Dhaka 1:57 am, Saturday, 22 November 2025

পাবনা বেড়া উপজেলায় ১২০ জন গৃহহীনকে প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার দিলেন নির্বাহী অফিসার মোহা: সবুর আলী

  • Reporter Name
  • Update Time : 04:32:59 pm, Thursday, 21 July 2022
  • 338 Time View

ভ্যানচালক, দিনমজুর এবং অন্যের বাড়ি কাজ করা মানুষগুলোর মতো অসহায় পরিবারের কাছে জমি কিনে পাকা ঘর করে থাকাটা রীতিমতো অধরা স্বপ্ন। আর, এসব মানুষের কাছে সে স্বপ্ন এখন বাস্তবেই ধরা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে স্বপ্নপূরণ হয়েছে অসহায় এসব মানুষের। যাঁরা একসময়ে সরকারি জায়গায়, ভাড়াবাড়ি, অন্যের দয়ায় কারও রান্নাঘর বা বারান্দায় থাকতেন, তারা এখন প্রত্যেকেই এক টুকরো জমি এবং একটি আধপাকা ঘরের মালিক।

মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে, বেড়া উপজেলার হলরুমে ভূমিহীন ও গৃহীন, প্রতিবন্ধী এবং অসহায় মানুষদের নিজ হাতে মিষ্টিমুখ করান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহা: সবুর আলী, ১২০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর। প্রত্যেক পরিবারকে দেওয়া হয়েছে দুই শতক জমিসহ আধপাকা নতুন ঘর। ঘরে বিদ্যুৎ-সংযোগও রয়েছে। প্রকল্প এলাকায় রয়েছে  টিউবওয়েলও।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকাল ১০টার সময় বেড়া উপজেলা হলরুমে সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বেড়া উপজেলা নিবাহী অফিসার মোহা: সবুর আলী, বেড়া পৌরসভার মেয়র আসিফ শামস রঞ্জন উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার রিজু তামান্না,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাহ মোল্লা, প্রকল্প পরিচালক (পিআইও) আরিফুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহা. সিদ্দিক হোসেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকসহ শিক্ষক, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগী সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশা মানুষ। বেড়া উপজেলার ১২০ জন গৃহহীন মানুষের মাঝে দুই শতক জমির দলিলসহ তাদের মাঝে চাবি হস্তান্তর করেন বেড়া উপজেলা নির্বাহী  অফিসার মোহা: সবুর আলী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহা: সবুর আলী বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুই শতক জমিতে দু’কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা করণ ঘর সাত জন পরিবারের মাঝে এ ঘর হস্তান্তর করা হয়। এসব ঘরে রয়েছে পানি ও বিদ্যুৎসহ প্রতিটি গৃহে ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে, সবুজ টিনের ছাউনি, একটি রান্না ঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা। রয়েছে আধুনিক ও উন্নত জীবন যাত্রার সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
এদিকে এর আগে যাঁরা আশ্রয়ণের জমিসহ ঘরে উঠেছেন, তারাও এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। কারণ, মূল আয় থেকে এখন আর ঘরভাড়া দিতে হয় না তাদের। বেঁচে যাওয়া সে টাকা দিয়েই তারা তাদের ঘরের পাশের জমিতে সবজির চাষাবাদ ও পশুপালনও করছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেয়া অনুদানের টাকা দিয়ে নতুন নতুন কাজের মধ্য দিয়ে আয় বাড়িয়ে এখন সুখে-শান্তিতেই আছেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহা: সবুর আলী বলেন, ঘরগুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। ভালো মানের মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে ঘরগুলোতে। জমির দলিল ও ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে তা তুলে দেওয়া হচ্ছে সুবিধাভোগীদের হাতে। মূলত যাচাই-বাছাই করেই অহায় গরীব দিনমজুর, অন্যের বাড়ি কাজ করে—এমন লোকজনকেই দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এ ঘরগুলো।
তিনি আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে নতুন নতুন ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে, যা দেওয়া হবে সমাজের অবহেলিত-অসহায় ভূমি ও গৃহহীনদের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার—দেশের একটি মানুষও ভূমি ও গৃহহীন থাকা পর্যন্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Mottakim Ahmed

