শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ :
আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউন কর্মসূচি ঘিরে নারায়ণগঞ্জের নাশকতা এড়াতে ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র‌্যাবের চেকপোস্ট ও  টহল আমি ক্লিন ইমেজের তাই আশাবাদী দল আমাকে মনোনয়ন দিবে – শাহআলম নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে থানা পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদে স্বচ্ছ মুক্তিযোদ্ধা পাওয়া কষ্টকর : কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী রাকিব হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানা পুলিশ নিষিদ্ধ সংগঠনের (আট) নেতাকর্মী ককটেল, পেট্রোল ও বিস্ফোরকদ্রব্যসহ গ্রেফতার নারায়ণগঞ্জে বায়ুদূষণ রোধে বালু ব্যবসায়ী/মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভা এনসিপি’র নতুন কার্যালয় উদ্বোধনে রাজনৈতিক বার্তা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ (একান্ন) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নারায়ণগঞ্জে যৌথ অভিযানে নিষিদ্ধ ৯শ কেজি পলিথিন জব্দ, জরিমানা ৩৫ হাজার টাকা

হালদা রক্ষা প্রকল্প: ৭ কোটি টাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের বদলে হবে মৎস্য অফিস

মাসুদ পারভেজ বিভাগীয় ব্যুরো চট্টগ্রাম ঃপ্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় নেওয়া দ্বিতীয় প্রকল্পে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ প্রকল্পের অধীনে রাউজান-রাঙামাটি সড়কের হালদা সেতু পয়েন্টে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল করার পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়েছে। ওই টাকায় হালদাপাড়ের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে মৎস্য বিভাগের দুটি অফিস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রকল্পের অধীনে ৭ কোটি টাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ করার কথা ছিল। ম্যুরালের ওই কাজ বাদ দেওয়া হয়েছে। ওই টাকায় হালদাপাড়ের সর্তাঘাট ও মদুনাঘাটে মৎস্য বিভাগের দুটি অফিস করা যায় কিনা অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

২০২৩ সালে ৪৬ কোটি ৩৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছিলো মৎস্য বিভাগ। এ প্রকল্পের অধীনে নদীর দুই পাড়ে রাউজান ও হাটহাজারী অংশে থাকা ৬টি পুরাতন হ্যাচারি সংস্কার, হ্যাচারিগুলোর সঙ্গে থাকা পুকুর সংস্কার, ডিম সংগ্রহকারী ও মৎস্য কর্মকর্তা–কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, নদী দূষণমুক্ত ও নদীতে মাছ শিকারসহ অবৈধ তৎপরতার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত, দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান করা, অংশীজনদের নিয়ে ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও গবেষণা করার কথা বলা হয়েছিল। প্রকল্পের কাজ শেষের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত।

কিন্তু এক বছর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এর বাস্তবতা এখনো দৃশ্যমান নয়। হ্যাচারিগুলোর অবস্থা আগের মতো ভঙ্গুর। নদীতে জাল পাতা বন্ধ হয়নি। নদীপাড়ে নৌ পুলিশের ক্যাম্প থাকলেও মা মাছ চোরদের বিরুদ্ধে অভিযান নেই বলে অভিযোগ হালদার সুফলভোগীদের।

প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রকল্পের কাজে গতি বাড়ানোর কাজ চলছে। হালদার মাছ রক্ষা ও দূষণ চিহ্নিত করার কাজে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের মধ্য থেকে ৪০ জন লোক নিয়োগের জন্য দুই উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তাদের কাছে নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে,।

‘এছাড়া অকেজো থাকা হ্যাচারিগুলো মেরামত ও তিনটি হ্যাচারি নতুন করে প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বিভিন্ন মহল থেকে আসছে। অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজ শেষ করার বিষয়ে তিনি আশাবাদী।

খবরটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024 thedailyagnishikha.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com