Dhaka 11:20 pm, Sunday, 7 December 2025

চট্রগ্রাম,সিটিকরপোরেশনের দায়িত্ব নিলেন বিভাগীয় কমিশনার

Reporter Name
  • Update Time : 03:02:27 pm, Tuesday, 20 August 2024
  • / 280 Time View
২৪
মাসুদ পারভেজ বিভাগীয় ব্যুরো
চট্টগ্রাম: চসিক প্রশাসক হিসেবে যোগ দিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে যোগদানের পর বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এ সময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম চসিকের কার্যক্রম তুলে ধরেন।
মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) সহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে পানি প্রবাহ নিশ্চিতের মাধ্যমে জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে হবে। নগর পরিচ্ছন্ন ও আলোকিত রাখার কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।
বিশেষ করে চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড শক্তিশালী করে নগরবাসীকে সর্বোচ্চ মানের সেবা দেওয়ার বিষয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কোনো ধরনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিষ্ঠান যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
বর্তমানে ডেঙ্গুর যে শঙ্কা সেটি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। মশা মারার ওষুধে যাতে কোনো ঘাটতি না পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণকেও এ কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মশার উৎস নির্মূলে কাজ করতে হবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রশাসক বলেন, নগরের কিছু বর্জ্য চসিকের ব্যবস্থাপনার আওতার বাইরে থাকায় খাল-নালায় গিয়ে পরিবেশের ক্ষতি করছে। এজন্য পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, লোকজন কাজ করছে কিনা সে ব্যাপারে তদারকি বাড়াতে হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এখানে যা আয় হয় তা নগরবাসীর সেবাতেই ব্যয় হয়। আয় যদি ঠিকমতো না হয় তাহলে জনগণকে সেবা দেওয়া যাবে না। এজন্য রাজস্ব আয় বাড়াতে পদক্ষেপ নিতে হবে। চসিক পরিচালিত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাতে সেবার মান বাড়ে সে ব্যাপারে কাজ করতে হবে।
প্রশাসক বলেন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের সচল করতে পারলে বিভিন্ন সেবা গ্রহণের জন্য নগরবাসীকে আর চসিকের প্রধান কার্যালয় পর্যন্ত আসতে হবে না। এজন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে অঞ্চল বণ্টন করে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা ও মনিটরিং করতে হবে।
জনগণের মাঝে তথ্যের প্রবাহ বাড়াতে হবে। এজন্য চসিকের ওয়েবসাইট হালনাগাদ রাখতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সব তথ্য দিতে হবে। উন্নয়নকাজের গুণগতমান নিশ্চিতে মনিটরিং বাড়াতে হবে। ঠিকাদার যথাযথভাবে পণ্য দিল কিনা, নির্দেশনা অনুসরণ করল কি না তা নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী, উপ-সচিব আবুল হাশেম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম,  প্রধান প্রকৌশলী শাহীন উল ইসলাম প্রমুখ।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

চট্রগ্রাম,সিটিকরপোরেশনের দায়িত্ব নিলেন বিভাগীয় কমিশনার

Update Time : 03:02:27 pm, Tuesday, 20 August 2024
২৪
মাসুদ পারভেজ বিভাগীয় ব্যুরো
চট্টগ্রাম: চসিক প্রশাসক হিসেবে যোগ দিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে যোগদানের পর বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এ সময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম চসিকের কার্যক্রম তুলে ধরেন।
মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) সহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে পানি প্রবাহ নিশ্চিতের মাধ্যমে জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে হবে। নগর পরিচ্ছন্ন ও আলোকিত রাখার কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।
বিশেষ করে চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড শক্তিশালী করে নগরবাসীকে সর্বোচ্চ মানের সেবা দেওয়ার বিষয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কোনো ধরনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিষ্ঠান যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
বর্তমানে ডেঙ্গুর যে শঙ্কা সেটি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। মশা মারার ওষুধে যাতে কোনো ঘাটতি না পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণকেও এ কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মশার উৎস নির্মূলে কাজ করতে হবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রশাসক বলেন, নগরের কিছু বর্জ্য চসিকের ব্যবস্থাপনার আওতার বাইরে থাকায় খাল-নালায় গিয়ে পরিবেশের ক্ষতি করছে। এজন্য পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, লোকজন কাজ করছে কিনা সে ব্যাপারে তদারকি বাড়াতে হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এখানে যা আয় হয় তা নগরবাসীর সেবাতেই ব্যয় হয়। আয় যদি ঠিকমতো না হয় তাহলে জনগণকে সেবা দেওয়া যাবে না। এজন্য রাজস্ব আয় বাড়াতে পদক্ষেপ নিতে হবে। চসিক পরিচালিত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাতে সেবার মান বাড়ে সে ব্যাপারে কাজ করতে হবে।
প্রশাসক বলেন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের সচল করতে পারলে বিভিন্ন সেবা গ্রহণের জন্য নগরবাসীকে আর চসিকের প্রধান কার্যালয় পর্যন্ত আসতে হবে না। এজন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে অঞ্চল বণ্টন করে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা ও মনিটরিং করতে হবে।
জনগণের মাঝে তথ্যের প্রবাহ বাড়াতে হবে। এজন্য চসিকের ওয়েবসাইট হালনাগাদ রাখতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সব তথ্য দিতে হবে। উন্নয়নকাজের গুণগতমান নিশ্চিতে মনিটরিং বাড়াতে হবে। ঠিকাদার যথাযথভাবে পণ্য দিল কিনা, নির্দেশনা অনুসরণ করল কি না তা নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী, উপ-সচিব আবুল হাশেম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম,  প্রধান প্রকৌশলী শাহীন উল ইসলাম প্রমুখ।