Dhaka 3:30 am, Monday, 8 December 2025

দেশবন্ধু সুগার মিলের শ্রমিকরা বছরের পর বছর বেতন বৈষম্যের শিকার 

Reporter Name
  • Update Time : 06:28:05 am, Monday, 12 August 2024
  • / 262 Time View
১৪
কাউছার মিয়াঃ
দেশবন্ধু সুগার মিলটি ১৯৩২ সালে পলাশ থানাধীন চরসিন্দুর ইউনিয়নের কাউয়াদী গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়।দূর্নীতিবাজ অফিসারদের কারনে সরকার মিলটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়।আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৎকালীন  শিল্পমন্ত্রী তুফায়েল আহম্মেদ কে ম্যানেম্যানেজ করে গোলাম মোস্তফা নাম মাত্র মূল্যে মিলটি কিনে নেয়। তিনি পুরনো সিস্টেম গুলো সরিয়ে নতুন করে মিলটিকে দাঁড় করায় ।দেশি আখের বদলে তিনি বিদেশ থেকে লাল চিনি কমদামে কিনে এনে রি ফায়ারিং  করে সাদা চিনি উৎপাদন করে এবং দেশের বাজারে বেশি দামে বিক্রি করে। তিনি চিনি সিন্ডিকেট তৈরি করে  অল্পদিনে দেশবন্ধু সুগার মিলের মালিক গোলাম মস্তফা ফুলে ফেঁপে দেশবন্ধু পলিমার,দেশবন্ধু বেভারেজ, দেশবন্ধু অটো রাইস,দেশবন্ধু সিমেন্ট, দেশবন্ধু পাদুকা সহ বহু প্রতিষ্ঠানের মালিক বনে যায়। তার চিনি সিন্ডিকেটের নিউজ পত্রিকায় নিউজ হলেও তার বিরুদ্ধে সরকার কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
 মালিকের ভাগ্য ফিরলে ও ভাগ্য ফেরেনি দেশবন্ধু গ্রুপে চাকরিরত সাধারণ শ্রমিকদের। যেখানে সরকার শ্রমিকদের নিম্ন বেতন ১২৫০০ টাকা নির্ধারণ করেছে, সেখানে দেশবন্ধু সুগার মিলে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন ৫৪০০ টাকা মাত্র। শ্রমিকরা বেতনের ব্যাপারে কথা বললেই তাদেরকে চাকরি থেকে ছাটাই করা হয় তারা বেতন বৈষম্যের  শিকার। চলবে—-
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

দেশবন্ধু সুগার মিলের শ্রমিকরা বছরের পর বছর বেতন বৈষম্যের শিকার 

Update Time : 06:28:05 am, Monday, 12 August 2024
১৪
কাউছার মিয়াঃ
দেশবন্ধু সুগার মিলটি ১৯৩২ সালে পলাশ থানাধীন চরসিন্দুর ইউনিয়নের কাউয়াদী গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়।দূর্নীতিবাজ অফিসারদের কারনে সরকার মিলটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়।আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৎকালীন  শিল্পমন্ত্রী তুফায়েল আহম্মেদ কে ম্যানেম্যানেজ করে গোলাম মোস্তফা নাম মাত্র মূল্যে মিলটি কিনে নেয়। তিনি পুরনো সিস্টেম গুলো সরিয়ে নতুন করে মিলটিকে দাঁড় করায় ।দেশি আখের বদলে তিনি বিদেশ থেকে লাল চিনি কমদামে কিনে এনে রি ফায়ারিং  করে সাদা চিনি উৎপাদন করে এবং দেশের বাজারে বেশি দামে বিক্রি করে। তিনি চিনি সিন্ডিকেট তৈরি করে  অল্পদিনে দেশবন্ধু সুগার মিলের মালিক গোলাম মস্তফা ফুলে ফেঁপে দেশবন্ধু পলিমার,দেশবন্ধু বেভারেজ, দেশবন্ধু অটো রাইস,দেশবন্ধু সিমেন্ট, দেশবন্ধু পাদুকা সহ বহু প্রতিষ্ঠানের মালিক বনে যায়। তার চিনি সিন্ডিকেটের নিউজ পত্রিকায় নিউজ হলেও তার বিরুদ্ধে সরকার কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
 মালিকের ভাগ্য ফিরলে ও ভাগ্য ফেরেনি দেশবন্ধু গ্রুপে চাকরিরত সাধারণ শ্রমিকদের। যেখানে সরকার শ্রমিকদের নিম্ন বেতন ১২৫০০ টাকা নির্ধারণ করেছে, সেখানে দেশবন্ধু সুগার মিলে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন ৫৪০০ টাকা মাত্র। শ্রমিকরা বেতনের ব্যাপারে কথা বললেই তাদেরকে চাকরি থেকে ছাটাই করা হয় তারা বেতন বৈষম্যের  শিকার। চলবে—-