবে। এছাড়া চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক এ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে। প্রকল্পটির বাকি দুই হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা ব্যাংকটি থেকে সহায়তা হিসেবে নেওয়া হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

10

দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

Update Time : 05:39:01 am, Thursday, 13 July 2023

অনলাইন ডেস্কঃরাজধানীর খিলগাঁওয়ে প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন পয়ঃশোধন ক্ষমতাসম্পন্ন দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম একক পয়ঃশোধন কেন্দ্র (এসটিপি) আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি রাজধানীর আশপাশের নদীগুলোকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করবে।

ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড সুয়ারেজ অথরিটির (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান গত মঙ্গলবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকায় দাশেরকান্দি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। দেশে এটিই প্রথম এ ধরনের প্ল্যান্ট।

রাজধানীর আফতাবনগরে নিজ অফিস সাইটে প্ল্যান্ট সম্পর্কে তাকসিম এ খান আরও বলেন, প্ল্যান্টে দৈনিক পাঁচ মিলিয়ন মেট্রিক টন পয়ঃশোধন প্রক্রিয়ার ক্ষমতা আছে, যা রাজধানীর মোট পয়ঃশোধনের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ।

ঢাকা ওয়াসার প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকার শতভাগ পয়ঃশোধন প্রক্রিয়ার মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী পাগলা, উত্তরা, রায়েরবাজার ও মিরপুর এলাকায় একটি করে আরও চারটি পয়ঃশোধনাগার নির্মাণ করা হবে।

প্ল্যান্টটি ২০৩০ সালের মধ্যে সারাদেশে উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার মাধ্যমে এসডিজি লক্ষ্য-৬ বাস্তবায়নে সহায়ক হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে একটি সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার পথপ্রদর্শক। এ ধরনের একক পয়ঃশোধানাগার দক্ষিণ এশিয়ায় বৃহত্তম এবং এটিই সেরা।

তিনি বলেন, প্ল্যান্টটি পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও জনবান্ধব। নর্দমা থেকে পরিশোধিত পানি বালু নদীর পানিতে পড়ছে- যা নদীর পানির গুণগতমান বাড়ানোর পাশাপাশি পানি সুপেয় করে তোলে।

পাগলা সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং রায়েরবাজারের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়েছে।

ঢাকা ওয়াসার প্রধান নির্বাহী বলেন, সিমেন্ট উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্লাই অ্যাশ, পয়ঃশোধনের উপজাত, সিমেন্ট কারখানায় বিক্রি করা হবে। পরে তাদের সঙ্গে চুক্তি সই হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল করতে সরকারের উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ঢাকা ওয়াসা তাদের কার্যক্রমের ৭০ শতাংশ ডিজিটালাইজড করেছে। পদ্মা ও সায়েদাবাদ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট সম্পূর্ণ অটোমেটেড করা হয়েছে। উন্নয়নের মহাসড়কে সরকারের যাত্রায় আমরা সঙ্গী।

দাশেরকান্দি পয়ঃশোধানাগার- যা খিলগাঁও থানার অন্তর্গত, আফতাবনগর সংলগ্ন এবং গুলশান (একাংশ), বনানী, তেজগাঁও, নিকেতন, মগবাজার, মালিবাগ, আফতাবনগর, বাড্ডা, কলাবাগান, পান্থপথ, ধানমন্ডি (একাংশ) ও হাতিরঝিলসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকার পয়ঃশোধনের ব্যবস্থা করবে।

চীনের অর্থায়নে তিন হাজার ৪৮২ দশমিক ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৬২ দশমিক ২ একর জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়। এ অর্থের এক হাজার ১০৬ দশমিক ৪২ কোটি টাকা জিওবি তহবিল থেকে, ১০ কোটি টাকা ওয়াসার তহবিল থেকে আসবে। এছাড়া চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক এ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে। প্রকল্পটির বাকি দুই হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা ব্যাংকটি থেকে সহায়তা হিসেবে নেওয়া হবে।