Popular Post

পাবনা বেড়া উপজেলায় ১২০ জন গৃহহীনকে প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার দিলেন নির্বাহী অফিসার মোহা: সবুর আলী

Update Time : 04:32:59 pm, Thursday, 21 July 2022

ভ্যানচালক, দিনমজুর এবং অন্যের বাড়ি কাজ করা মানুষগুলোর মতো অসহায় পরিবারের কাছে জমি কিনে পাকা ঘর করে থাকাটা রীতিমতো অধরা স্বপ্ন। আর, এসব মানুষের কাছে সে স্বপ্ন এখন বাস্তবেই ধরা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে স্বপ্নপূরণ হয়েছে অসহায় এসব মানুষের। যাঁরা একসময়ে সরকারি জায়গায়, ভাড়াবাড়ি, অন্যের দয়ায় কারও রান্নাঘর বা বারান্দায় থাকতেন, তারা এখন প্রত্যেকেই এক টুকরো জমি এবং একটি আধপাকা ঘরের মালিক।

মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে, বেড়া উপজেলার হলরুমে ভূমিহীন ও গৃহীন, প্রতিবন্ধী এবং অসহায় মানুষদের নিজ হাতে মিষ্টিমুখ করান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহা: সবুর আলী, ১২০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর। প্রত্যেক পরিবারকে দেওয়া হয়েছে দুই শতক জমিসহ আধপাকা নতুন ঘর। ঘরে বিদ্যুৎ-সংযোগও রয়েছে। প্রকল্প এলাকায় রয়েছে  টিউবওয়েলও।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকাল ১০টার সময় বেড়া উপজেলা হলরুমে সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বেড়া উপজেলা নিবাহী অফিসার মোহা: সবুর আলী, বেড়া পৌরসভার মেয়র আসিফ শামস রঞ্জন উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার রিজু তামান্না,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাহ মোল্লা, প্রকল্প পরিচালক (পিআইও) আরিফুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহা. সিদ্দিক হোসেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকসহ শিক্ষক, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগী সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশা মানুষ। বেড়া উপজেলার ১২০ জন গৃহহীন মানুষের মাঝে দুই শতক জমির দলিলসহ তাদের মাঝে চাবি হস্তান্তর করেন বেড়া উপজেলা নির্বাহী  অফিসার মোহা: সবুর আলী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহা: সবুর আলী বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুই শতক জমিতে দু’কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা করণ ঘর সাত জন পরিবারের মাঝে এ ঘর হস্তান্তর করা হয়। এসব ঘরে রয়েছে পানি ও বিদ্যুৎসহ প্রতিটি গৃহে ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে, সবুজ টিনের ছাউনি, একটি রান্না ঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা। রয়েছে আধুনিক ও উন্নত জীবন যাত্রার সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
এদিকে এর আগে যাঁরা আশ্রয়ণের জমিসহ ঘরে উঠেছেন, তারাও এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। কারণ, মূল আয় থেকে এখন আর ঘরভাড়া দিতে হয় না তাদের। বেঁচে যাওয়া সে টাকা দিয়েই তারা তাদের ঘরের পাশের জমিতে সবজির চাষাবাদ ও পশুপালনও করছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেয়া অনুদানের টাকা দিয়ে নতুন নতুন কাজের মধ্য দিয়ে আয় বাড়িয়ে এখন সুখে-শান্তিতেই আছেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহা: সবুর আলী বলেন, ঘরগুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। ভালো মানের মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে ঘরগুলোতে। জমির দলিল ও ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে তা তুলে দেওয়া হচ্ছে সুবিধাভোগীদের হাতে। মূলত যাচাই-বাছাই করেই অহায় গরীব দিনমজুর, অন্যের বাড়ি কাজ করে—এমন লোকজনকেই দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এ ঘরগুলো।
তিনি আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে নতুন নতুন ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে, যা দেওয়া হবে সমাজের অবহেলিত-অসহায় ভূমি ও গৃহহীনদের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার—দেশের একটি মানুষও ভূমি ও গৃহহীন থাকা পর্যন্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।