Dhaka 1:53 pm, Sunday, 23 November 2025

চীনের কয়েকটি শহরে নতুন করে লকডাউন

  • Reporter Name
  • Update Time : 03:23:50 pm, Thursday, 11 August 2022
  • 363 Time View

চীনের পূর্ব থেকে উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহরে নতুন করে লকডাউন ও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এসব শহরে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এই বিধিনিষেধ এবং লকডাউন স্থানীয় অর্থনীতির জন্য আবারও হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। তারপর থেকেই সংক্রমণ কমিয়ে আনতে কঠোর অবস্থান নেয় চীন। জিরো কোভিড নীতির আওতায় গণহারে টেস্টিং, ট্রেসিং, লকডাউন জারি করা হয়। মূলত লোকজনের অপ্রয়োজনীয় চলাচল হ্রাস করতেই বিভিন্ন শহরে বিধিনিষেধ জারি রয়েছে।

পূর্বাঞ্চলীয় রপ্তানি ও উত্পাদন কেন্দ্র ইউ-এর কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে, তারা আগামী তিন দিনের জন্য ‘নীরব ব্যবস্থাপনা’য় প্রবেশ করবে। এর আওতায় ওই শহরের বেশিরভাগ বাসিন্দা নির্দিষ্ট এলাকা ছেড়ে অন্যত্র যেতে পারবেন না। কেউ কেউ নিজ নিজ বাড়ি ছেড়েও বের হতে পারবেন না। ওই শহরে প্রায় ১৯ লাখ মানুষের বসবাস।

ইউ এবং অন্যান্য শহরের বাসিন্দারা প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে। কোভিড টেস্ট, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য তাদের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

চীনের উত্তরাঞ্চলীয় জিনজিয়াংম আকসু অঞ্চলের তিন শহরে বৃহস্পতিবার থেকে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। লোকজন শুধু কাজের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হতে পারবে। এছাড়া তাদের ঘরেই থাকতে হবে। তবে কতদিন এই বিধিনিষেধ থাকবে সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়।

এদিকে গত বুধবার থেকে জিনজিয়াংয়ের রাজধানী উরুমকির গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলোতে পাঁচদিনের লকডাউন জারি করা হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় চীনে নতুন করে ১ হাজার ৯৯৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬১৪ জনের দেহে করোনার উপসর্গ থাকলেও ১ হাজার ৩৭৯ জন উপসর্গহীন বলে জানিয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।

তবে এই সময়ের মধ্যে নতুন করে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৩২ হাজার ৮০৯। এর মধ্যে মারা গেছে ৫ হাজার ২২৬ জন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Murad Ahmed

Popular Post

ফতুল্লা থানা পুলিশ ০৯ (নয়) বোতল ফেন্সিডিল সহ ০২ (দুই) জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে

চীনের কয়েকটি শহরে নতুন করে লকডাউন

Update Time : 03:23:50 pm, Thursday, 11 August 2022

চীনের পূর্ব থেকে উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহরে নতুন করে লকডাউন ও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এসব শহরে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এই বিধিনিষেধ এবং লকডাউন স্থানীয় অর্থনীতির জন্য আবারও হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। তারপর থেকেই সংক্রমণ কমিয়ে আনতে কঠোর অবস্থান নেয় চীন। জিরো কোভিড নীতির আওতায় গণহারে টেস্টিং, ট্রেসিং, লকডাউন জারি করা হয়। মূলত লোকজনের অপ্রয়োজনীয় চলাচল হ্রাস করতেই বিভিন্ন শহরে বিধিনিষেধ জারি রয়েছে।

পূর্বাঞ্চলীয় রপ্তানি ও উত্পাদন কেন্দ্র ইউ-এর কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে, তারা আগামী তিন দিনের জন্য ‘নীরব ব্যবস্থাপনা’য় প্রবেশ করবে। এর আওতায় ওই শহরের বেশিরভাগ বাসিন্দা নির্দিষ্ট এলাকা ছেড়ে অন্যত্র যেতে পারবেন না। কেউ কেউ নিজ নিজ বাড়ি ছেড়েও বের হতে পারবেন না। ওই শহরে প্রায় ১৯ লাখ মানুষের বসবাস।

ইউ এবং অন্যান্য শহরের বাসিন্দারা প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে। কোভিড টেস্ট, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য তাদের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

চীনের উত্তরাঞ্চলীয় জিনজিয়াংম আকসু অঞ্চলের তিন শহরে বৃহস্পতিবার থেকে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। লোকজন শুধু কাজের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হতে পারবে। এছাড়া তাদের ঘরেই থাকতে হবে। তবে কতদিন এই বিধিনিষেধ থাকবে সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়।

এদিকে গত বুধবার থেকে জিনজিয়াংয়ের রাজধানী উরুমকির গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলোতে পাঁচদিনের লকডাউন জারি করা হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় চীনে নতুন করে ১ হাজার ৯৯৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬১৪ জনের দেহে করোনার উপসর্গ থাকলেও ১ হাজার ৩৭৯ জন উপসর্গহীন বলে জানিয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।

তবে এই সময়ের মধ্যে নতুন করে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৩২ হাজার ৮০৯। এর মধ্যে মারা গেছে ৫ হাজার ২২৬ জন।