বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন
মোঃআরিফ খান (জয়) পাবনা থেকেঃ
অভাব অনটনের সংসারে হাল ধরতে ৬ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান পাবনার সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নে দাশপাড়া নিবাসি মোঃ খলিল মোল্লার বড় ছেলে মোঃরাকিবুল ইসলাম রাসেল( ২৮)। কাজও করছিলেন বেশ ভালোই কিন্তু হঠাৎ ১০ মে ২০২২ পরিবারের সকলের সাথে কথা বলে ছিলেন। তার পরে আর পরিবারের কেউ যোগাযোগ করতে পারেনি। ঠিক তার দুই দিন পড়ে সৌদি আরব থেকে তার মৃত্যুর খবর আসে। রাকিবুল ইসলাম রাসেল নাকি গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মাহত্যা করেছেন। রাসেলের পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। রাসেলের সাথে একই রুমে থাকেন আমির ইন্ডিয়ান কামরুল ইন্ডিয়ান রাসেদ পাকিস্তানি তারা রাসেলের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। টাকা চাওয়াতে এক পরজায় কথা-কাটাকাটি হয়। এবং এ-ই কারণে তাকে হত্যা কারা হয়েছে বলে পরিবারের দাবি। তার মরদেহ দেশে আনতে চায় পরিবার। কিন্তু তার মরদেহ দেশে আনতে আড়াই লাখ টাকা লাগবে বলে জানিয়েছেন সৌদি প্রবাসী এক নিকটাত্মীয়। ছেলেকে দেশে আনতে টাকার জন্য পাগলের মতো ঘুরছে রাকিবুল ইসলাম রাসেলের বাবা মা।
জানা যায়, অভাবের সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে ধার দেনা করে প্রায় ৬ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন রাকিবুল ইসলাম রাসেল সেখানে গিয়ে একটি কোম্পানিতে কাজ করে ভালোই উপার্জন করছিল তিনি।
গত ১২ মে ২০২২সৌদি আরবের থেকে তার মৃত্যুর খবর আসে তার লাশ বর্তমানে দাম্মাম হাসপাতালে তার লাশ মর্গে আছে।
রাসেলের মৃত্যুর খবর বাবা মায়ের কাছে পৌঁছে দেন সৌদি আরবের একই সঙ্গে থাকা তার রুমমেট। মরদেহ দেশে আনতে আড়াই লাখ টাকা প্রয়োজন বলে জানান তার বাবা খলিল মোল্লা।
তার বাবা আরও জানান, জীবিকার সন্ধানে গত ৬ বছর আগে রাসেল অনেক টাকা দিয়ে সৌদির আরবে পাঠায় সেখানে কাজ করে বেশ ভালই উপার্জন করছিল সে। গত ১০ মে রাতেও বাড়িতে কথা বলেছে। এমন পরিস্থিতিতে তার মরদেহ এখন দেশে আনতে শুনছি আড়াই লাখ টাকা লাগবে। এত টাকা তো এই পরিবার কোনোভাবেই দিতে পারবে না। তার পরিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং রাসেলের লাশটা যেন দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয়। এমনটাই তার এলাকায় বাসীর দাবি।