Dhaka 2:16 am, Monday, 8 December 2025

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন:রাষ্ট্রদূত

Reporter Name
  • Update Time : 07:46:40 am, Monday, 5 February 2024
  • / 307 Time View
১৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৪ বিলিয়ন ইউরোর বাণিজ্য রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, এটা আরও বাড়াতে চাই।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এটা ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, সামাজিক সুরক্ষাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশে কাজ করছি আমরা। সেসব ক্ষেত্রে বাজেট সহায়তা নিয়েও কথা বলেছি আমরা। বাণিজ্য ও ব্যবসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৪ বিলিয়ন ইউরোর বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে আমরা খুবই আগ্রহী। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তার পরিকল্পনা জানতে পেরে আমরা বেশ আশাবাদী। কাজেই বাংলাদেশের সহায়তা অংশীদার হিসেবে কাজ করার বিষয়ে আমাদের প্রত্যাশা বেড়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, এ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তার পরিকল্পনা জানতে পেরে আমরা বেশ আশাবাদী। কাজেই বাংলাদেশের সহায়তা অংশীদার হিসেবে কাজ করার বিষয়ে আমাদের প্রত্যাশা বেড়েছে।

২০২৬ সালের পরিকল্পনা নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে হুইটলি বলেন, স্বল্পন্নোত (এলডিসি) দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ সহজ হোক, আমরা সেটিই চাচ্ছি। আমরাও এ বিষয়ে জোর দিচ্ছি। কারণ এটা বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, অবশ্যই জিএসপি প্লাসে সহজ রুপান্তর চাচ্ছি। এটাই আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় ভিত্তি। ২০২৬ সালের প্রক্রিয়ার জন্যই এটা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় চেম্বারস অব কমার্সের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে কীভাবে সহায়তা করতে পারি, সেদিকেই আমরা বেশি আলোকপাত করছি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন:রাষ্ট্রদূত

Update Time : 07:46:40 am, Monday, 5 February 2024
১৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৪ বিলিয়ন ইউরোর বাণিজ্য রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, এটা আরও বাড়াতে চাই।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এটা ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, সামাজিক সুরক্ষাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশে কাজ করছি আমরা। সেসব ক্ষেত্রে বাজেট সহায়তা নিয়েও কথা বলেছি আমরা। বাণিজ্য ও ব্যবসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৪ বিলিয়ন ইউরোর বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে আমরা খুবই আগ্রহী। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তার পরিকল্পনা জানতে পেরে আমরা বেশ আশাবাদী। কাজেই বাংলাদেশের সহায়তা অংশীদার হিসেবে কাজ করার বিষয়ে আমাদের প্রত্যাশা বেড়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, এ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তার পরিকল্পনা জানতে পেরে আমরা বেশ আশাবাদী। কাজেই বাংলাদেশের সহায়তা অংশীদার হিসেবে কাজ করার বিষয়ে আমাদের প্রত্যাশা বেড়েছে।

২০২৬ সালের পরিকল্পনা নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে হুইটলি বলেন, স্বল্পন্নোত (এলডিসি) দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ সহজ হোক, আমরা সেটিই চাচ্ছি। আমরাও এ বিষয়ে জোর দিচ্ছি। কারণ এটা বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, অবশ্যই জিএসপি প্লাসে সহজ রুপান্তর চাচ্ছি। এটাই আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় ভিত্তি। ২০২৬ সালের প্রক্রিয়ার জন্যই এটা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় চেম্বারস অব কমার্সের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে কীভাবে সহায়তা করতে পারি, সেদিকেই আমরা বেশি আলোকপাত করছি।